
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আগামী মাসে তাইওয়ান সফর করবেন বলে স্পিকারের অফিস থেকে ঘোষনা দেয়া হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তারা বা রাজনীতিকরা তাইওয়ানে যাননি তা নয়। কিছুদিন আগেও সাবেক ট্রাম্প সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তাইপে গিয়েছিলেন। কিন্তু ন্যান্সি পেলোসি আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাজনীতিকদের একজন। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের পরেই তার অবস্থান। তিনি কোনভাবে একটি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ভুখন্ডে যেতে পারেন না।
বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ভুখন্ড কেন বললাম, তা শুনুন।
চীন চায় তার সাথে সম্পর্কযুক্ত দেশগুলো 'এক-চীন' নীতিতে যাতে বিশ্বাস রাখে। চীন তাইওয়ানকে তার অংশ হিসেবেই ধরে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নীতিকে বর্জন করে তাইওয়ানকে উসকে দিচ্ছে। চীন এটা নিয়ে একই সাথে ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন।
চীন হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ওয়াশিংটনকে। হুঁশিয়ারের ভাষাগুলো এমন, "সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখন্ডতা রক্ষায়" শক্ত ব্যবস্থা নেবে চীন। “যে কোনো পরিণতির দায় নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।"
চীন ব্যবস্থা হিসেবে কী নিতে পারে?
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীনা সামরিক বিমান স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে বহন করা বিমানকে ঘিরে ধরে তাইওয়ানের আকাশ সীমায় চলে যেতে পারে - যাতে তিনি তাইপেতে অবতরণ না করতে পারেন। এমন একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির মুখপাত্র হিসাবে পরিচিতি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস। ভয়ঙ্কর ব্যবস্থা।
বাইডেন প্রশাসনও এমন একটি কিছু ঘটার আলামত পেয়েছেন।প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছেন সেনা কম্যান্ডাররা মনে করছেন "এই মুহুর্তে স্পিকার পেলোসির তাইওয়ান সফর ইতিবাচক হবে না।" তাই তারা ন্যান্সির তাইওয়ান সফর নিয়ে ব্যাকফুটে চলে এসেছে। হোয়াইট হাউজ এবং পেন্টাগনের পক্ষ থেকে স্পিকারের অফিসের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে তিনি যেন এখন এই সফর স্থগিত করেন।
সূত্রঃ বিবিসি ও গ্লোবাল টাইমস
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: