
অভিযোগ ওঠেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি সুমা খাতুন ও তার পরিবার জামায়াত ইসলামী রাজনীতির সাথে জড়িত । তিনি কোনদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না ।
গত ২৩ জুলাই বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে সুমা খাতুনকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জেদ্দা পারভীন রিমি ও জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক রুমানা রেশমা ব্যক্তিস্বার্থে জামায়াত পরিবারের সদস্যদের যুব মহিলা লীগে পদ দিয়েছেন।
উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ করছেন । নেতৃবৃন্দের অভিযোগ,রাজনীতিতে সুমার এটি প্রথম পদ । কলেজ জীবনে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। তাদের পুরো পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস জানান, বেলকুচি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে যাকে সভাপতি করা হয়েছে সে কোনো আওয়ামী পরিবারের না। কোথা থেকে কাকে ধরে এনে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ওই মেয়ের পুরো পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।
কিন্তু এ বিষয়ে সুমা খাতুন বলেন ভিন্ন কথা । তার বক্তব্য, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারে সদস্য। আমাদের পরিবারে সবাই আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত।
সার্বিক এই বিষয়ে অর্থের লেনদেনের কথা ছড়ালেও লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জেদ্দা পারভীন রিমি অর্থের বিষয় অস্বীকার করে জানান, সকলকে সাথে নিয়েই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর অল্প সময়ের মধ্যে তেমন যাচাই-বাছাই করার সুযোগ হয়নি। তবে সুমা খাতুন শিক্ষিত-ভদ্র ও তার দক্ষতা রয়েছে। এ কারণে গুরত্বপূর্ণ পদটি তাকে দেয়া হয়েছে।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: