
বাহঃ বাহঃ দেশজুড়ে দেশবাংলার আলোড়ন! আহা কি আনন্দ কি কারণ! কি কারণ!
আজ মুক্ত করেছি কলম মানবো না কোন বারণ-
দেশজুড়ে দেশবাংলার বিশাল আয়োজন,
আহাঃ কি চমৎকার! কি দারুন! কি দারুন!
সর্বজন শ্রদ্ধেয় মিডিয়া জগতে নির্ভীকতার আইকন-
সাইদুর রহমান রিমন!!!
আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে বুঝেই ফেলেছেন যে, আমি কোন সাবজেক্ট নিয়ে কথা বলছি! এখানে তিনটি কথা না বললেই নয়, প্রথমতঃ বাংলাদেশে সাংবাদিকতা পেশায় মোট কতোজন সাংবাদিক রয়েছেন! দ্বিতীয়তঃ নামে-বেনামে কতোটা বৈধ এবং অবৈধ সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে! তৃতীয়তঃ বাংলাদেশে প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংখ্যা কতো! সঠিক তথ্য নির্ণয় করাটা যদিও কোন দুঃসাধ্য বিষয় নয় তবুও- আমরা মাথা চুলকাচ্ছি আজ অব্দি! যাহোক- আমরা যারা সাংবাদিক, রিপোর্টার কিংবা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে নিজেদেরকে এ মহান পেশায় নিয়োজিত রেখেছি তারা পেশাদার এবং অপেশাদার সম্পর্কে আমাদের সবারই কমবেশী ধারণা রয়েছে। এখানেই বিবেচ্য বিষয়- দেশজুড়ে দেশবাংলার আলোড়ন কেন! প্রবাদ আছে- "অর্ধেক কইলেই আদম বোঝে, গোটা বললেও গাধা বুঝে না!"
কথাগুলো বলার যথেষ্ট কারণ আছে। আজ চরম লাঞ্ছনার শিকার শুভ ও শ্রেয়বোধের মানুষগুলো। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ আজ কতোটা উন্নত, এপেশায় নিবেদিত প্রাণগুলো কতোটা তাজা, কতোটা তাজা রক্ত ঝড়েছে, ঝড়ছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নামক কালো আইনে কতোজন সাংবাদিক হয়রানীর শিকার হয়েছেন এবং এখনো হচ্ছেন তার কোন জবাব আছে কি কারো কাছে! সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক, ইউটিউবে গুজবের ছড়াছড়ি চলমান থাকলেও বিটিসিএল, আইসিটি মন্ত্রণালয় সে সব হিউমার্সের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা তো দূরে থাক অন্ততঃ গুজবগুলো অপসারণ করলেও আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা একটু স্বস্তি পেতাম! তবে কি শুধুমাত্র পেশাদার সাংবাদিকদের সাইদুর রহমান রিমন, বিশাল রহমানদের কোণঠাসা করতেই এই কালো আইনের নির্যাতন চলমান থাকবে কি/না সেই প্রশ্নটা রেখে গেলাম!
আশার কথা হচ্ছে- একেক হাউজ একেক রকম প্যাটার্নে পরিচালিত হয়। অনেক হাউজ বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক হাউজে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে, হচ্ছে। আবার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বেতন বন্ধ রেখেছে! অনেক প্রতিষ্ঠান নবম ওয়েজবোর্ড দূরে থাক- অষ্টম, সপ্তমও বাস্তবায়ন করেনি, করে না বা করতে চায় না। সেখানে দেশবাংলার এ বৃহৎ আয়োজন সত্যিই অন্ধকারে মহৎ আলোর দিশা! অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছেন- প্রিন্টের আগেই দেশজুড়ে দেশবাংলার আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে! আলোচনা চলছে, চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ চলছে মিডিয়াপাড়ায়! প্রশ্ন একটায়- কি হতে যাচ্ছে দেশবাংলায়! চারিদিকে একটা উৎসব উৎসব আমেজের ভাব বইছে! কারণ- দেশবাংলার সম্পাদক হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি আর কেউ নন আমাদের সকলেরই পরিচিতি রিমন ভাই। তার নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশবাংলা পরিবারে যুক্ত হয়েছেন প্রবীণ, প্রথিতযশা এবং সুপরিচিত বহু নির্ভীক গণমাধ্যমকর্মীরা। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
কৌতুহলের ঘোর যেন কাটছেই না কারোর-ই! ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী'র- একাত্তরে রণাঙ্গনের মুখপাত্র- দৈনিক দেশবাংলা। সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাপক তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দৈনিক দেশবাংলা আপামর জনসাধারণের কণ্ঠ এবং ন্যায়ের পক্ষে ও পাঠকদের প্রত্যাশা পূরুণ করবে এমনটিই প্রত্যাশা সকলের।
দৈনিক দেশবাংলা পরিবারের প্রধান সম্পাদক, সম্পাদক, প্রকাশক, নির্বাহী সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, চীফ রিপোর্টার, হেড অব নিউজ, স্টাফ রিপোর্টার, ব্যুরো প্রধান, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মেকাপম্যান, বিজ্ঞাপনদাতা, কলাকুশলী, হকার এবং পাঠক সহ সবাইকে জানাই ফুলেল শুভেচ্ছা।
শুভেচ্ছান্তে,
শাহীনুর ইসলাম নয়ন
স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক মুক্তখবর, ঢাকা।
চীফ রিপোর্টার
জয়বাংলা টুয়েন্টিফোর ডট লাইভ
Daily J.B 24 / দেশবাংলা সংবাদ মাধ্যম
আপনার মতামত লিখুন: