• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  রবিবার, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

তবে কি শেষ হতে চলেছে দলবাজ লুটেরাদের দিন! আসছে "হাসিনা একশান"!

তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৮ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৩৬ এএম
দলবাজ লুটেরা , হাসিনা একশান , দুর্নীতি মুক্ত , হাইইব্রিড , নেতা কর্মি , আওয়ামীলীগ, বিএনপি , জামাত
ফাইল ছবি

 

 

তবে কি শেষ হতে চলেছে দলবাজ লুটেরাদিন?  প্রশ্নটা এভাবে করেছি বলে অবাক হবার কিছুই নেই।  শেখ হাসিনা, এমন একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব যিনি যদি একবার আপোষ নয় বলে সিদ্ধান্ত নেন, সে যেই হোক তিনি যে আপোষ করবেন না সেটা অন্তত শতভাগ নিশ্চিত বলাই যায়।  
তবে কি "হাসিনা একশান" আসন্ন!  


প্রাথমিক ভাবে ১৭০০ জনের যে তালিকায় প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন থাকার কথা ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের কি অবস্থা এখন সেটা বলা বাহুল্য। রীতিমতো দুঃসময়ের হাতছানিতে তারা থাকছে বলেই শোনা যাচ্ছে।  এই দলবাজ লুটেরাতো নয়ই, তাদের সহায়তাকারীরাও রেহাই পাবেনা বলেই শোনা যাচ্ছে।  
আমরা হয়তো দুদককে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি যেভাবে জেগে ওঠে, ঠিক সেইভাবে জেগে উঠতে দেখতে পারি।  
শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে ফেনা তুলে আর মুজিবকোট গায়েদিয়ে যারা মাত্র ৫/৭ বছরের মধ্যেই হয়েছে শত হাজার কোটি টাকার মালিক, অর্থ বিত্তের প্রভাবে তাদের পাস ঘেষে চলতে পারেনা সাধারণ মানুষ, তাদের স্থাবর, অস্থাবর সবকিছুর জবাব আইনের নিকট দিতেই হবে এমন যদি হয় তাহলে অবাক হবার মতো কিছুই থাকবে না।  


কারন শেখ হাসিনা জানে এইসব দলবাজ লুটেরাদের দৌরাত্ম কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। দেশের আনাচে কানাচে বাগিয়ে নিয়েছে দলের পদ পদবি। ত্যাগী আওয়ামিলীগ তাদের হাতে জিম্মি হয়ে আজ চোখের পানি ফেলছে।  তাদের আংগুল হেলনে শেখ হাসিনার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জিত সোনার বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন একটা স্থানে গিয়ে থমকে যাচ্ছে।  উন্নয়নের সুবিধা সারাদেশে পৌছানোর পথে প্রধান অন্তরায় তারাই।  


শুধুমাত্র দলবাজ লুটেরাতেই সীমাবদ্ধ এমন নয়। বিভিন্ন গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে ৭০০ মতো সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তার ফাইল।  আর তাই বলাই যায় "হাসিনা একশান" যে কোন মুহুর্তে পালটে দেবে দেশের চলমান পরিস্থিতি।  আর সেটাইতো সাধারণ মানুষ চায়। 


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে নব্য আওয়ামীলীগার যারা হাইব্রিড, কাউয়া টাইপ আওয়ামিলীগার তারা কোন ভাবেই দেশকে, বঙ্গবন্ধুকে ও শেখ হাসিনাকে লালন করেনা। শুধুমাত্র নিজেদের কৃতকর্ম হতে রেহাই পেতে আর অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ক্ষমতার রাজকাহিনীতে নাম লিখিয়েছে।  
বলাই যায় তারাই এখন সবচেয়ে বেশি আওয়ামিলীগ দরদি। কোন ভাবেই তাদের দরদের কাছে ত্যাগী নেতা কর্মি দাঁড়াতে পারবে না।  উলটা সেই ত্যাগী নেতা কর্মিরাই সারাদেশে হাইব্রিড, কাউয়ালীগের হাতে আইনি ভাবে, সামাজিক ভাবে, ব্যাক্তিগত ভাবে নাজেহাল শুধু নয় রীতিমতো জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। 
বর্তমান এম পি, মন্ত্রী, নেতা, উপনেতা, পাতিনেতা সকলের নিকট এই হাইব্রিড ও কাউয়ালীগ অতি জনপ্রিয়।  এদের মধ্যেই একটি বৃহত অংশ রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে সমাজে সকল বিশৃংখলার দায় নিজেদের দায়িত্বে নিয়ে নিয়েছে। এদের জন্যই ঘটছে সমাজে নানামূখী বিশৃঙ্খলা, দখলদারিত্ব, হত্যা, মারামারি, কাটাকাটি ইত্যাদি। জবরদখলতো রয়েছেই। সেই সাথে রাষ্ট্রীয় জটিলতা সৃষ্টিতে এদের জুড়িমেলা ভার। আঙুল ফুলে কলাগাছ হবার কারনে তারাই এখন শাসন শোষনে দুর্বার হয়ে টেন্ডার বাজি, তদবির বাজি, দখলবাজি সব বাজিতেই তাদের এখন রমরমা পথ চলা। বৈধ আয়ের কোন সূত্র ছাড়াই শত হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এইসব হাইব্রিড কাউওয়ালীগ খুব দ্রুত ঘড়ির কাটার বিপরীতে চলতে শুরুকরবে বলেই শোনা যাচ্ছে। 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে হঠাত আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া হাইব্রিড নেতাদের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাকে পৃথক পৃথক নির্দেশ দেন। সংস্থাগুলোর তদন্তে উঠে আসে মাত্র ৫/৭ বছরের মধ্যে হাইব্রিড নেতাদের অন্তত ২৬০০ জন বনেছে হাজার কোটিপতি। পাশাপাশি দলবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যেও এ ধরনের ৭০০ কর্মকর্তার তালিকা প্রনয়ণ হয়। মোট ৩৩০০ জনকে ‘দেশ লুটেরা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথম দফায় ১৭০০ জন হাইব্রিড নেতা ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
করোনার জন্য বিষয়টি একটু থমকে গিয়েছিলো। এ মুহূর্তেই সকল লুটেরাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত কার্যক্রম শুরু করা যায় মর্মে আবার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। ফলে খুব শিগগির  লুটেরা বিরোধী ‘দুর্যোগ অভিযান’ শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লুটেরা’দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকাতেই অন্যদিকে দেশ লুটেরা সর্বনিম্ন তালিকাভুক্ত জেলা হচ্ছে খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে সর্বমোট ১১ জন নেতা ও কর্মকর্তাকে ‘দেশ লুটেরা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি পশ্চিম জেলা এলাকার একজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে শীর্ষ লুটেরা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুবলীগের অতি সাধারণ একজন সদস্য রাতারাতি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পরক্ষণেই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমত অবাক বনে যান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জায়গা জমি বেশুমার জবর দখল, সরকারি প্রকল্পেও চাঁদা আরোপ, বিভিন্ন গোপন সংগঠনের নামে দেদারছে বখড়া আদায়ের অসংখ্য অভিযোগ উল্লেখ করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।


তাই "হাসিনা একশান " এসেগেলে রাতারাতি পালটে যেতে পারে অনেক কিছুই। তবে এতে বিরোধী শিবিরের আত্মতুষ্টিতে ভোগার কিছুই নেই। কারন যারাই এই লুটেরা নামে খ্যাত আপাত দৃষ্টিতে তারা আওয়ামিলীগ নামে পরিচিতি থাকলেও এদের যে আসলেই কোন দল হয়না সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।  
ক্ষত সে মানুষের শরীর বা গরুর শরীর যেটাই বেছেনিক, সেটা যে ক্ষত তাতে কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়। আর তাই এইসব লুটেরাদের একমুখ যেমন আওয়ামিলীগ বহন করে অন্যমুখ বহন করে বিরোধী শিবির। শরীর থাকে পেন্ডুলাম হয়ে।  তাই খুশির কিছুই নেই।  কারন একিশানটার নাম হাসিনা একশান।  
সো নো চিন্তা ডু ফুর্তি। 
আমরা মাননীয়_প্রধানমন্ত্রীর নিকট এই অভিযানটাই চাই। দুর্নীতি মুক্ত হোক বাংলাদেশ। ত্যাগী নেতাকর্মি ফিরে আসুক আওয়ামিলীগে। যারা সত্যি সত্যি এই দেশ, জাতির প্রাণ শক্তি। 

 

 

 

মোঃ তৈমুর মল্লিক 
কলামিস্ট 
প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক 
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

সম্পাদকীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ