• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৫ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ; ৩০ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  বৃহস্পতিবার, ১৫ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ;   ৩০ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

কোন ধর্মের প্রচার/উপাসনালয়কে অবজ্ঞা করছি না - আত্ম সমালোচনা করছি মাত্র ।

অন লাইন নিউজ ডেস্ক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৯ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৫৮ পিএম
আত্মবিশ্লেষণ, আত্মশুদ্ধি, জাপান, বাংলাদেশ, ধর্ম

জাপানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোনো মন্দির নেই, মসজিদ নেই, রাত জেগে ওয়াজ নেই, নসিহত নেই, ধর্মীয় স্কলার নেই, মাজার নেই, ওরস নেই, পীর নেই, মুরিদ নেই, কুতুব নেই, তাবলীগ নেই, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি বলেও কোনো বাগাড়ম্বরও নেই। এগুলো ছাড়াই জাপান একটা সুশৃঙ্খল জাতি। গত ত্রিশ বছরের মধ্যে কোনো দুর্নীতি নেই, কোনো ঘুষ নেই, কোনো ধর্ষণ নেই, স্কুলে কোনো ছাত্রকে বেত্রাঘাতের রেকর্ড নেই। কোনো কাজের জন্য কোনো ফাইল আটকে পড়ার নজির নেই। 
কারো সুপারিশ ছাড়া কোনো ছাত্র স্কুলে ভর্তি হতে পারছেনা, কারো প্রমোশন হচ্ছেনা- এমন দৃষ্টান্তও নেই। দলীয়ভাবে জাপানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষকের নিয়োগের নজিরও নেই। রাস্তায় পড়ে থাকা বুভুক্ষু মানুষও নেই। আছে শুধু কর্মনিষ্ঠা, শৃঙ্খলা। ভূমিকম্পের সময় সব খাবার ক্যাম্পে রেখে দেয়া হয়েছিলো। নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কেউ একটা রুটিও নিয়ে যায়নি। 
ত্রাণ কেন্দ্রে একজন প্রহরীকেও পাহারাদার রাখতে হয়নি। লাইনে দাঁড়িয়ে সবাই যার যার মতো প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে গেছে। লাইনে দাঁড়ানো শেষ ছেলেটার হাতে খাবার‌ের প্যাকেট দেয়ায় সে সেই প্যাকেট আবার লাইনের সামনে রেখে এসেছে। যদি তার সামনে দাঁড়ানো কারো খাবার কম পড়ে যায়। 
জাপানে কোনো কালো বাজারি নেই, দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করেনা। কেউ খাবারে ভেজাল মেশায় না। রাস্তাঘাটগুলো এতো ঝকঝকে পরিষ্কার যে নিজের চেহারা রাস্তায় দেখা যায়। শুধু বয়স্ক কিংবা যুবকরা না একজন শিশুও জাপানের রাস্তায় যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখেনা। কোনও প্রোগ্রাম এক মিনিট দেরিতে শুরু হয়না। এক মিনিট ট্রেন লেট করেছিলো বলে - পত্রিকার পাতায় ক্ষমা চাওয়া হয়েছিলো। 
টেকনোলজি আর ডেভেলপমেন্টে জাপান পৃথিবী থেকে দশ বছর এগিয়ে আছে। পুরো পৃথিবীর খাবার ফুরিয়ে গেলেও জাপানে আগামী ত্রিশ বছরের জন্য খাবার মজুদ আছে। বোমায় কয়লা হয়ে যাওয়া জাপান পুরো দুনিয়ার গাড়ীর বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অথচ, জাপানে ভার্চুয়ালি কোনও ন্যাচারাল রিসোর্স বলতে কিছুই নেই। 


জাপানের মানুষের মাঝে আছে শুধু বিনয় আর বিনয়, আর ক্ষমা প্রার্থনা। অবসরে যাওয়া জাপানি প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন- কী করতে পেরেছি তার জন্য দয়াকরে গুণ কীর্তন করবেন না। বরং যা করতে পারিনি সেটার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। দুহাত একসাথে করে- জনগণের সামনে মাথা নীচু করে (যেটা জাপানি কালচার) বারবার ক্ষমা চাচ্ছিলেন জাপানের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে। 


ধর্মের দোষ দিচ্ছিনা, মসজিদ কিংবা মন্দিরেরও না, মাজারেরও না। শুধু আত্ম-সমালোচনা করছি।
আমাদের মোড়ে মোড়ে এতো এতো মসজিদ, মন্দির, মাঠে মাঠে এতো ওয়াজ, গলিতে গলিতে এতো মাজার হওয়ার পরও পরিবর্তন হচ্ছে না কেনো?

 


অনুবাদ ও সম্পা‌দিত - সজল কুমার দাশ
এস এম মোতাহের হোসাইন

 

 

Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক

খোলা-কলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ