
ময়লা ছিলো কলারে আমি দেখি আয়নায় অবাক হয়ে ভাবতে থাকি ময়লা কেন যায় না। এর কারনটা হলো আমরা ময়লা আয়নায় খুঁজে বেড়াই , নিজের কলারে যে ময়লা সেটা কখনো ভাবি না বা স্বীকার করতে চাই না ।
বিএনপির সেই একি দশা হয়েছে তারা নিজেদের কুকর্মগুলো খুজে পায় না, অন্যের শার্টে ময়লা খুজে বেড়ায়। বিএনপির এই কুকর্মগুলো যে যোগান দিয়ে থাকেন তিনি আর কেউ না, তিনি জঙ্গিবাদের গডমাদার বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (সিএসএম) স্কোয়াড্রন লিডার (অবঃ) ওয়াহিদ উন নবী। যিনি কাজ করেন বিএনপির গুঁজব সেলের হয়ে। দেশের বাইরে বসে বিএনপি জামাতের পেইড এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনন্য নজির স্থাপন করেছে । আর এই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিপরীতে অপপ্রচার ও গুজবকে হাতিয়ার করে চক্রান্তকারীরা একটাই অপতৎপরতার পথ বেছে নিয়েছে তা হচ্ছে বাংলাদেশ বিরোধিতা । কথায় আছে –“হাতে না মারতে পারলে পাতে মারুন” তাই এসব গোষ্ঠী সরাসরি তাদের এক্টিভিটি দেখাতে না পেরে বেছে নিয়েছে অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়াকে । বাক স্বাধীনতার প্রকাশের নামে সোশ্যাল মিডিয়াতেই বেশি সক্রিয় এসব চক্রান্তকারী। আর এই সকল কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশের কোন না কোন অপকর্মকারীদের যাদের অতীত ছিল নষ্ট, ভ্রষ্ট ও অপকর্মে ভরা। এদের মধ্যে অন্যতম একজন মোঃ ওয়াহিদ-উন-নবী (স্বপন) ।
কে এই ওয়াহিদ-উন-নবী (স্বপন)?
বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন স্কোয়াড্রন লিডার , ২৪ তম জিডি(পি) বা ২৫ তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সমমান ( 24 | GD (p) / 25th BMA)। ভাবুন একবার , বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা যে কিনা এখন দেশবিরোধী চক্রান্তকারী ! যার জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করলো প্রজাতন্ত্রের চাকর হিসেবে আর সে আজ কাজ করছে প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে? সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বি.এন.পি) এর সমর্থক সে কারণেই সরকার বদলের সাথে সাথে গিরগিটির মত তার রুপটাকেও বদলে ফেলছেন খুব সহজেই। তিনি ফেসবুক প্রোপাগান্ডা গ্রুপ জিয়া সাইবার ফোর্স (ZCF) এর প্রতিষ্ঠাতা । এই গ্রুপ এবং তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইল থেকেই সে সরকার বিরোধী সকল কাজ করে থাকেন এবং দেশের সকল কাজের বিপরীতে অত্যন্ত অসম্মানজনক কটূক্তি করেন । তার বাবা একজন সিনিয়র সচিব ছিলেন একজন সচিবের ছেলে হয়ে বা নিজে একজন অবঃ সরকারী পাইলট হয়ে যখন অসম্মানজনক কথা বার্তা বলে তখন তার পারিবারিক শিক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থেকে যায়। এছাড়া যে দলের জন্ম হয়েছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হত্যার মধ্য দিয়ে , স্বৈরশাসনের পটভূমিতে তাদের সমর্থক বা পেইড এজেন্ট এর কাছে ভাল কি আশা করা যেতে পারে ? সে আগাগোড়ায় উগ্র, সন্ত্রাসী মনোভাবের একজন মানুষ দেশে থাকাকালীন সময়ে নিজের কাছে সব সময় একটি শটগান ও একটি পিস্তল বহন করতেন। খালেদার নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী করার সময় ক্ষমতা দেখিয়ে খালেদার নাম ভাঙ্গিয়ে করে বেড়িয়েছেন নানান অপকর্ম। এছাড়া যখন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে কর্মরত ছিলেন (অক্টোবর ১, ২০১৫ - ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১৮ ) তখন ইউএস বাংলাকে ঘিরে নানান মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করার কারণে তাকে চাকুরী থেকে বের করে দেওয়া হয় । সব সময় দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা, আপত্তিকর ও বানোয়াট তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে তার নামে মামলা হয়েছিল । যেটির কেস নং ছিল (২১; সেনাবাহিনী অ্যাক্ট ১৯ক, ১৮৭৮) ;তারিখ- ২১/১২/১৮ ও কেস নং(২২) আদাবর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন;তারিখ- ২১/১২/১৮ শাস্তি স্বরুপ পাঁচ মাস কারাগারে থেকে মুক্তি পাবার পর পরই বাক্স পেটরা গুছিয়ে লন্ডনে চলে যান।
বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন । গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিলসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালতএই চার জনের মধ্যে ওয়াহিদের নাম উল্লেখ রয়েছে। দেশের যেকোনো বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করা যেতেই পারে এটা দোষের কিছু নয় কিন্তু এই দেশকে ঘিরে প্রতিনিয়ত যে নোংরা ষড়যন্ত্র, বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ এটি আপত্তিকর ও অশুভ পাঁয়তারা । এখন সিদ্ধান্ত আমাদের তাদের তালে নেচে বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবো নাকি রুখে দাঁড়াবো?
Daily J.B 24 / প্রজন্ম পেজ হতে প্রাপ্ত -সোশ্যাল মিডিয়া নিউজ
আপনার মতামত লিখুন: