• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ট্রান্স-এশিয়ান যোগাযোগ মাধ্যম হবে পদ্মাসেতু । সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন যাবে ইউরোপে ।

তৈমূর মল্লিক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৬:৩৭ পিএম
ট্রান্স-এশিয়ান যোগাযোগ মাধ্যম, পদ্মাসেতু,  সিঙ্গাপুর থেকে পদ্মাসেতু, ট্রেন যাবে ইউরোপ
ফাইল ছবি

নিজেদের সক্ষমতা বলে অবিস্মরণীয় এক বিজয়ের নাম "পদ্মা সেতু"। শুধু বাংলাদেশ নয়, সড়ক বা রেলপথে বিশ্বভ্রমণের স্বপ্নপূরণে আরো এক ধাপ দেবে এই সেতু। সিঙ্গাপুর থেকে ইউরোপে ট্রেন যাবে পদ্মার বুকে কদম রেখে। পদ্মাসেতু নিজের বুকে করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গেও যুক্ত করবে । 

এই নেটওয়ার্ক চালু হলে ভারত, ভুটান ও নেপালে সরাসরি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের দুয়ার খুলে যাবে। সেতুর দুই পাড়ে চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা মিলেছে আগেই। এটি মোংলা ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে যুক্ত করবে। যুক্ত হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে। ঢাকা, বেনাপোল ও তামাবিল হয়ে ভারত-পাকিস্তান-আফগানস্তান যাওয়া যাবে এ সড়ক ধরে।

 

পদ্মা সেতু ট্রান্স এশিয়ান রেল লাইনের জন্য বড় সম্ভাবনার একটি দরজা ।  
ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে দরকার ১৬৯ কিলোমাটার রেলপথ। সে কাজও চলছে। এরই মধ্যে গেন্ডারিয়া, মাওয়া, জাজিরা, ভাঙ্গা রুটের কাজ প্রায় শেষ। এখন অপেক্ষা বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরীর ওপর ১৭ কিলোমিটার রেল ব্রিজ নির্মান অবধি । এই ব্রিজ নির্মাণ হলেই ট্রান্স এশিয়ান রেলে যুক্ত হবে এই সেতু। এর মাধ্যমে যোগাযোগ ঘটবে এশিয়া ও ইউরোপে।

ঢাকা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, নড়াইল, ফরিদপুর, যশোর, বেনাপোল- উত্তরে চিলাহাটি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত যাবে এই পথ। যা ইস্তানবুল, তেহরান, ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকা-দিল্লিকে যুক্ত করবে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত হবে দুই মহাদেশের দুই দূরতম প্রান্ত। যা ঢাকাকে ছুঁয়ে যাবে। আর ইস্তাম্বুলকে যুক্ত করবে টোকিওর সঙ্গে।

সঠিক পরিকল্পনাহীন যে কোন কর্মই অনিশ্চয়তা আর অন্ধকারের মধ্যে হাতড়ে বেড়ায় । একটি সঠিক পরিকল্পনাই পারে ভবিষ্যতকে আলোকিত করতে ।  

ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কে যখন সিঙ্গাপুর থেকে ইউরোপে ট্রেন যাবে, তখন পদ্মাসেতু হয়ে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে যাবে এই পথ ধরে। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেও এত দ্রুত গতিতে কোনো সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলে না। 
পণ্য-যাত্রী নিয়ে ছুটবে এই ট্রেন, আর তাই ভবিষ্যৎ চিন্তাকরেই সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে হেভি লোডেড সেতু ও রেলপথ বানানো হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এক শতাংশ অবদান রাখবে পদ্মা সেতুর এই রেল সংযোগ। 

দেশের অভ্যান্তরে দুর্গন্ধযুক্ত একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের হিংস্র দোশর জামাত শিবির প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে । নানাবিধ প্রশ্নে জর্জরিত করার অপেচেষ্টা চালিয়েছে তাদের দল ও বুদ্ধিজীবী সমাজ । যেই মুহুর্তে তারা কিছুটা হলেও শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার তথ্য জ্ঞাত হয়েছে, সেই মুহুর্ত থেকে তারা চেষ্টা করছে কি ভাবে শেখ হাসিনাকে হটিয়ে তার স্থানে নিজেদের নাম স্থাপন করা যায় । 
উদাহরন দিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উদাহরন সামনে আনা যায় । জিয়াউর রহমান যে ভাবে স্বাধীনতার ঘোষক হবার চেষ্টা করেছে, তার দল যে ভাবে সেই চেষ্টাকে অসত্য ও উদ্ভট ভাবে উদীয়মান সমাজের নিকট তুলে ধরেছে , ঠিক একই ভাবে পদ্মাসেতুর কৃতিত্ব তারা নেবার জন্য সাম্প্রতিক কি কি বলেছে তা আমরা সবাই অবগত । 
আমরা দেইনি সেই মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত হতে । আজ তারা অবশ্যই বুঝতে পারবে শেখ হাসিনার পরিকল্পনা কতদুর গিয়েছে, এবং কতদুর নিয়ে তার ব্যাপ্তি । 

আজ পদ্মাসেতু যখন  ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের মাধ্যম হতে চলেছে তখন প্রশ্ন জাগে - রাজনীতি অনেকেই করে, আগামীতেও করবে । ক্ষমতায় অনেকেই বসে , আগামিতেও বসবে কিন্তু শেখ হাসিনা হতে পারবে কি কেউ ? আর তাইতো তিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। আর তাই আমরা বলি - শেখ হাসিনা একজনই হয় । যেমন বঙ্গবন্ধু একজনই । 

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা । 

 

 

  • মোঃ তৈমুর মল্লিক 
  • কলামিস্ট 
  • প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক 
  • দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

সম্পাদকীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ