
বেসরকারি এজেন্সিগুলোর ব্যবস্থাপনায় যারা হজ্ব পালনে ইচ্ছুক, তাদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরে এতে মাথাপিছু সর্বনিম্ন খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা।
১২ মে ২০২২ বৃহস্পতিবার হজ্ব এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের জন্য ‘সাধারণ প্যাকেজ’ নামে একটি প্যাকেজ ঘোষনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রত্যেক এজেন্সি নিজ নিজ স্পেশাল প্যাকেজ করতে পারবেন। তবে কোনো প্যাকেজই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যের চেয়ে কম হবে না।
তিনি আরও জানান, সাধারণ প্যাকেজের হজ্ব যাত্রীদের পবিত্র হারাম শরীফের বাইরের চত্বরের সীমানার এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো প্রকার ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং তা হজ্ব যাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে।
হাবের সভাপতি বলেন, কোরবানির খরচ বাবদ প্রত্যেক হজ্ব যাত্রীকে ৪১০ সৌদি রিয়াল সমান পরিমাণ ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।
এর আগে, গতকাল বুধবার (১১ মে) সচিবালয়ে হজ্ব ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় সরকারিভাবে দুটি ও বেসরকারিভাবে হজ্ব পালনের ক্ষেত্রে একটি প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের এ কথা জানান।
এদিকে, সরকারিভাবে হজ্বে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্বে যেতে প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা। হিসাব অনুযায়ী, এ বছর প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে এক লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে ১ লাখ ২ লাখ ১৫০ টাকা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজ পালন করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ্ব অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজ্বে যেতে পারবেন।
Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: