
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সমাবেশ হয়ে গেলো আজ । সমাবেশকে ঘিরে রাত থেকেই সারাদেশ থেকে রাজধানীতে আসতে শুরু করেন যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। দুপুর নাগাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
গোয়েন্দাদের মতে, শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সমাবেশস্থলে দুপুরের আগেই আড়াই থেকে তিন লাখ লোকের জমায়েত হয় ।
বেলা ২টা ৩৬ মিনিটে সমাবেশস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
জুমার নামাজের পর সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। এরইমধ্যে মৎস্য ভবন থেকে প্রধান গেট পর্যন্ত রাস্তা সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এশিয়ার বৃহৎ এ যুব সংগঠনের উৎসবমুখর এই আয়োজনে কেউ লাল সবুজ এবং কেউ হলুদ রঙের টিশার্ট ও ক্যাপ পরে সেজে এসেছেন।
মিছিলে মিছিলে ঢাকঢোল পিটিয়ে সোওহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলিত হচ্ছেন তারা।
১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রথিতযশা সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে ।
এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্য দিয়ে যুব সমাজের সংগ্রামী চেতনার ধারা আরও শাণিত ও বেগবান হবে।
সোর্সঃ চ্যানেল ২৪
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: