
চলাচলের জন্য এখন পুরো প্রস্তুত স্বপ্নের এই সেতু। কাজ শেষে পদ্মার মূল সেতু, প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের কাছে সেতু বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারের কর্মকর্তারা। এখন উদ্বোধনের জন্য সেতু ঘিরে চলছে তোড়জোড়। এরপর প্রকল্প পরিচালক যে কোনসময় সেতু কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেবেন পদ্মা সেতু। টোল আদায়, রক্ষণাবেক্ষণসহ পুরো দায়িত্ব সেতু কর্তৃপক্ষের।
আকারের দিক থেকে পদ্মা সেতু বিশ্বে দীর্ঘতম নয়। তবে কিছু কারিগরি দিক থেকে এটি অন্যগুলোর চেয়ে বিশেষ। এই সেতু নির্মাণে হয়েছে কয়েকটি রেকর্ড। এর মধ্যে আছে সবচেয়ে গভীরে পাইল ফাউন্ডেশন, আর এ কাজে অবলম্বন ছিল স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যামার। স্প্যানে যুক্ত করা হয়েছে সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন বেয়ারিং। যা ৯ মাত্রার ভূমিকম্প ঠেকিয়ে দেবে। এছাড়া সবচেয়ে দীর্ঘতম এলাকা নদী শাসনের আওতায় আনতে হয়েছে গর্বের এ সেতু নির্মাণে।
২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি। ২৫ জুন সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে মাওয়ায় সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন এবং ফলক উন্মোচন করবেন এরপর টোল দিয়ে সেতু পার হয়ে জাজিরা প্রান্তে আরেকটি ফলক উম্মোচন করবেন এবং জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
জেবি/পদ্মাসেতু
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: