
সময় যখন মিথ্যাকে সামনে আনে তখন পিছনের দরজাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। বিএনপি এযাবৎ যে মিথ্যাচার করেছে সেটা এখন প্রমাণিত। দলটি এযাবৎ পর্যন্ত সকল #ইস্যুতেই #জনগন তাদের পাশে আছে বলে যে বক্তৃতা দিয়েছে সেখানে ছিলো শুভঙ্করের ফাঁকি। সংবিধান বলছে জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। অর্থাৎ ক্ষমতার উৎস একমাত্র জনগন।
রাজনীতি জনগন নির্ভর না হলে সেখানে আর যাই থাক, জনকল্যাণে কোন কিছুই থাকে না। আর জনকল্যাণমুখী কোন সংযোগ না থাকলে দেশের সকল কিছুই নিয়োজিত হয় বিদেশিদের স্বার্থে। বলতে বাঁধানেই বিদেশিরা অন্য যে কোন দেশে তাদের স্বার্থ বুঝে নিতে যা যা প্রয়োজন সেটাই করবে, তাতে জনগণের কি হল না হল কিছুই যায় আসে না তাতে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপিকে তার জনগণমুখি কর্মকাণ্ড নিয়ে শতভাগ পরাজিত বলেই মনে হয়েছে। আর তাই তারাও সরে এসেছে সেই জনগণ সাথে আছে বক্তৃতা হতে। এখন তারা সম্পূর্ণ বিদেশি শক্তির উপর নির্ভরশীল। মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র নির্ভরতা সেতো অনেক পুরাতন কথা। ৭১ সালেই প্রমান হয়েছে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করে না। জিয়া অগোচরে মার্কিনীদের সহায়ক হিসাবে কাজ করেছে সেটাতো নতুন কোন কথা নয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি আজও সেই মার্কিনীদের জুতা পরিস্কারে ব্যাস্ত।
সাম্প্রতিক সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বুঝিয়ে দিয়েছে মার্কিনীদের বিষয়ে তার কুটনৈতিক অবস্থান কি। শেখ হাসিনার মেরুদণ্ড কতটা শক্ত তা সে প্রমাণ করে দিয়েছে বিভিন্ন বার্তায়। মার্কিন সরকার এতে যে ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে এতেতো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রকাশ্যে শেখ হাসিনা নামক সুপার পাওয়ারকে ছুয়ে দেখার চেষ্টা করেনি। এর মানে এই নয়, তারা চুপ করে বসে আছে। মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র এমন একটি হিংস্র জাতি যে, তারা যে কোন অতি বিপদজনক সিদ্ধান্ত নিতে পিছ পা হবে না। তাই সাবধানতা অতি জরুরি।
কিন্তু আপাতত মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র তার বেতনভুক্ত কর্মচারী #জাতিসংঘকে বিএনপির কাছে পাঠিয়েছে, এরপরেই তারা তাদের গোলাম ইউরোপীয় ইউনিয়ন কে পাঠিয়েছে। হয়তো আরো কাউকে দেখা যেতে পারে।
এই ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা কি ভাবছেন?
এমন প্রশ্ন যদি কেউ করে, তাদের বলবো ফিরে যান মানবতাবিরোধীদের ফাঁসির সময়ে, ফিরে যান আন্তর্জাতিক ভাবে যুদ্ধনীতির দিকে, ফিরে যান বাংলাদেশের মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের নগ্ন আক্রমনের দিকে। শেখ হাসিনাকে সেখানে যে ভাবে দেখেছেন, আজও বিএনপির বিদেশিদের নিকট ধর্না দেয়ায় ঠিক একই ভাবে দেখবেন তাকে। যদি তাই না হত, তাহলে আপনারা ইতিমধ্যে ভিন্ন বাতাস দেখতে পেতেন। হয়তো দেখতে পেতেন বিদেশিদের সাথে বিএনপির পক্ষে কথা বলার কোন লোকই বাইরে নেই।
যাইহোক, বিএনপি জনগনের হাত ছেড়ে দিয়ে যখন মার্কিনীদের মাধ্যমে বিদেশিদের জুতা পরিস্কারে ব্যাস্ত, তখন বলতেই হয় রাজনীতিতে দেউলিয়া হতে আর কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। ভয় শুধু একটি স্থানে - সারাদেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেবার বাতাস হয়তো সাধারণ মানুষকে এদিক ওদিক করতে পারে। তার চেয়ে বড় ভয় - গুপ্ত হত্যা।
গুপ্ত হত্যা বিষয়ে আমি আর কিছুই লিখব না ।
আশাকরি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা সহ প্রশাসন এই শব্দের মর্মকথা বুঝবেন। আমার লেখা লাইক কমেন্টস পাওয়ার জন্য নয়। বাংলাদেশ সরকারের নিকট ম্যাসেজ প্রদান করা। আশাকরি আমি যা লিখেছি সেটা তারা বুঝবেন।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিস্ট
প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: