
সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার আদালত। ইতিপূর্বে খায়রুজ্জামান সেখানে গ্রেপ্তার হন ।
খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমানের আইনজীবীর করা আবেদনে মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট মঙ্গলবার এই আদেশ দেন বলে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, খায়রুজ্জামানের আইনজীবী আদালতে যে ‘হেবিয়াস করপাস রিট’ করেছেন, সে বিষয়ে শুনানির জন্য ২০ মে পরবর্তী তারিখ রেখেছেন বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান। তার আগে পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
কাউকে ‘বেআইনিভাবে’ আটক করার অভিযোগ উঠলে এ ধরনের রিট মামলার মাধ্যমে তাকে আদালতের মুখোমুখি করা হয় ।
খায়রুজ্জামানের আইনজীবী আদালতের সামনে বলেন, তার উএনএইচসিআরের কার্ড আছে বা ছিলো। তিনি কোনো ধরনের অভিবাসন আইন ভঙ্গ করেননি, ফলে তাকে আটকে রাখা বেআইনি।
তবে আদালতের স্থগিতাদেশের পরও গত বছর মিয়ানমারের কয়েকজন নাগরিককে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনা মনে করিয়ে দিলে বিচারক বলেন, আদালতের আদেশের পরও তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে- এমন কিছু আমি শুনতে চাই না। আমি আশা করি, ইমিগ্রেশন বিভাগ বিষয়গুলো নিজেদের কাঁধে তুলে নেবে না।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মালয়েশিয়ায় এক দশকের বেশি সময় ধরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। তিনি বিষয়টি ঝুকিপূর্ণ মনে করে কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।
Daily J.B 24 / জেবি/প্রবাশ/১৫২২২
আপনার মতামত লিখুন: