
কাউন্টারে আওয়ামীলীগ কোন পথে , এই বিষয়টা এখনও অজ্ঞাত। আপাত দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে সরকার বিএনপিকে রাজপথে নামার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। হোক সেখানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, হোক সেখানে হামলা প্রতিহামলা, হোক আইনের বরখেলাপ।
দৃশ্যমান এটা যে, বনের বাঘ হায়েনাদের আক্রমনের ছক, প্রস্তুতি কোন একটা গোপনীয় স্থানে বসে অবলোকন করছে। হয়তো সময় বুঝে তার জবাব দেবে। কিন্তু এটাতো বনের পশুর চিত্র। এই দৃশ্যে বাইরের কোন ইন্দন থাকেনা, অন্য কোন শক্তির সহযোগিতা থাকেনা। যা ঘটার ঘটে বাঘ আর হায়েনাদের মধ্যে।
এখানে বিএনপিকে ওয়াকওভার দেবার দৃশ্যই সবাই দেখছে। আওয়ামীলীগের কাউন্টারের শক্তি নেই এমনটাই ভাবছে। আমিও সেই ভাবনার বাইরে নই। তবে কেন যেন মনে হচ্ছে মানুষ হয়েও বনের বাঘারে প্রাথমিক যে অবস্থান সেখানেই আওয়ামীলীগের বর্তমান অবস্থান।
বিএনপির সার্বিক আন্দোলন এখন শোডাউনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাহলে আওয়ামীলীগ কি এটা দেখতে চাইছে যে, সারাদেশে তাদের সমাবেশের লোকবল, ক্ষমতা ইত্যাদি কতটা? হয়তো তাই। কিন্তু বিপদ অন্যদিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে বলেই মনে হয়। বিএনপি সমাবেশের সাথে সাথে অনেকটাই অগ্রসর হয়ে আছে বিগত কয়েক বছরে #শেখ_হাসিনার একেবারে নিকট হতে প্রশাসন সহ সারাদেশে সকল কমিটি, উপকমিটিতে নিজেদের লোক প্রবেশ করিয়ে।
আমরা যতটা জানি, সেই তরবারি আর ঘোড়া নিয়ে যুদ্ধকালে একজন বেঈমান সমগ্র ক্ষমতাকে পায়ের নিচে ফেলে যুদ্ধ জয়ের মূল নায়ক হয়ে যেতো। মীরজাফর বাঙালিদের নিকট বেঈমান হলেও ইস্ট-ইন্ডিয়ার নিকট যুদ্ধ জয়ের বীর ছিলো, পরে তার ভাগ্যে যাই হোক। ৭১ হতে ৭৫ এর পর পর্যন্ত স্বাধীনতার পক্ষ শক্তির নিকট মোস্তাক বেঈমান হলেও পাকিস্তান এর নিকট ও পশ্চিমাদের নিকট বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে বীর ছিলো, সেই সাথে ছিলো জিয়াউর রহমান।
আজ #শেখ_হাসিনা তার ডান বাম হতে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ বেঈমানের মোকাবেলা কিভাবে করবেন তিনি ভাল জানেন।
অত্যান্ত পরিকল্পিত ভাবে এবার বিএনপি সামনে অগ্রসর হয়েছে। সমগ্র দেশের চোখ রংপুরের দিকে রেখে, নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে জামায়াত অধ্যুষিত বিএনপি জামায়াত এর অচেনা, পরিচয়হীন মানুষের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল বিডিপি'র নিবন্ধনের জন্য। দুইদিন আগেও যে নির্বাচন কমিশনার যামায়াত এর পরিচয় থাকলে সেই দলকে নিবন্ধন দেয়া হবেনা বলে জানিয়েছিলেন, তিনি আবার বলছে - যুদ্ধাপরাধী না হলে, টার্মস এন্ড কন্ডিশন মেনে আবেদন করলে তাদের নিবন্ধন দিতে অসুবিধা থাকার কথা নয়। অন্যদিকে বিডিপির হতে বলা হচ্ছে, স্বাধীনতার পরের প্রজন্ম নিয়ে এই দল গঠিত হয়েছে। কিন্তু তাদের ভিতরের এজেন্ডা কি, কবে কিভাবে এই দল গঠিত হলো, ৫০ হাজার পেজের দলিল কবে হলো এসব কিছুই বলতে রাজি হননি। সম্পূর্ণ অন্ধকারে সবাইকে রাখার পিরেও এই বিডিপি নিবন্ধন পাবে বলেই মনে হচ্ছে।
এসব কিছুতে আওয়ামী লীগ চুপচাপ বসে থাকা, বাঘ যে ভাবে হায়েনাদের পরিস্থিতি অবলোকন করে সেই দৃশ্যই সামনে নিয়ে আসে।
পূর্বেই বলেছি পশুদের এই প্রস্তুতি শুধুমাত্র দুই দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, যেখানে বহিঃশক্তির কোন ইশারা থাকেনা। কিন্তু মানুষের মধ্যে রয়েছে সার্বিক দিক। সেদিক থেকে বিএনপি Zamaতকে সাথে নিয়ে আক্রমনের যে বলয় তৈরি করেছে পরিকল্পিত ভাবে সেটা মোকাবেলা করা কঠিন অবশ্যই কিন্তু অসম্ভব নয়।
অতিদ্রুত সময়ে, বিএনপির পক্ষ নিয়ে জামায়াত এর শোডাউন দেখা যাবে বিভিন্ন ইসলামি দল সাথে নিয়ে, যারমধ্যে হেফাজত অন্যতম এটা বলাই যায়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে, আওয়ামীলীগ আর কতদিন চুপচাপ দেখবে পরিস্থিতি সেটা আল্লাই জানে। তবে বেশিদিন বসে থাকলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফ্লাক্সিবিলিটি হারায় এটাও মাথায় রাখতে হবে। তখন চাইলেও সঠিক ভাবে মোকাবেলা করা কঠিন হতে পারে।
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
মোঃ তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: