• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

জ্বলানী তেল নিয়ে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার গুজব রাষ্ট্র কতটা নজরে রেখেছে !

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৩১ পিএম
Bangladesh , Energy ,  Power ,  Fuel,  Economy , বাংলাদেশ , বিদ্যুৎ  , জ্বালানী

 

বাংলাদেশে কোন জ্বালানী সঙ্কট নেই। কিছু মিডিয়ায় যা প্রচার হচ্ছে, তা স্রেফ মানুষকে আতঙ্কিত করার একটি অপচেষ্টা। 
বাংলাদেশের জ্বালানীর মজুত কি শেষ?  
বাংলাদেশ কিভাবে জ্বালানী মজু্ত করে? 


গুজব নয়, সত্য জানুন। 
কয়েকটা মেইন স্ট্রিমের গণমাধ্যম এবং কিছু ফেসবুক পেইজ  সোশ্যাল মিডিয়াতে যেভাবে বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের মজুদ নিয়ে কথা বলছেন এবং ভবিষ্যৎবাণী করছেন তাতে মনে হচ্ছে যে দেশ বুঝি শ্রীলঙ্কা হয়ে গেল!


আসুন সত্য জানি: 
বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের রিজার্ভ সক্ষমতা সাধারণত ৪২-৪৫ দিনের। উল্লেখ্য বিএনপির সময়ের চেয়ে এই সক্ষমতা কয়েকগুণ  বৃদ্ধি পেয়েছে।বাংলাদেশের তেলের মজুদ সব সময়ের জন্যই ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই থাকে। যা এখনো তাই আছে। বর্তমানে আছে ৩৬ দিনের জ্বালানি মজুদ। ৩ টি মাদার ভেসেলে করে পরবর্তী জ্বালানি তেলের মজুদ বাংলাদেশ অভিমুখে রওনা দিয়েছে বেশ আগেই। তেল আমদানি একটি দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি ও বিশাল প্রক্রিয়া। আমাদের জ্বালানি আমদানির চুক্তি অনুযায়ী আমরা জ্বালানি অতীতে পেয়েছি, এখনো পাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও পাবো। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। 


তবে পেট্রোল, অকটেন বিষয়ে যে কথা বলা হচ্ছে তা হাস্যকর। কারণ বাংলাদেশের চাহিদার প্রায় পুরোটুকুই আমরা নিজস্বভাবে উৎপাদন করি। এখানে মজুদ থাকা না থাকর কোন প্রশ্ন কেন আসছে সেটা বোধগম্য নয়। আসলে যারা এই নিউজ তৈরি করেছে তাদের নিজেদেরও এটা জানা নেই। 


আবার জেট ফুয়েল বেশিদিন স্টোর করে রাখা যায়না। এর এক কথায় উত্তর, ধরেন আপনি ৫ লিটার জেট ফুয়েল রাখলেন ১ মাস পরে সেটা ৩ লিটারে নেমে আসবে। এ কারণে অল্প সময়ের জন্য জেট ফুয়েল সংরক্ষণ করা হয়। 
যারা বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের মজুদ সংকটের কথা বলছেন তারা হয় এ বিষয়ে কিছু জানেন না বা মানুষকে আতঙ্কিত করে ভিন্ন কোন স্বার্থ হাসিল করতে চায়।


গুজব বিষয়ে সতর্ক থাকুন। 


যেকোন তথ্য যাচাই করুন তারপর শেয়ার করুন।

উল্লেখিত বক্তব্য লিখেছেন - Enamul Hoque Enamul 

 

আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য 

  • দেশের মধ্যে মেইনস্ট্রিমে চলমান সংবাদ মাধ্যম যখন গুজব ছড়ায় তখন অন লাইনে কে কি বললো সেটা মনিটারিং করার কোন প্রয়োজন আছে কি ? 
  • অনলাইনে কেউ গুজব ছড়ালে তখন তাকে আইনের হাতে নিয়ে আসতে যে প্রচেষ্টা সেটা মেইন স্ট্রিম সংবাদ মাধ্যমের বেলায় নয় কেন ?
  • ডেইলি স্টারের বাংলা ভার্সন জ্বালানি তেল নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, পরক্ষনেই সেই নিউজ আর তাদের পত্রিকায় পাওয়া যায় নি । একটা বিষ বাস্প স্প্রে করে দিয়ে বাতাসকে বিষাক্ত করার পরে যদি সেই স্প্রেকৃত বিষের মেশিন সরিয়ে নেয় তাহলে আসলেই কি কোন লাভ আছে ?
  • যেটা করার সেটাতো করার হয়েই গেছে । তাহলে এই দায় দায়িত্ব কার ?
  • তাদের নিউজ সরিয়ে নেয়া মানেই তারা যা লিখেছিলো , যে গুজব ছড়িয়েছিলো সেটা মিথ্যা , বানোয়াড অ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত । সেই নিউজ সরিয়ে নিলেও সেটার কপি সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়ে গেছে । তাহলে ডেইলি স্টার এই বিষয়ে কি ব্যাখ্যা দেবে ? যদি ডেইলি স্টার ব্যাখ্যা না দেয়, আইনের হাতকড়া না পড়ে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই নিউজের গুজব প্রচারের জন্য প্রচারকারী কি আসলেই অপরাধী ? 

 

জানিনা রাষ্ট্র কেন এতো দুর্বল ভাবে নিজেকে , ডেইলি স্টার সহ যে সকল মেইন স্ট্রিম মিডিয়া এইগুজব ছড়িয়ে আবার নিজেরা নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে এর মানে এই নয় তারা নিরপরাধ হয়ে গেছে । 

উল্লেখ্য যে, এই সকল মিডিয়া এমন ভাবে সংবাদের শিরোনাম দেয়, দেশের সাধারন মানুষ সেটা দেখেই তার অবস্থান ঘোষনা করে । বর্তমান এই সকল মিডিয়া যারা সরকারের বিরুদ্ধচারন করে তারা বিষয়টি পরিস্কার করে কখনই বলে না , সেই হিসাবে শিরোনামও দেয় না । সংবাদের বডি পাঠ করা মানুষের সংখ্যা খুবই কম। শুধুমাত্র শিরোনাম পাঠ করেই বিষয়কে নিজের মতো করে সামনে নিয়ে আসে। 

জ্বালানি তেল একটি সাইকেলিক আমদানি পদ্ধতি । আগামী ৬ মাসের আমদানি শিডিউল বাংলাদেশের প্রস্তুত রয়েছে । ২/১ দিনের মধ্যেই মেইন ডিপোতে জ্বালানি তেল সংযোজিত হবে । BPSC তাদের সাইকেলিক পদ্ধতি রুটিন মাপিক সম্পন্ন করেই বসে আছে । অথচ মেইনস্ট্রিম মিডিয়া শুধু মাত্র বর্তমান মজুদ তুলে ধরেই সংবাদ পরিবেশন করে । (অথচ বর্তমান মজুদের হিসাবেও চলে চক্রান্ত) 

এসব মিডিয়াকে যদি শিরোনাম বিষয়ে সতর্ক না করা হয়, একটা সংবাদের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বাধ্যবাধকতা নির্ধারন না করে দেয়া হয়, তখনই তৈরি হয় গুজব। যা নিয়ন্ত্রনে পরবর্তিতে প্রয়োগ করতে হয় দ্বিগুণ শক্তির ইফোর্ট । অথচ পূর্বেই এই গুজব সরকার চাইলেই ধ্বংস করতে পারে । 

এটা নয় যে সব বিষয়ে এই সকল মিডিয়া এমন ভূমিকা নেয়, স্পর্শকাতর কিছু বিষয় এলেই সরকারের বিপক্ষে জনমত তৈরি করতে তাদের পথ চলা শুরু হয় ।   

অন লাইনে লক্ষ কোটি পাহারাদার বসিয়েও আসলে কি কোন লাভ আছে ? যদি মেইনস্ট্রিমকে আইনের হাতকড়া পড়ানো না যায় ?? 

 

 

 

Daily J.B 24 / অনলাইন ডেস্ক

খোলা-কলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ