
এই বক্তব্য বলার আগে বা লেখার আগেই সরকারেরর নিকট ধরা পড়েছে বিষয়টি। আর তাই হয়তো মিষ্টার আলাল চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পারলো না । মিষ্টার আলাল ভারতে চিকিৎসার জন্ন্য যতটা না যায় তারচেয়ে বেশি প্রয়োজন তার ভারত শাখার জামাত, দেওবন্ধ সহ অন্যান্য কট্টরপন্থী ধর্মভিত্তিক সংগঠন/জংগি সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করা ।
অন্যদিকে আচমকাই খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে প্রেরণ , তার হার্টে রিং স্থাপন করা বিষয়টা সরকারের নিজেরই উচিৎ ক্ষতিয়ে দেখা যে, হার্ট বা সেখানে রিং স্থাপন জরুরী ছিল কি না । আমার ধারণা - বিএনপি খালেদা জিয়াকে নিজেদের স্বার্থে কাটাছেড়া করতে ২য়বার চিন্তা করবে না । কারণ তাদের প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন ও পশ্চিম পাক । স্বার্থ উদ্ধারে এরকম একজন খালেদা জিয়া নয়, হাজার খালেদা জিয়াকে নর্দমায় ফেলে দিতে সামান্য সময় নেবে না । এই বিষয়ে জনাব তারেক সামান্য বিরোধিতা করবে না। কারণ সেই সন্তান তারেক রহমান নয় । তারেক রহমান এতটাই নিষ্ঠুর যে, তার মায়ের এই কঠিন অবস্থায় নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবেছে সবার আগে । এমনও হতে পারতো যে, আজ খালেদা জিয়াকে জেলে থাকতেই হতনা, যদি কিনা তারেক নিজে বাংলাদেশে আসতো ।
আপনারা যারাই তারেকের নিরাপত্তার কথা বলে আমার বক্তব্যের বিপক্ষে সাফাই গাইবেন - তাতে এটা স্পষ্ট হবে যে, আপনি সেই কুসন্তান যে নিজের মাকে বিপদে ঠেলে দিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চান ।
যাইহোক, খালেদা জিয়া যে বিএনপির তুরুপের তাস সেটা আবার প্রমাণিত হলো । এরপূর্বে বিদেশ বিদেশ করে চিৎকার করেছে বিএনপি - কিতু খালেদা জিয়া সুস্থই ছিলো। ঠিক পদ্মাসেতু উদ্ভোদনের আগে তাকে হাসপাতালে নিয়ে হার্ট এটাক, রিং পড়ানো এসবই সেই কুৎসিত রাজনীতি কি না সেটা সরকারকেই ক্ষতিয়ে দেখা উচিৎ বলে মনে করি ।
চলছে সাইলেন্ট অগ্নি সন্ত্রাস, এরপরে চলবে রেড, হাইড আউট ও এম্বুস । বিষয়টাকে আরো সাংগঠনিক রূপ দিতেই কি মিষ্টার আলালের ভারত যাত্রা ছিলো ? এদিকে আবার সেই হুংকার খালেদা জিয়ার কিছু হলে , জ্বলবে আগুণ ঘরে ঘরে । আবার সেই প্রস্তাবনা - খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার ব্যাবস্থায় অনুমতি দিতে হবে । তারা খুব ভালো করেই জানে খালেদা জিয়াকে আইনি পক্রিয়াতেই বিদেষে যেতে হবে , তারপরেও তাদের এই চেষ্টা - অথচ বিদেশ থেকে কোন ডাক্তার এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কোন প্রকার চেষ্টা তাদের নেই । বলা বাহুল্য- বিদেশ থেকে কোন ডাক্তার এসে যদি তাকে বিদেশে নিতে হবে এমন সুপারিস করে সেটা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে আরো বেশি সহায়ক হয় এটা জানার পরেও তাদের কোন চেষ্টা নেই ।
তাহলে আসলে তারা কি চায়? খালেদা জিয়ার চিকিৎসা? নাকি তাকে কাটাছেড়া করে নিজেদের ফায়দা তোলা ? আর এই চক্রান্তে তারেক নিজেই নেতা কি না সেটা ভেবে দেখলেই বোঝা যায় ।
তারমানে বিএনপির আন্দোলনের চৌহুর্দি এখন এইসব ঘটনার মধ্যেই আবর্তিত । যার সম্পূর্ন পৃষ্টপোষক মার্কিন ও পশ্চিম_পাক । যার লজেস্টিক ও সৈন্য সাপ্লাই ভারতের মধ্যে থেকে বলেই মনে করি । বাংলাদেশের ৩ দিকের বর্ডার এলাকা দিয়েই এই বাইপাস নেটওয়ার্ক বিদ্যমান ।
এই বিষয়গুলো নির্বিগ্নে করার জন্যই - মির্জা ফকরুল , রুমিন ফারহানা, মিস্টার হারুন সহ বিভিন্ন জনের হাস্যকর ইতিহাস সামনে আনা । এটা নিয়ে মানুষ মেতে থাকবে - চলবে বাকবিতন্ডা - অন্যদিকে কঠিন বাস্তবতা নিয়ে ত্রিমুখী রণক্ষেত্র নির্মানে চলবে সাংগঠনিক পক্রিয়া ।
তবে সরকার হয়তো নীলনক্সার সন্ধান পেয়েগেছে - আর তাই মিষ্টার আলালের ভারত যাওয়া হলনা । একি সাথে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে এগিয়ে গেলে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে - মূল রহস্য কোথায় ।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিষ্ট
প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: