
জ্বালানী নিরাপত্তায় দেশে দুটি বড় প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমদানি করা জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে খালাস করার জন্য গভীর সমুদ্রে ডাবল পাইপলাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে। শেষ হবে সামনের সেপ্টেম্বরে। প্রকল্পটি চালু হলে ১১ দিনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল খালাস করা যায়, সেটির সময় কমে আসবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায়। বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। লাগবে না লাইটারেজ জাহাজে করে তেল খালাস করা, বন্ধ হয়ে যাবে চুরি।
সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বয়াটি মহেশখালী দ্বীপের পশ্চিম পাশে স্থাপিত হয়েছে। জাহাজ থেকে ক্রুড অয়েল ও ফিনিশড প্রডাক্ট সরাসরি ভেসেল মুরিং পয়েন্টে আনা হবে। সেখান থেকে পাম্প করে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথমে তেল আনা হবে মহেশখালীর কালারমারছড়ার স্টোরেজ ট্যাংকে। সেখান থেকে আবার পাম্প করে পাইপলাইনে পাঠানো হবে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। প্রকল্পের জন্য ছয়টি স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি পরিশোধিত তেলের জন্য ও তিনটি অপরিশোধিত তেলের জন্য। প্রতিটি পরিশোধিত স্টোরেজ ট্যাংকারের ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার ঘনমিটার। অপরিশোধিত স্টোরেজ ট্যাংকারের ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার ঘনমিটার।১৩৫ কিলোমিটার অফশোর পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। ১৭টি এইচডিডিসহ অনশোরে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে।
৭ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংক দিচ্ছে ৪৫০০ কোটি টাকা, যেটা ২% সুদে ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এই প্রকল্প শেষ হলে ইস্টার্ন রিফাইনারীর পরিশোধনের ক্ষমতা হবে বছরে ৪৫ লক্ষ টন এবং জ্বালানী ধারন ক্ষমতা ৬০ দিনে উন্নীত হবে।
অপর প্রকল্প পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটারের তেল সঞ্চালন পাইপলাইনের কাজ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা আছে।এই পাইপ লাইন চালু হলে বিপিসির তেল পরিবহণের ট্যাংকার গুলি আর প্রয়োজন হবে না। এখন এইভাবে তেল পরিবহনে বছরে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়।
এই প্রকল্পগুলি চালু হলে জ্বালানী সেক্টর অটোমেশনে চলে যাবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর, এই কাজগুলি আসলে অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। শেখ হাসিনার আগে ২৮ বছর যারা সরকারে ছিল কেউ চিন্তাই করে নাই এই সেক্টরকে অটোমেশনে নিয়ে দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা তৈরী করা।
© Jamil Hasan
Enamul Hoque Enamul ভাইয়ের ওয়াল থেকে
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: