
যতোদুর জানা গিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য ত্রিমুখী আক্রমণের নীল নক্সা নিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের কথিত সুশীল সমাজ । অতি নিভৃতে কাজ করে চলেছে তারা । কোন ভাবেই সেই কাজ দেশের স্বার্থে নয় । আগ্রাসী শক্তিকে প্রমোট করতেই তারা এই ভয়ংকর কাজে মনোনিবেশ করেছে । ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে এবং পশ্চিমাদের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দিতে গোপনে তার কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন । সাথে রয়েছে কথিত সুশীল সমাজ ।
ত্রিমুখী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে ড.ইউনুস এন্ড গং ।
১ম -
সরকারের অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে নানা রকম অসত্য তথ্য বিভ্রাট করে জনমানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
২য় -
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বর্তমান সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানো।
৩য় -
বিরোধী দলগুলোকে উস্কে দিয়ে তাদেরকে সহিংস আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করা এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখা।
১ম লক্ষ্য হলো -
বৈশ্বিক মন্দাকে কাজে লাগিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবার আগে কাজ করছে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ে । বিভিন্ন ভূল, মিথ্যা, বানোয়াড তথ্য সম্বলিত বিষয়কে স্প্রে করে দেশের সমগ্র মানুষকে তাতিয়ে তোলাই তার লক্ষ্য ।
এ লক্ষ্যে তার সাথে রয়েছে সিপিডি, টিআইবিসহ বেশকিছু সংগঠন। সিপিডির এখন একমাত্র কাজ হলো দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে প্রতিনিয়ত অর্ধসত্য-মিথ্যা নানা রকম তথ্য প্রকাশ করা। আর এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং প্রিয়জন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
২য় লক্ষ্য হলো-
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশবিরোধী প্রচারণা। এই কাজেও সুশীলরা অনেকখানি এগিয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে বাংলাদেশের নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলা শুরু করেছে। বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়াও সুশাসন, মানবাধিকার নিয়ে নানারকম কথাবার্তা বলছে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা না, ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও সুশীল সমাজ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে। সম্প্রতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশ সফর করছেন। এটিতেও সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মানবাধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইত্যাদি দিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে চাচ্ছে যেন সরকারে ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নজরদারি বাড়ে।
৩য় লক্ষ্য হলো-
বিএনপিকে জঙ্গি সহিংস আন্দোলনে জাগিয়ে তোলা । আর এ কারণেই বিএনপি যেন দ্রুত আন্দোলনে যায়, রাজপথের আন্দোলনে যায় সেজন্য সুশীল সমাজের অনেকেই নিয়মিত যোগাযোগ করছে।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গেও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়েছে এবং সুশীল সমাজ মনে করছে যে, রাজপথে আন্দোলন বিরোধী দলগুলো করতে পারুক না পারুক তাদেরকে যেন নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যায়।
কথিত সুশীল সমাজ মনে করছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি, জাতীয় পার্টি কেউই যদি অংশগ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ বিপদে পড়বে মারাত্মক ভাবে । কারণ প্রধান দলগুলো নির্বাচনে না আসলে সেই সুযোগে পশ্চিমা সহ ইউরোপ প্রবেশ করবে বাংলাদেশে । তারা বাংলাদেশকে নানাবিধ সমস্যায় ফেলতে পিছপা হবে না ।
সুশীলদের মূল লক্ষ্য হলো, যদি রাজপথে আন্দোলন বিরোধী দলগুলো বেগবান না করতে পারে, যদি তারা 'লাশ ফেলতে না পারে' তাহলে নির্বাচন থেকে তাদেরকে দূরে রাখা এবং নির্বাচনের পরে সরকারকে চাপে ফেলা। তারা এমন একটি পরিস্থিতি আশাকরছে যে, সরকার নিজ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সুশীলদের ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হয় ।
কথিত সুশীলগণ চাইছে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে যেন, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ যেতে না পারে সেই ব্যাবস্থা করা। উলটো বাংলাদেশে শান্তি মিশন যেন পরিচালিত হয় সেই ব্যাবস্থা করা ।
দেশের মধ্যে কথিত সুশীলগণ মানবাধিকার, সুশাসন ইত্যাদি নিয়ে যত কথা বলছে তার মূল লক্ষ্য হলো জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের গর্বিত সেনা সদস্যদের যাওয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন বা তার পরবর্তি সময়ে বাংলাদেশেই শান্তিমিশন ডেকে আনা ।
আর এটা করতে পারলে দেশের ক্ষতি যতটাই হোক না হোক, সুশীলদের অনেক বড় লাভ হবে। সেই লক্ষ্যেই সুশীলরা ভয়ঙ্কর এক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলেই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সুশীল সমাজের এখনকার যে ভূমিকা সেই ভূমিকাটি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি সিপিডি, টিআইবিসহ বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে সরকারবিরোধী প্রচারণার জন্য রীতিমতো উসকে দিচ্ছেন এবং ব্যবহার করছেন।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: