
সারাদেশের সমাবেশের নামে বিএনপি যে অস্থিরতা তৈরি করার পায়তারা করছে তার সমর্থনে অন্ধকারে রয়েছে জামাত এবং বামেদের ১টি পক্ষের জঙ্গিগ্রুপ। দৃশ্যমান যেটা রয়েছে, বিএনপি সত্য মিথ্যা গুলিয়ে বস্তাপচা পুরাতন কমন কিছু ছবক নিয়ে সরকার তথা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজনীতি যদি রাজার নীতি হয়, সেই নীতিতে যদি গণতন্ত্রের কথা বলাহয়, তাহলে রাজনীতি হতে হবে জনগনের জন্য। তাদের নিকটে থাকতে হবে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, তবেই সারাদেশে একটি দল জনসমর্থন আশাকরতে পারে। কিন্তু বিগত ইতিহাস বলেনা, বিএনপি, জামা, বামেরা কখনো জনগনের সাথে থেকে কাজ করেছে।
নির্বাচন আসলেই তাদের একটাই উপায় থাকে, সেই গণতন্ত্রের নাম করে, চলমান সরকারের বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে তুলে ধরে, জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলা। যে টুকু সত্য থাকে তাদের বার্তায় তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি দোষে দোষি হয়ে তাদের সময় অতিবাহিত হয়েছে। একই দোষে নজিরবিহীন রোগাক্রান্ত রাজনীতি তারা অতিক্রম করেছে।
আজ বিএনপি ও তার মিত্রদল সারাদেশে সেটাই করছে।
একটি দল যখন নূন্যতম দেশের ও মানুষের চিন্তাকরে তখন জাতীয় ক্রাইসেসে তাদের সকল চিন্তা নিবন্ধিত হবার কথা। বিএনপি, জামাত, বামেরা সারাদেশে যে অস্থিরতা তৈরি করতে চাচ্ছে সেই অস্থিরতা তৈরির মধ্যে বর্তমান যে জাতীয় ক্রাইসেস সামনে এসেছে সেটার দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের। তাদের টার্গেট ক্ষমতা অধিগ্রহণ করা। দেশি বিদেশি চক্রান্তকারীদের সাথে আতাত করে তারা সেটাই করছে।
পার্বত্য এলাকায় চলছে, বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর অপারেশন। সবাই জানে বিষয়টি। একটি উগ্রবাদী সংগঠন তারা একত্রিত হয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়ি একাংশ আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আচমকা তৎপর হয়ে উঠেছে। এই মুহুর্তে কেন তাদের তৎপরতা? এই প্রশ্নটা সামনে আসে, একটু চিন্তা করলেই বিএনপি ও তাদের মিত্রদের জিলাপির প্যাচ অনুধাবন করা যায়।
বিএনপি ও তার মিত্ররা সারাদেশে অঞ্চল ভিত্তিক সভা সমাবেশের যে সময় নির্ধারণ করেছে, সেই সময়ের সাথে পার্বত্য এলাকায় আচমকা উগ্রবাদীদের নয়া রাষ্ট্র তৈরির যে পায়তারা শুরু করেছে, সেখানে রয়েছে একটি গভীর সম্পর্ক।
একদিকে উগ্রবাদীদের নয়া রাষ্ট্র তৈরি, অন্যদিকে বিএনপি ও তার মিত্রদের সমাবেশ। স্বাভাবতই সরকারের যে ডিফেন্স পাওয়ার রয়েছে সেটিকে বিভাজন করতেই এবং সরকারের দৃষ্টি দুইভাগ করতে কাজ করেছে কি? এমন প্রশ্ন করাই যায়।
আরো এই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে, যখন কুকি বাহিনী দমন করতে যৌথ অভিযান চলে, আর তখন যদি পুরাতন ও নতুন পাকিস্তান পন্থী জঙ্গি সংগঠন সেই এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়, যদি সেখানে অস্ত্র তৈরির কারখানা খুঁজে পাওয়া যায়, যদি অস্ত্র প্রশিক্ষণে খুঁজে পাওয়া যায় মাদ্রাসা থেকে নেয়া, মাথার ব্রেন ওয়াশ করা জেনারেল শিক্ষার ছাত্রদের।
বর্তমান বাংলাদেশের ডিফেন্স পাওয়ার কতটা আছে, কি আছে না আছে সেটা ভিন্ন বিষয়। তবে বিএনপি, জামা ও বামেদের এই মুহুর্তে শতভাগ সমর্থন নিয়ে দাঁড়ানো উচিত আমাদের অহংকার, আমাদের জাতীয় গৌরব যৌথবাহিনীর সাথে।
দেশের খন্ডতা অখন্ডতা যখন মাথা চাড়া দেয়, তখন ঐ দেশের অখন্ডতা রক্ষার বীর সেনাদের পাশে সমগ্র বাঙালী জাতির হুংকার দিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই মুহুর্তে বিএনপি, জামাত, বামেরা রয়েছে ক্ষমতা অধিগ্রহণের জন্য। দেশ দুইভাগ হলো না তিন ভাগ হলো কিছুই যায় আসেনা তাদের। তাহলে প্রশ্ন এসেই যায়, পার্বত্য এরিয়ায় যে জঙ্গি দল গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের পরিকল্পিত ভাবে গড়ে তুলছে কি বিএনপি, জামা, বামেরা? তারা কি এটাই চেয়েছে যে, দেশকে দুইভাগ করে হলেও ক্ষমতায় যেতেই হবে?
আমার এই বক্তব্য আপনাদের নিকট হাস্যকর মনে হতেই পারে, তাহলে একবার খোঁজ নিন কারাতাদের অর্থায়ন করছে, কারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে? নিশ্চিত ভাবে সিআইএ হয়ে আইএসআই সম্পৃক্ত। কিন্তু বাংলাদেশে কারা তাদের দেয়া অর্থ পৌছে দিচ্ছে প্রিতিটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে? আমার ধারণা গোয়েন্দা সংস্থা সবই জানে।
কুকি বাহিনী নিশ্চিহ্ন করতে বাংলাদেশের বড় কোন অস্ত্রের দরকার নেই, লাঠি আর বাঁশির হুইসেল যথেষ্ট। কিন্তু এই মুহুর্তে বিএনপি, জামাত, বামেরা যে যেদলই করুক তাদের অবশ্যই উচিত ছিলো আমাদের যৌথ বাহিনীকে সমর্থন করে অনলাইন, অফলাইনে হুংকার দেয়া।
আপনারা বিএনপি, জামা, বামেদের এমনকি হাইব্রিড আওয়ামীলীগের গুজব পেজ, ইউটিউব, টুইটার, প্রোফাইল, খুঁজে দেখুন, সব স্থানেই পাবেন গুজব, মিথ্যাচার, সরকার বিরোধী প্রচারণা, দেশবিরোধী তৎপরতা। কোথাও দেশের অখন্ডতা রক্ষায় আমাদের জাতীয় সেনানিদের জন্য, আন্তর্জাতিক বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিতে কোন ভাবনা চিন্তা কিছুই পাবেন না।
পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগের সদস্যদের দেখুন, এতো অস্থিরতারতার মধ্যে তাদের কলম, তাদের অনলাইন আমাদের বীর সেনাদের পাশে কিভাবে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে।
সময় থাকতে ভাবুন, কোনটা চান। দেশের মধ্যে জঙ্গিবাদ, পাকিস্তান, মার্কিন আধিপত্য নাকি আধুনিক একটি বাংলাদেশ। সময় থাকতে ভাবুন, দেশের অখন্ডতা রক্ষায় যারা প্রাণ বাজি রেখে অপারেশন চালাচ্ছে, যে সরকার দেশের অখন্ডতা রক্ষার জন্য কাজ করছে তাদের সাথে থাকবেন। নাকি বিএনপি, জামাত, বামেদের ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে থাকবেন?
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
তৈমুর মল্লিক
কলামিস্ট
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: