
১৯৪৮ সালের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ছাত্রলীগ নামের সংগঠনটি একটি ব্রান্ডে রূপ নিয়েছে বলাই যায় । অবশ্যই ছাত্রলীগের সুবিধা নিয়ে অনৈতিকতার বিষয় সন্নিবেশিত নেই সেটা নয় । তবে এমন বিষয় থাকবে না এটা একটি অবাস্তব কল্পনা ।
একটি পরিবারের ৫ টি সন্তানের মধ্যে কেউ অপরাধ করবে না সেটা যেমন ঠিক নয়, বৃহৎ ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ নামক সংগঠন হতে অনৈতিক সুবিধা নিতে সেখানে কারো জন্ম হবে না সেটাও অবাস্তব কল্পনা । তবে সব কিছু ছাপিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ছাত্রলীগের গৌরবময় অধ্যায় । দেখা যায় তাদের ত্যাগ, দেখা যায় তাদের দেশপ্রেম । বঙ্গবন্ধু হয়তো এখানেই ছিলো সবচেয়ে বেশি স্বার্থক । আজ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নির্বাহী প্রধান , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । আজ দেশের ক্রান্তিকালে সেই ছাত্রলীগ তাদের ভূমিকা রাখবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি। সর্বোচ্চ মেধার ব্যাবহার করে তারা তাদের ভূমিকায় অনড় থাকবে সেটাই প্রত্যাশা । সোশ্যাল মিডিয়াতে এমনই প্রত্যাশা সবার।
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্টার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজপথে অকুতোভয় বীরের বেশেই খেলেছে পুলিশ প্রসাশন ছাড়াই। এই বাঙালি জাতিকে পুলিশ, আর্মি আর প্রসাশনের বিরুদ্বে খেলে কি করে চ্যাম্পিয়ন হতে হয় সেটা ছাত্রলীগই শিখিয়েছে।
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ পুলিশ, আর্মি প্রসাশন সবার বিরুদ্বে খেলে জয় নিয়েই ফিরেছিলো।
১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনেও রাজপথে ছাত্রলীগ রক্ত দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছিলো প্রসাশনের বিরুদ্বে খেলে।
১৯৬৬ এর ছয় দফার সময় ছাত্রলীগের সাথে পুলিশ ছিলনা, উল্টো বিপক্ষে পুলিশ, আর্মি সব ছিল তবুও
ছাত্রলীগ খেলছিলো এবং জয় পেয়েছিলো।
১৯৬৯ এর গনঅভুথ্যানে ছাত্রলীগের সাথে পুলিশ, আর্মি কেউ ছিলনা, বরং রাষ্ট্র যন্ত্র পুরোটাই ছিলো বিপক্ষে, এরপরও ছাত্রলীগ খেলছে এবং জিতছে৷
১৯৭০ এর নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাথে পুলিশ, অর্মি ছিলো না, তবুও ছাত্রলীগ নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করেছিলো।
১৯৭১ এর মহান স্বাধীন যুদ্ধে পুরো রাষ্ট্র যন্ত্র ছিলো বিপক্ষে, তবুও ছাত্রলীগ বিচলিত হয় নাই, ছাত্রলীগ দুর্দান্ত খেলে পৃথীবির বুকে বাংলাদেশ নামক একটি মানচিত্র অঙ্কন করেছিলো।
১৯৭৫-৯৬ পুরো ২১ বছর জিয়া, এরশাদ আর খালেদা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের সাথে পুলিশ ছিলোনা, তবুও ছাত্রলীগ খেলছিলো, প্রায় ২৭ হাজার নেতা কর্মী রক্ত দিয়েছিলো তবুও মাঠ ছাড়ে নাই কখনো।
১৯৯৬ এর ১৫ ফ্রেবুয়ারী নির্বাচনের পর ছাত্রলীগের সাথে পুলিশ ছিলোনা, মাত্র ১৫ দিনে সরকার ডাউন করাইয়া তারপর মাঠ ছাড়ছে৷
২০০১-০৫ এক ছাত্রলীগের বিপক্ষে পুলিশ, জেএমবি, খালেদা, নিজামি, তারেক, সরকার সব ছিলো, প্রায় ১৭ হাজার ছাত্রলীগ কর্মী প্রাণ দিছে, কিন্তু ছাত্রলীগ খেলা ছাড়েনি৷
২০০৬-০৮ এর ১/১১ তে পুলিশ তো সাথে ছিলোই না আর্মিও বিপক্ষে ছিলো, সবকিছুর বিপক্ষে খেইলাই ছাত্রলীগ জিতছিলো।
তখন মইন ইউ আহমেদ অতিষ্ঠ হইয়া কইছিলো--
‘‘ছাত্রলীগ যতদিন আছে শেখ হাসিনার কিচ্ছু করা যাবেনা।’’
আইয়ুব, এয়াইয়া, ভুট্টু, জিয়া, এরশাদ, খালেদা, নিজামি, তারেক সবার সাথে রাজপথের খেলায় জিতেই আজকের জায়গায় আইছে ছাত্রলীগ।
মনে রেখো- জয় বাংলার তেজোদৃপ্ত স্লোগানে পাহাড় ডিঙ্গীয়ে সামনে যেতে ভয় করেনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কারর্ন ছাত্রলীগের জনক বলে গিয়েছিলো--
---‘‘দাবায় রাখতে পারবা না’’
Daily J.B 24 / সোশ্যাল মিডিয়া নিউজ
আপনার মতামত লিখুন: