
আগামী জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রিক বিএনপির আন্দোলনের ফসল সম্ভবত চূড়ান্ত পরিনতির দিকেই অগ্রসর হয়ে গেছে। অনেক আগে থেকেই লিখে আসছি, বিএনপি নির্বাচনে আসবেই। প্রয়োজন হলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করেই আসবে।
বিএনপির আন্দোলনের জোট বদ্ধ চর্চায় ঘাটে ঘাটে ঘুরেছে। এমনকি নুরু নামক ছেলেটির নতুন রাজনৈতিক দলের নিকটেও নিজেদের মাথা বিক্রি করেছে। নাম আছে, দল আছে, ১ জন নেতাও আছে কিন্তু আর কিছুই নেই এমন দলের নিকটেও তাদের মাথা বিক্রি করতে হয়েছে।
আন্দোলন এর সূত্র ধরে বিএনপি নানা প্রকার দফা নিয়ে চিন্তিত ছিলো। দফা আসলে কয়টা হবে সেটা নিয়েও ছিলো সন্দিহান। কারন দফা নির্বাচন করতে গেলে যুৎসই একজন নেতার প্রয়োজন। যার নির্দেশ মোতাবেক দফা রফা হবে। কিন্তু বিএনপি যে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অসহায় দলে পরিনত হয়েছে সেটা তারা প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। ভয়ংকর নেতৃত্ব শূন্য একটি দলে রূপ নিয়েছে সেটা তাদের নির্বোধ অনুসারীদের বুঝতে দেননি। আর এই কাজে তারেক রহমান সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থের বিনিময়ে পেইড এজেন্ট তৈরি করে, দেশে বিদেশে বসে নানামুখী প্রচারণা চালিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে৷
দিন যতো যাচ্ছে ততোই তাদের চেষ্টার ব্যার্থতা প্রকট হয়ে নেতৃত্ব শূন্যতা সামনে চলে আসছে। তারেক রহমান বাংলাদেশ থেকে ব্যাবসা বুঝে নিতে এক ধরনের হুকুম জারি করে, অন্যদিকে গোপনে তারেক রহমান বিরোধী জোট নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হুকুম জারি করে। সেই টানা পোড়নে বিএনপির দফা এসে দাঁড়িয়েছে ২৭ টিতে।
আসলে এই ২৭ দফার প্রায় সম্পূর্ণটাই জিয়াউর রহমানের দফার নকল। যার বাস্তবায়ন জিয়াউর রহমান করেনি, খালেদা জিয়াও করেনি। প্রশ্ন হলো এখন কেন তবে সেই কুমিরের ১ টা বাচ্চাই বারবার দেখাচ্ছে শিয়াল পন্ডিত?
নিশ্চই তার কারণ রয়েছে। নেতৃত্ব শূন্য একটি দলের, বা বিএনপির মধ্যে এমন কোন রাজনৈতিক নেতা নেই যার দুরদর্শিতায়, প্রজ্ঞায়, মেধায় নতুন কোন ইউনিক দফা সামনে আসতে পারে। যারফলে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মতো অবস্থা। জিয়াউর রহমানের দফার নকল করে কোন রকম তার অনুসারীদের বুঝিয়েছে। যা বাস্তবে রূপ দেবার ক্ষমতা তাদের নেই। সেটা থাকলে জিয়াউর রহমান বা খালেদা জিয়া নিজেরাই বাস্তবে রূপ দিতো।
কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য করেছেন কি, নতুন একটি বিষয় বিএনপি দফায় যুক্ত করেছে। "কেউ ২ বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না"।
এই লাইনটার মাজেজা বড্ড চমৎকার। তাদের এই একটি দফায় খালেদা জিয়া তাদের দল থেকে বাদ দেয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেলো। খালেদা জিয়া এখন মুক্ত থাকলেও তার প্রধানমন্ত্রীত্ব শেষ। তাহলে এতো দিন ধরে যারা ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছে খালেদা জিয়াই হবে প্রধানমন্ত্রী, তার আদেশে দেশ চলবে, এসব বাদ হয়ে গেলো?
অন্যদিকে তারেক রহমান মাথায় দন্ডাদেশ নিয়ে দেশ ছেড়ে পলাতক, রয়েছে আর কোনদিন রাজনীতি না করার নাকেখত দেবার দলিল, হারিয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, হয়েছে বৃটিস নাগরিক। তাহলে এখন কি হবে? একটায় জিতে গেলেও অন্যটায় ফেঁসে গিয়ে তার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন শেষ।
তাহলে কে হবে বিএনপির কান্ডারী?
মির্জা ফকরুল?
ড. ইউনুস?
মির্জা আব্বাস?
দুদু?
গায়েস্বর চন্দ্র রায়?
ড. কামাল?
নুরু?
নাকি নুরুর অতি বুদ্ধিজীবী, অর্থমন্ত্রীর ছেলে!
আরো কেউ থাকলে নাম আপনারা যোগ করে নিতে পারেন।
আমার লেখার উদ্দেশ্য হলো, খালেদা জিয়াকে বাদ বিএনপি নিজেই দিয়েদিলো। এই দায় শেখ হাসিনা সরকারের নয়।
এতসব বার্তায় বিএনপির ভবিষ্যৎ কি?
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
মোঃ তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: