• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

তোমরা যারা বিএনপি ফুলচন্দন দিয়ে পুজো করো…….

Nazmul Haque Bhuiyan
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:২৫ পিএম
রাজাকার, সালাউদ্দিন কাদের , হুম্মাম, সাকা, আন্দোলন

 

"এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বলে দিতে চাই, ক্ষমতা ছাড়ার পর একা বাড়িতে যেতে পারবেন না। প্রত্যেকটা শহীদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করব।…..যাওয়ার আগে বাবার স্লোগান আপনাদের বলে যেতে চাই, নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির। আমরা যখন আবার এই ময়দানে আসব, সরকার গঠন করে আসব।”…


হুকাচোর মামা বাড়ির আবদার। অর্থাৎ বিন্পি ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেকটা তথাকথিত শহীদ মানে তার বাপের মত রা*জা*কার*দের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হবে। 
কাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে? 
আমদেরকে! 


আমরা মানে যারা তার বাপের বিরুদ্ধে ছিলাম, যারা যুদ্ধাপরাধী বিচারের পক্ষে ছিলাম, যারা স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি……..সাথে আপামর মাঠ পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের কথা বলাটা বাহুল্য হয়ে যাবে। সবাই তাদের টার্গেটে আসবে।


তোমরা যারা আমাকে প্রায়শই বলো, আপনি লীগের দালালী কেন করেন? তাদেরকে আজকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই কেন আমি আওয়ামী লীগের দালালী করি। 


এই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যে রাজাকার ছিল সেটা জানার জন্য অন্তত আমাকে ইতিহাস ঘাটতে হবে না। তার জীবন্ত প্রমান আমার পাশের রুমে ঘুমায়। আমার বাপ।


এখন আমার মুক্তিযোদ্ধা বাপ ১৯৭১ সালে যাকে মারার জন্য গুলি করেছিলেন, আমৃত্যু যে গুলীর দাগ পশুটা পায়ে বহন করে গিয়েছিল, তোমরা তাকে বলছো "শহীদ"! তার জারজ সন্তানকে তোমরা বানিয়েছো নেতা! এমনকি তোমরা এতটাই নির্লজ্জ যে সেই রাজাকারের পোলা তোমাদের জনসমাবেশে দাড়িয়ে মুসলীম লীগের স্লোগান "নারায়ে তাকবীর" শোনায় আর তোমরা গর্ব করে তার উত্তরে "আল্লাহ হুয়াকবার" বলে চিৎকারও করো! যে স্লোগান রা*জা*কার সাকা একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দিত, সেই স্লোগান আজকে তোমদেরকে উজ্জীবিত করছে!


তোমরা ক্ষমতায় গেলে কারা উপকৃত হবে সেটাই আরেকবার আমাকে মনে করায়ে দিলা। তাই আমি কোনোভাবেই নিজের ধ্বংস নিজে কামনা করতে পারি না। পৃথিবী উল্টায় গেলেও আমি চাই না এই রা*জা*কা*রের পোলা ক্ষমতায় আসুক৷ তার জন্য ভোট দিনে হোক বা তথাকথিত রাতে হোক, প্রয়োজনে গনতন্ত্রের কফিনের উপর দাঁড়িয়ে আমি বলতে রাজি আছি, এই রাজাকার পোলার উত্থান আমি চাই না।


পৃথিবীতে এমন আরেকটা দেশ আছে কি না জানি না যে দেশে দেশদ্রোহীর সন্তান রাজনীতি করার অধিকার পায়। তাদের সন্তানদের বাক স্বাধীনতার দাবীতে কিছু কিছু বুদ্ধিবেশ্যারা আবার নিজের পসার বাড়ায়। একজন কুখ্যাত দেশদ্রোহীর নামে দেয় জয়ধ্বনি।


এবং সেই দেশের জনগন আর নতুন প্রজন্মের নামে জন্ম নেয়া কিছু বিভৎস বারবনিতার ছানারা চুপচাপ সেটা শোনে। শুনে তারা নিভৃতে নীরব উল্লাসে কাপে। আজকে বাক স্বাধীনতার ব্র‍্যান্ড এম্বাসিডার কোনো বামাতীরে তো দেখলাম না এর প্রতিবাদ করতে! মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেই যারা চেতনা ব্যাবসায়ী বলে ঠাট্টা করে তাদের টাইমলাইনগুলা কেন আজকে শুনশান মরুভূমি!

কি রে ক্ষনজন্মের পোলারা! মাতোস না কেন?
এই স্বাধীন দেশে রা*জা*কা*রের বাচ্চার হুঙ্কার শোনার জন্য আমার বাপ সব ছেড়েছুড়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন? এর জন্য প্রান দিয়েছিলেন গেরিলা গ্রুপ লিডার ওমর ফারুক! ছাত্র ইউনিয়নের মাহবুব! চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোজাফফর আহমেদ এবং তার ছেলে শেখ আলমগীর সহ সাকা গংয়ের হাতে মৃত্যুবরন করা অসংখ্য মানুষ?


গুডস হিলে সাকার বাড়িতে অত্যাচারে মাহবুবের শরীরের চামড়া জীবিত থাকা অবস্থায় উঠিয়ে ফেলা হয়েছিল। আর ওমর ফারুককে প্রকাশ্যে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয় নি সাকা। নিজের জীপের পেছনে মৃত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার লাশের দুই পা রশি দিয়ে বেধে ছেঁচড়ে বেড়িয়েছে নগরের রাস্তায়। যেমনটা গ্রীক বীর একিলিস মল্লযুদ্ধে হত্যা করার পর ট্রয়ের রাজকুমার হেক্টরের মৃতদেহ তার রথের পেছনে বেধে ট্রয় বাসীর চোখের সামনে ছেঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল। তেমনি বীর সেজেছিল সাকা। অথচ গেরিলাদের করা ব্রাশ ফায়ার আর গ্রেনেড হামলার মুখে পাড়ির পেছনের সিটে ভিতু শুয়োরের মত মাথা গুজে পড়ে ছিল এই বাইঞ্চো--। এই তার বীরত্ব! এই তার দাম্ভিকতার আসল রুপ।


মুক্তিযোদ্ধারা এখনও বেচে আছেন। সাকার অত্যাচার নিজের চোখে দেখেছেন, সহ্য করেছেন এমন মানুষরা আজও বেচে আছেন। সাকা একটা পশুরুপী পিশাচের নাম। এই পিশাচকে যতদিন তোমরা নেতা মানবা ততদিন তোমরা আস্তাকুঁড়ে থাকবা। লাখো শহীদের আত্মার অভিশাপ বৃথা যেতে পারে না।

 

Nazmul Haque Bhuiyan

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

খোলা-কলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ