
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
তিনি বলেন, "গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে এবং তা বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ তার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার প্রমাণিত হয়েছে।"
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্প্রতি প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হওয়ায় দেশবাসী খুশি হয়েছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং আরও চার সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক প্রাণনাশের হুমকি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা মোটেও স্লিপ অফ জিভ নয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতার হত্যার হুমকির পর হাজার হাজার ভোটার তার দলের পক্ষে গেলেন এবং বিপরীতে বিএনপির জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছেছে বলে জানান কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অর্জিত উন্নয়ন এবং আওয়ামী লীগের ভালো আচরণ আগামী সাধারণ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, "আমরা নির্বাচন কেন বাধাগ্রস্ত করব? কারা নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তা আমাদের তদারকি করা উচিত। যারা নির্বাচন করতে চায় না এবং যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চায় তারা বাধা দিতে পারে।" নির্বাচন।"
তিনি আরো বলেন, কোনো বিদেশি বন্ধু কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা কাউকে বলেনি।
কাদের বলেন, যারা নির্বাচনে বাধা দেয় তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি কার্যকর হয় কি না তা দেখতে হবে।
বিএনপি নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিল কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভিসা নীতি দেখে বিএনপি নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে যায় এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখ শুকিয়ে যায়।
দণ্ডিত তারেক রহমান অনলাইনে অনবরত বিবৃতি দিচ্ছেন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তোলেন, "একজন দণ্ডিত ব্যক্তি কীভাবে প্রতিদিন রাজনৈতিক বক্তব্য দেন? কেন তিনি আদালতের রায় মানেন না?"
বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: