
দেশের বাজারে ডলার যেন সংকট কাটছেই না। সংকট নিরসনে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবুও সংকটের সুযোগ নিয়ে ইচ্ছেমতো দামে খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার খোলাবাজারে এক ডলার কিনতে খরচ হয়েছিল ১০৪ থেকে ১০৫ টাকা। একদিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ডলারপ্রতি ১১০ থেকে ১১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলাবাজারে ডলার না থাকায় মূলত চড়া দামে ডলার বিক্রি করছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ডলার সঙ্কটের পেছনে কি শুধু বিশ্ব অর্থনৈতিক অস্থিরতা দায়ী নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্যকোনো ষড়যন্ত্র?
এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেছে, ডলার নিয়ে ভয়াবহ কারসাজির অভিযোগ। ডলার সঙ্কটের নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াত পরিচালিত কিছু মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান, কিছুসংখ্যক অসৎ ব্যবসায়ী ও কয়েকটি ব্যাংক জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অসৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ডলারের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন এমন ধারণাও করা হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াতগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন দুষ্ট চক্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে সঙ্কটকে আরও বেগবান করে সরকারকে সঙ্কটে ফেলতে বাজার থেকে ডলার নিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করে সঙ্কটকে আরও প্রখর করে তুলছে। ফলে ডলার দাম হু হু করে বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এই বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন যে, সিন্ডিকেট করে ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ব্যাংক ও কার্ব মার্কেট সংশ্লিষ্টরা ব্যবসা করার জন্য ডলারের দর বাড়াচ্ছেন। কিছু ব্যাংক ডলার বিক্রি করে বিশাল অঙ্কের মুনাফা করছে। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দর ৯৪ টাকা ৬৮ পয়সা। এ দর নির্ধারণ করেই বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে। কিন্তু খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলারের দাম বেড়েছে এটা সত্যি। চাহিদার তুলনায় জোগানের ঘাটতি রয়েছে এটিও সত্য। কিন্তু এই সংকট আরও বেশি ঘনীভূত করা এবং কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে বাজারে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী, কয়েকটি মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
লেখক, কলামিস্টঃ Enamul Hoque Enamul
জয় বাংলা ২৪ / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: