
মুক্তিযুদ্ধকে আরো সুসংহত করার জন্য পূর্ব রণাঙ্গনের বাঙালি কমান্ডারগণ সিলেটের একটি চা বাগানে মিলিত হন। এদের মধ্যে ছিলেন আবদুর রব, জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, সফিউল্লাহ, নূরুজ্জামান, নুরুল ইসলাম, মোমিন চৌধুরীসহ আরো অনেকে। তারা সবাই একজন নেতা খুঁজছিলেন।
এসময় সাবেক কর্নেল ওসমানী গোঁফ কামিয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে এসে কুমিল্লায় খালেদ মোশাররফ ও শাফায়াতের সাথে মিলিত হয়েছিলেন। ওসমানী সবচেয়ে প্রবীন হওয়ায় মেজররা তাকেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ করেন।
ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই প্রধান সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ওসমানীর সাথে মেজর জিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। একাত্তরের ১১ জুলাই কোলকাতার ৮নং থিয়েটার রোডে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের সভাপতিত্বে সেক্টর কমান্ডারদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধের সার্বিক রণকৌশল নির্ধারণ করাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
মেজর জিয়া এসময় একটা প্রস্তাব করেন যে, অবিলম্বে একটা যুদ্ধ কাউন্সিল গঠন করতে হবে। এই প্রস্তাবে কর্নেল ওসমানীকে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।
সুস্পষ্টই এটা ছিল যুদ্ধপরিচালনার ব্যাপারে সামরিক কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়াস। মেজর শফিউল্লাহ এবং খালেদ মোশাররফ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন, তারা বুঝতে পেরেছিলেন এটা জিয়ার কূটকৌশল।
কারণ, ওসমানী অপসারিত হলে জৈষ্ঠ্যতা অনুযায়ী তখন জিয়াই হবেন সেনাপতি।
তথ্য সূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকারঃ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম (পিএসসি)।
Shahid Sheikh ভাইয়ের ওয়াল থেকে
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: