• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  বৃহস্পতিবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ০৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ক্ষমতা থাকলে চ্যাম্পিয়ান ঋণখেলাপি গ্রেপ্তার করে দেখান । কৃষক কেন?

তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৪৯ পিএম
Farmers, Pabna, Economy, Inequality, Social degradation, Banks, Arrests

 

দেশকে স্থিতিশীল রাখতে কৃষকদের ভূমিকা সবার আগে স্বীকৃত । অথচ সামান্য ১০/২০ হাজার টাকা ঋণ খেলাপির কারনে পাবনার কৃষক গ্রেপ্তার। 

 


প্রশ্ন উঠবেই - যে কৃষক দেশের হাতে আহার তুলেদেয় তাদের সামান্য টাকার ঋণ খেলাপিতে যদি গ্রেপ্তার হতে হয়, তাহলে ব্যাংক ডাকাত, অর্থপাচারকারী, বৃহৎ ঋণ খেলাপি অবশ্যই ফায়ারিং স্কোয়াডে যাওয়া উচিত । কারন এরা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না , তাদের এই মেগা দুর্নীতির অর্থ আসে ঐ দিনরাত মাঠে কাজ করা কৃষকের নিকট হতে । পারলে বৃহৎ ঋণ খেলাপি গ্রেপ্তার করে দেখান । 

 


অর্থমন্ত্রীকে মাঝে মাঝে বৃহৎ ঋণ খেলাপিদের পক্ষেই সাফাই গাইতে শোনা যায় । তাদের সুদ মাপ করে দেয়া হয় , ইনস্যুরেন্স ক্লেইমে পায় মোতা মোটা অর্থ। পুনরায় ব্যাংক ঋণ নিতে তাদের সকল সুবিধা প্রদান করা হয় । কোন বিপর্যয়ে তাদের পক্ষেই দাঁড়ায় দেশের সেরা সেরা আইনজীবি । আইনি সেবা পেতে তাকে আইনজীবী নিযুক্ত করতে হয়না । আইনজীবী নিজেরাই দৌড়ে এসে তাদের পাশে দাঁড়ায় । 
অথচ এই দীনদুঃখী কৃষকদের আইনি সুবিধা কোথায় ? কে দাঁড়াবে তাদের পক্ষে ? আইনজীবীকে অর্থ দিয়ে চুক্তিবদ্ধ করার ক্ষমতা কোথায় তাদের ? সেটা পারলেতো সমবায় ব্যাংকের নিকট হতে নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারতো । 
তাহলে যে কৃষক দেশের হাতে খাবার সহ সকল অর্থের যোগান দেয়, রাষ্ট্রিয় ভাবে কি তাদের আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার নেই ? কিন্তু কষ্ট হলেও বলতে হয় - কৃষক শব্দটা তাহলে ধনাঢ্যদের জন্য কি গালি হিসাবেই থেকে যাবে ? চাষা শব্দটাতো ধনাঢ্যরাই ব্যাবহার করে তাই নয়কি?


মজার ব্যাপার হলো, এলিট সমাজ কৃষকের টাকা নিয়ে ঋণ খেলাপি হয়ে কৃষককেই চাষা বলে গালি দেয় । বিনিময়ে তাদের উপঢৌকন হয় ঋণ মাপ, সুদ মাপ, পুনরায় ঋণ প্রদান । তাও সেই অংক দেশের বাৎসরিক বাজেটের সাথে তুলনীয় । যে কোন মেগা প্রজেক্টের ব্যায়ের সাথে তুলনীয়।


অন্যদিকে সামান্য ১০/২০ হাজার টাকার জন্য দেশের সবচেয়ে নির্ভরতার স্থান কৃষকের হয় গণহারে গ্রেপ্তার । উপঢৌকন হিসাবে পায় গ্লানি, গালি, আইনি সহায়তা না পাওয়া এবং বাস্থান হিসাবে জেল । 
জানতে ইচ্ছা করে, এই কৃষকদের এখন যদি জামিনও হয়, কে দেবে তাকে তারিখে তারিকে আদালতে হাজিরার টাকা ? তারাতো ফসল ফলিয়েও ন্যায্য দাম থেকে হয় বঞ্চিত । তাপ, চাপ, ঝড়, বৃষ্টি, শত্রুতা তাদের ঋণ পরিশোধে হয়ে যায় বাঁধা । এসব কি কোন দিন রাষ্টকে লজ্জায় ফেলেছে ? জানিনা , ফেলেছে কিনা জানিনা । তবে ফেলা উচিত । 

 


আইন আইনের পথে চলবে, তারা ঋণ খেলাপি হয়েছে, আইন তার ভাষায় কথা বলবে ঠিক। কিন্তু সেই আইনের নিকট রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা রয়েযায় এটাতো ঠিক , তাই নয় কি ? কারন একটাই - ওরা আছে বলেই বাংলাদেশ খাবার খায়, পা থেকে মাথা পর্যন্ত চাহিদা মেটে, দেশ থাকে স্থিতিশীল । সরকার নিশ্চিন্তে রাষ্ট্রের অন্যদিকে মনোনিবেশ করতে সুযোগ পায় । ভাবতে অবাক লাগে, সেই কৃষক হয় গ্রেপ্তার। তাদের স্থান হয় অন্ধকারে । 
সামাজিক , আইনি, রাষ্ট্রীয় এই বৈষম্য দূর করা না গেলে , সব কিছুই থেকে যাবে প্রশ্নের মধ্যে । দেশে দুর্যোগ আসতে বাধ্য । 


মোঃ তৈমুর মল্লিক

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ