
আলোকিত সমাজের পথচলা অব্যাহত। আলোর দিকে বন-জঙ্গলের কীট-পতঙ্গরাও ছুটে আসে। আর আমরা মানুষ হয়েও আলোর মূলধারার দিকে ছুটতে পারলাম না। আমার সাড়ে তিনহাত রাজ্যের রাজা আমি। আপনার সাড়ে তিন হাতের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে নাকি অন্য কারো হাতে! আমার মস্তিস্ক-বিবেক আমার প্রাইম মিনিষ্টার, যে সর্বদা পরিচ্ছন্ন চেতনায় মঙ্গলের নির্দেশনা দেয়।
ধ্রুব নয়নের প্রখর দৃষ্টিশক্তি আমার আলোকবর্তিকা মন্ত্রী। হাত দুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাগজে-কলমে সমাজের কীট-পতঙ্গের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে সেই হাইস্কুল লাইফ থেকে। বুকের বাঁপাশটায় থাকা হৃৎপিণ্ড টা ভাঙ্গতে নয়-গড়ার দলে মেধায়-মননে, শয়নে-স্বপনে, উৎসবে-সংকটে-দূর্যোগে, বিদ্রোহে-প্রেমে, পথে-ঘাটে-মঞ্চে-ময়দানে-বেতারে-ইথারে-অনলাইনে, ভূমিষ্ঠের আত্মচিৎকারে- রাজপথের শ্লোগানে- নির্যাতিতার অশ্রুজলে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে আপন আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ করে ধ্রুব নয়নের নিজ রাজত্বে!!!
আমার লালিত স্বপ্নগুলো আমার রাজ্যে ধীর বেড়ে উঠে। আগাছা উপরাতে কাস্তে হাতে ফিরি সারাবেলা। আমার রাজ্যের রাজা হয়েও চাষী-কৃষকের মতো পাহারা দিয়ে যাচ্ছি আমার রাজ্যের স্বপ্নগুলোকে।
আমার স্বপ্নের চারাগাছগুলো বাতাসে দোল খায়, শিশিরগুলো চিকচিক করে চারাগাছের পাতায়। সেই শিশিরের আয়নায় ভেসে উঠে কিছু মীরজাফর-কিছু মোস্তাক, কিছু পশু, কিছু ভেড়া-ছাগলের প্রতিচ্ছবি। আমার রাজ্যের স্বপ্নের চারাগাছগুলো মাড়াই করতে চায় তারা! আমি ছড়ি হাতে ধাওয়া করি সে সব ফসলখাওয়া ছাগলদের। দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যায় মীরজাফর-ছাগলগুলো! কিন্তু, যে পথে গিয়েছে রাতের মোস্তাকরা সে পথে সকালেও শিশির সিক্ত আলগা ঘাসের ডগায় তাদের অনিশ্চিৎ গন্তব্যে সুনিশ্চিত হয়েছে।
ভাগ্যিস- আমি আমার সাড়ে তিন হাত রাজ্যের রাজা বিধায় আমার রাজ্যে রক্ষায় আমি সর্বদা সচেষ্ট এবং জাগ্রত! আপনি কি আপনার সাড়ে তিন হাত স্বপ্নের রাজ্যের রাজা হতে পেরেছেন!!! নাকি অন্যের প্রজা হয়ে জোঁকারের মতো নাচছেন!!!
এসব নাচানাচি না করে নিজ স্বপ্নের পরিচ্ছন্নতায় মেতে উঠুন। অন্ধকারে নয়, আলোর পথে হাঁটুন।।।
বিজয় সুনিশ্চিত।।।
নয়ন
লেখক ও সাংবাদিক
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: