
রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবেই কিন্তু দুঃখ হয় যখন দেখি রুমিনা ফারহানা, হারুন রসিদ বা মীর্জা ফখরুল সাহেবরা সমালোচনা কিভাবে করতে হয় তা জানেন না সেটা দেখে।
চার্জ দ্যা গল বলেছেন, ‘politics is too serious a matter to be left to the politicians.’ রাজনীতিবিদরা যদি রাজনীতি না বুঝে তবে তাদের উপর দেশের দায়িত্বভার জনগন দেবে কিভাবে? মেধাহীন নেতৃত্ব কখনও দেশ বা জনগনের কল্যাণকর বা ভাল কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। শুধু চাপা আর মিধ্যার জোরে নয় বরং যুক্তির ভিত্তিতে তথ্য-উপাত্ত উপাস্থাপন করে সরকারের বিরুদ্ধে জনগনের কাছে বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্য সমালোচনা করা যায়। সমালোচনা করার নিয়ম হলো, “যে কোন বিষয়ে সমালোচনা করতে হলে বিষয়টির ভাল দিগগুলি আগে তুলে ধরা, তারপর নেগেটিভ সমালোচনা করা।” এমন সমালোচনা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায় কিন্তু ঢালাওভাবে নেগেটিভ ও মিথ্যা সমালোচনা জনগনের কাছে গ্রহণযোগ্য তো নয়ই বরং নেতারা জনগনের কাছে মিধ্যবাদি রুপে পরিগনিত হয়। এই সহজ বিষয়টুকু নব্য নেতাদ্বয় রুমিনা, নূরা, জুনায়েন মান্না বা ফখরুল সাহেবরা কি বুঝে না? কিসের পড়াশুনা আছে এদের?
একটা দেশের কোন রাজনীতিক সরকার কি খারাপ ভাবে দেশ চালাতে চায়? আওয়ামী লীগ হোক আর বিএনপিই হোক সরকার ভাল চলুক তা নিশ্চয় চায়?রাষ্ট্র পরিচালনায় ভাল-মন্দ নির্ভর করে সরকারের মেধা ও দক্ষতার উপর। পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির সমালোচনা সত্যিই তথ্যহীন ও মিথ্যাচারে ভরপুর, যা ইতিমধ্যেই নেতাদের মিথ্যাবাদি ও কৌতুককারে ভূষিত করেছে। আর বাজেট নিয়ে ১০০ ভাগ জনবান্ধব নয় বলে বিএনপির এমন মনোভাবের মন্তব্য মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
পদ্মা সেতু বা বাজেটের উপর কোনরুপ বিশ্লেষণ না করেই এমন মন্তব্য দলটির নেতৃত্বের বড্ড অপরিপক্কতা ধরা পড়ে। পদ্মা সেতু বা বাজেট যাই হোক না কেন, বিএনপির উচিত, দলের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের আলোকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্তভাবে দক্ষতার সাথে সমালোচনা করা কিন্তু বিএনপি তা করে? তাহলে শেখ হাসিনার মত দক্ষ নেতৃত্বের সংগে পাল্লা দিয়ে বিএনপি কি পেরে উঠতে পারবে?
পদ্মাসেতু তৈরীর সাফল্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সক্ষমতা, দক্ষতা ও দৃড়চেতায় যথেষ্ঠ প্রজ্ঞার ছাপ রেখেছেন। এই মুহুর্তও শেখ হাসিনার মত যোগ্য নেতৃত্ব বাংলাদেশে দ্বিতীয় কেউ আছে কি? ধন্যবাদ। ….
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: