
বাবা কুখ্যাত রাজাকার মির্জা রুহুল আমিন ওরফে চোখা মিয়ার পিয়ারের পাকিস্তানকে গণ হত্যার দায়মুক্তি দিতেই কি নতুন মিশনে মির্জা ফখরুল____ ?
ঠাকুরগাঁও জেলার নিকটবতী পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার মির্জাপুর পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন মির্জা রুহুল আমিন উরপে চোখা মিয়া। সে সময় এলাকার নেতা ছিলেন চোখা মিয়ার ভাই মির্জা গোলাম হাফিজ। রাজনীতিতে মির্জা গোলাম হাফিজের কাছে ভাল করতে না পেরে চোখা মিয়া ঠাকুরগাঁও জেলায় চলে আসেন। সেখানে এসে পেট্রোল পাম্প ও সিনেমা হল ব্যবসার পাশাপাশি শুরু করেন মুসলিম লীগের রাজনীতি। হয়ে যান ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার ও চেয়ারম্যান। সেই মির্জা রুহুল আমিন উরপে চোখা মিয়া ১৯৭১ সালে জেলার কুখ্যাত রাজাকার হিসেবে পরিচিত লাভ করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালে দালাল আইনের মাধ্যমে পা*কিদের দোসর প্রায় ৩৩ হাজার ঘাতক দালালদের আটক করে বিচার করা শুরু করে ছিলেন। যাদের মধ্যে একজন ছিলেন (৭১০ নং রাজাকার) মির্জা রুহুল আমীন ওরফে চোখা মিয়া। ১৯৭৩ সালের ৩০ শে নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার পর ২২ হাজার মুক্তি পেলেও চোখা মিয়া মুক্তি পাননি। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের দায়ে আটক থাকা ১১ হাজার দালালদের সাথে বন্ধি থাকেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে মোশতাক-জিয়া চক্র ক্ষমতা দখল করলে মির্জা রুহুল আমীনের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট ৭২ সালের দালাল আইন বাতিল করলে দালাল আইনে আটক সকল কোলাবেটররা মুক্তি লাভ করে। জীবন রক্ষার প্রতিদান হিসেবে চোখা মিয়া জিয়াউর রহমানের বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে ভোট ডাকাতির নির্বাচনে ঠাকুর গাঁও - ২ আসন থেকে প্রথম এমপি হন।
১৯৮৬ সালে বিএনপি নির্বাচন না এলে মির্জা রুহুল আমিন চোখা মিয়া নিবাচনের পর পল্টি মেরে এরশাদ সরকার জাতীয় পাটিতে যোগ দেন এবং টেকনোক্রেট কৌটায় এরশাদ সরকারের কৃষি মন্ত্রী বাগিয়ে নেন। মির্জা ফয়শাল আমিন ৮০ দশকে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটি এরশাদের নূতন বাংলার ছাত্র সমাজের সভাপতি ছিলেন। একসময় বন্ধুর বউকে নিয়ে আমেরিকায় পালিয়ে যান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মির্জা ফয়শাল আমিন দেশে ফিরে এসে টিকাদারী ব্যবসা শুরু করেন। সেই মির্জা ফয়শাল আমিন বলাকা টকিজ সিনেমা হলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি দায়িত্ব পালন করেন।
ঠাকুর গাঁওয়ের সেই কুখ্যাত রাজাকার (৭১০) মির্জা রুহুল আমিন ওরফে চোখা মিয়ার সুযোগ্য সন্তান, বন্ধুর বউ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া মির্জা ফয়সাল আমিনের বড় ভাই হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যিনি জিয়াউর রহমান কর্তৃক রাজাকার বাবা মুক্তির কৃতজ্ঞতা বোধ থেকেই একের পর এক মিথ্যাচার করে বিএনপি রক্ষার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এটা না হয় মেনেই নিলাম কিন্তু বাবার দালালির পরাজয়কে ধামাচাপা দিতে এখন মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা নিয়ে মিথ্যাচারে নেমেছেন সেটা কি মেনে নেওয়া যায় ?
রাজাকারের পোলার কাছ থেকে কি এখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শিখতে হবে ? মির্জা ফখরুল কি চেয়েছিলেন তাহার বাবার মত দালালি করে (আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল।) আওয়ামীলীগের পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা উচিত ছিল ?
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ন বক্তব্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে ❝জেনোসাইড ডিনায়াল ল❞ প্রবর্তন করে ইতিহাস বিকৃতি করে রাজাকারের পোলাদের খোয়াড়ের ভিতর ঢুকিয়ে রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: