
কচকাটা থানায় ২৪/৫/২০১৯ তারিখে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৬/৫/২০১৯ তারিখে একটি মামলা দায়ের হয়।
মামলা নং জি আর ২৮/১৯
কচাকাটা থানা
বিষয়টি আইনি পক্রিয়াতে যাওয়ার ফলে এলাকাবাসী সহ সকলে অনেকটাই স্বস্তি প্রকাশ করে।
যে ঘটনার কারনে মামলা হয় -
মোঃ মোস্তফা জামান ভইশকুড়ি জলমহলের একজন পাহারাদার ছিলো সে প্রতি দিনের ন্যায় ২৪/০৫/২০১৯ তারিখ সন্ধ্যা হতে প্রতিবেশি মোঃ আক্তার হোসেন মণ্ডল পিতা মৃত্যু হাতেম আলী মণ্ডল সহ জলমাহলের চার দিকে দিতে থাকে। রাত্রি অনুমান ৯.৩০ ঘটিকার সময় জলহাহলের পাশে মোঃ শাহ আলমের পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে পায়ে হাটা রাস্তা আসামি পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া হাতে লাঠি সোঠা লোহার রড মাছ ধরার কোচা এবং ধারালো অস্র সহ অতর্কিত ভাবে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে।
মোঃ মোস্তফা জামান ও মোঃ আক্তার মণ্ডলের হাতে থাকা টর্চলাইট এর আলোতে আসামিদের চিনতে পেরে মারপিট না করার জন্য না করার জন্য অনুরোধ করে কিন্তু তারা খ্যান্ত না হয়ে মারপিট করতে থাকে তখন চিৎকার করতে থাকলে। ১ নং আসামি তার হাতে থাকা রড দিয়ে মোঃ মোস্তফা জামান মাথার উপর আঘাত করতে থাকে অকুলান হয়ে মোঃ মোস্তফা জামান ডান হাত দিয়ে রডের আঘাত ফিরানোর চেষ্টাকালে হাতের তালু ফেটে আঙ্গুল ভেঙ্গে রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর অবস্থা সৃষ্টি হয়। ২ নং আসামির হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে মোস্তফার চোয়ালে চোট মেরে গুরুতর জখম করে। ৩ নং আসামি মোস্তফা জামানের উপর লাঠি চার্চ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মোস্তফা জামানের সাথে থাকা মোঃ আক্তার হোসেন মণ্ডল মোস্তফাকে রক্ষার চেষ্টা করলে ৪ ও ৫ নং আসামি তাকেও এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে এবং ৩ নং আসামি মোঃ আক্তার হোসেন মণ্ডলের গলা পা দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করলে মামলার স্বাক্ষীগণ ছুটাছুটি করে এসে তাদের উদ্ধার করে।
২৬/৫/২০১৯ তারিখে কচাটাটা থানায় মামলা করে ভিকটিম মোঃ মোস্তফা জামানের বড় ভাই মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং জি আর ২৮/১৯।
এলাকাবাসী এটুকু সান্তনা পায় যে, অন্তত ঘটনার সত্যতা এবার বেরিয়ে আসবে। সঠিক বিচার হবে।
মামলার বাদী ও বিবাদী
বাদী মোঃ শহিদুল ইসলাম
পিতা মৃত্যু মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার
ভিকটিম - মোঃ মোস্তফা জামান
বিবাদী -
১/ আলমগীর হোসেন বয়স ৫২
পিতা মৃত্যু -ঃ আব্দুল হক
২/ আবু তালেব বয়স ৪৫
পিতা মৃত্যু - আব্দুল আজিজ
৩/ ফরিদুল হক বয়স ৪২
পিতা মৃত্যু - ফকর উদ্দিন
৪/ ফয়জুর রহমান বয়স ৫২
পিতা মৃত্যু - ফকর উদ্দিন
৫/ রফিকুল ইসলাম
পিতা মৃত্যু - মিয়া জান
ঘটনার তারিখ ২৪/৫/২০১৯
মামলার তারিখ ২৬/৫/২০১৯
মামলা নং জি আর ২৮/১৯
কচাকাটা থানা
ঘটনার তারিখ ২৪/৫/২০১৯
মামলার তারিখ ২৬/৫/২০১৯
মামলা নং জি আর ২৮/১৯
কচাকাটা থানা
রায়ের তারিখ ১৪/৯/২০২২
বর্তমান মামলার অবস্থা
স্বাক্ষী আরগুমেন্ট শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
১৪/৯/২২ তারিখে রায় ঘোষণার কথা থাকলে বাদীপক্ষ আদালতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট ২৫ হাজার টাকা নিয়ে বাদি পক্ষকে মিমাংসা হওয়ার কথা বলে। বাদী পক্ষ আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে আপোষ মিমাংসার প্রস্তাব প্রত্যাক্ষাণ করে।
বাদীপক্ষ যদিও আদালাতে হাজির হয় কিন্তু জামিনে থাকা আসামির কেউ হাজির হয়না মর্মে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়।
১৫তারিখে এপিপি পরর্তী রায়ের তারিখ ২১/৯/২২ ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।
তবে কচাকাটা থানায় খবর নিয়ে জানা যায় তাদের কাছে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা পৌঁছেনি।
১৮/৯/২২ তারিখ আসামী সবাই আদালতে হাজির হয়ে মিমাংসা শর্থে তাদের উকিলের মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্র আদালত ৪র্থ কুড়িগ্রাম জামিন মঞ্জুর করেন।
এমন বিচারকার্যে দরিদ্র পীড়িত বাদী পক্ষ চরম হাতাশাগ্রস্থ এবং নিরাপত্তা হীনতায় দিনযাপন করছে। একিসাথে প্রভাবশালী আসামির সবাই জামিন পেয়ে ২৫হাজার টাকায় মামলা মিমাংসা হবে মর্মে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ-ফুর্তি করছে। সেই সাথে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে।
এলাকাবাসির প্রশ্ন এটা কেমন বিচার? এমন নির্মম চাঞ্চল্যকর মামলায় এই বিচার? এরকম বিচার হলে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা হারিয়ে যাবে বলে তারা জানায়।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: