
১ফুট কলস - বাঁশ ঢোকাবেন ১০ ফুটের, সেখানে এখন কেন এতো চ্যাটাং চ্যাটাং কথা ?
ব্যাবসা, বানিজ্য, বাজার, ঘাট, কুদ্দুস চাচার চায়ের দোকান, এলাকার রাস্তায় একবার চক্কর দিয়ে দেখুন - মাথায় টুপি দিয়ে , মুখে দাঁড়ি রেখে কি ভাবে লোক ঠকাচ্ছে । আল্লাহর নামে শপথ করে চেয়ারের নিচে চাপাতি রেখে কি ভাবে অন্যের হক নষ্ট করছে ।
এরাইতো একদিন বলতো - মুখ দিয়েছেন জিনি, আহার দেবেন তিনি, যতো পারো নারীর গর্বে বাচ্চা দাও - আর নিজে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চার হাত পা চার দিকে দিয়ে শুয়োরের মতো ঘোঁত ঘোঁত করে ঘুমিয়েছে । জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথা বললেই - নাস্তিক, ইহুদী নাসারাদের দোসর তকমা লাগিয়ে দিয়ে ফতোয়া জারি করতো ।
এখন কেন চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলছেন ? যান সেই ঘোঁত ঘোঁত করা শুয়োরদের নিকটে । গিয়ে বলুন - আমার নাগরিক সুবিধা কোথায় ! ১ ফুট কলস - ১৬-১৮ কোটি মানুষ । কিভাবে নিশ্চিত করবেন নাগরিক সুবিধা । আজ যখন দেখছেন - মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি স্লোগানে সারা দেশে মানুষ কিলবিল করছে , এখন আর সংসার চলে না - ওমনি শুরু করে দিয়েছেন চ্যাটাং চ্যাটাং কথা ? সরকার কেন নাগরিক সুবিধা দেয় না । এই দেয় না , সেই দেয় না । এখন সেই টুপি ওয়ালা আর মুখে দাঁড়ি রেখে ধর্মকে ব্যাবসায়ী করতে যে ছবক একদিন আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছিলো, তাদের নিকটে যান। দেখুন গিয়ে তারা ষান্ডার তেল মেখে এখন বাচ্চা যেন না হয় তাই ছেলে বাচ্চাদের সাথে সমকামিতার জন্য তৈরি হচ্ছে ।
অবশ্যই মুখ যিনি দেবেন , তিনি আহার দেবেন - কিন্তু মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্যের যে উপাদান , সেই জ্ঞান ব্যাবহার করে নিজের আয় রোজগার করতে হবে , আল্লাহ শুধু মাত্র আপনার বিশ্বাসের জোর দেখে আপনার প্রতি রহমত নাযিল করবেন ।
আপনি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে খাবার আকাশ থেকে এসে মুখের মধ্যে প্রবেশ করবে না । অথচ এই সত্যকে আড়াল করে , বলা হয়েছে - মুখ দিয়েছেন যিনি , আহার দেবেন তিনি । নারীদের ভোগের সামগ্রি বানাও। একটা মুহুর্ত যেন এদিক ওদিক না হয় , দাও বাচ্চা তার গর্ভে ।
চলে যান নেপালে - বাংলাদেশ নেপাল একই আয়তনের দেশ, মাত্র ৪ কোটি (প্রায় ) জনসংখ্যা । চলে যান অস্ট্রেলিয়াতে , খোঁজ নিন । দেখুন সেখানকার জনসংখ্যা কতো, আয়তন কত?
১৬-১৮ কোটি কিলবিল করা জনসংখ্যার দেশে অর্ধেকের বেশি মানুষকে সেই টুপি আর দাঁড়ি ওয়ালারা (মূলত নবী রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর সুন্নতকে ঢাল হিসাবে ব্যাবহারকারী দল অকার্যকর, অথর্ব আর কট্টরপন্থী মৌলবাদ তৈরি করে রেখেছে। যাদের একমাত্র নেশা ও উদ্দেশ্য ধর্ম ব্যবসায় করে, মসজিদে আজান দিয়ে পরের ঘরে তিনবেলা পোলাও মুরগী খেয়ে জীবন পার করবে । এই দেশের প্রতি সামান্য কোন কন্ট্রিবিউশান তাদের নেই, থাকতে পারে না ।
আর যারা আছে , তারা সরকারী চাকরি করবে, বিদেশে মেধা নিয়ে চলে যাবে , ইত্যাদি নেশায় বুদ । অথচ তারা খোঁজ নিয়ে দেখেই না - ১ ফুট কলসে বাঁশের সাইজ হয়ে গেছে - সেই ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কথায় ১৬-১৮ কোটি । আর তাই চাকরি না পেয়ে, বিদেশে না যেতে পেরে নাগরিক সুবিধা সঠিক ভাবে না পেয়ে সরকারের চৌদ্দগুষ্ঠি ধরে টানাটানি করছে ।
কেন ভাই ? এখন সেই ধর্ম ব্যাবসায়ীরা কোথায় ? সরকার অথবা রাষ্ট্র সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য করেছিলো কি ? এখন কেন তবে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে ?
একবার ভেবে দেখেছেন - দেশ আপনাকে কি দেয় ?
৩ জনের সংসারে ৮ জন হয়েগেলে সংসার চালানো দায় হয়ে যায় , তাহলে ১ ফুট কলসে ১৬-১৮ কোটি মানুষের কথা ভাবুন । এতটুকু আয়তনের দেশে যে ভাবে ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কথায় বছর বাদ না দিয়ে যে ভাবে বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন , তাহলে এই দেশটা চলবে কি দিয়ে ?
শুয়োরের মতো ঘোঁত ঘোঁত করা সেই জাততো আছেই ভিক্ষা করে চলার জন্য, তাদের চিন্তা নেই । চিন্তা আপনার । ভেবেছেন কখনও ?
একবার ভাবুনতো - সন্তান জন্ম দেবার পর থেকে ১১ টা টিকা , করোনা ডোজ এসবের জন্য কখনও কোন অর্থ দিয়েছেন রাষ্ট্রকে ? যারা তৈরি করেছে তারাইতো ফ্রিতে দেয়নি । যান চীনে , দেখে আসুন । আপনি বিদেশে গিয়ে মারামারি করে মাথা ফাটাবেন, সেটার সমন্বয় , খাদ্য চাই খাদ্য চাই বলে এতো চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলেন, কয়দিন গেছেন জমিতে। সরকার আমদানি করে , ভর্তুকি দিয়ে কম মূল্যে আপনার হাতে তুলে দেয় । অথচ ট্যাক্স ফাঁকি দিতে আপনার আমার মতো চোর আর দুনিয়াতে আছে ? নিজেকে জিজ্ঞাসা করুণ না । আপনি বিদেশে বসে যতো আকাম করবেন , তার প্রত্যেকটা স্থানে রাষ্ট্র আপনাকে সাপোর্ট করে বিধায় আপনি শ্রম দিয়ে নিজের পরিবারের জন ডলার পাঠান । এর কোন এক স্থানে সমস্যা হলে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয় । এমন কোন স্থান আছে যেখানে রাষ্ট্র আপনার পাশে নেই বলতে পারেন ?
এসব কিছুর বিনিময়ে রাষ্ট্রকে একটা ধন্যবাদ দিয়েছেন কখনও ? আপনিতো মুখ দিয়েছেন যিনি , আহার দেবেন তিনিতে বিশ্বাসী , বাকি কথা না বলে ধর্ম ব্যাবসায় বিশ্বাসী - আপনার নিকট হতে রাষ্ট্র কখনই কিছু পায়নি ।
দুর্নীতি ?
প্রত্যেকটা দুর্নীতিবাজ আপনার আমার বাপ, চাচা, খালু - সংসার কখনও তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে বলেছে ? নাকি আরো বেশি প্রেসার ক্রিয়েট করেছে দুর্নীতি করার জন্য ? নিজেকেই জিজ্ঞাসা করুণ , উত্তর পাবেন । সেই দুর্নীতির টাকার রক্ত আপনার শরিরের বইছে । নিশ্চিত ভাবে কেউ চাঁদের দেশ হতে আসেনি ।
আজ আপনি জ্বালানি নিয়ে চ্যাটাং চটাং কথা বলছেন, রাষ্ট্রের গুষ্টি উদ্ধার করছেন , অথচ সবার আগে গাড়ি মটরবাইক নিয়ে আপনি ছূটে যাচ্ছে তেলের পাম্পে ।
রাষ্ট্র আপনার নিকট হতে বঞ্চিত শুধু নয়, চক্রান্তের বেড়া জালে আবদ্ধ । আপনি রাষ্ট্রকে বিপদে ফেলতে চান - অথচ আপনি আবার মুখ দিয়েছেন যিনি, আহার দেবেন তিনি বলে ঘোঁত ঘোঁত করা ধর্ম ব্যাবসায়ীদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। তাহলে এখন কেন রাষ্ট্রের নিকট দৌড়াচ্ছেন ?
দেশটা কিভাবে চলে তার ধারে কাছেও কোন দিন যাননি , দেশ আপনাকে কিভাবে সুবিধা দেয় তার হিসাব করেন নি । অথচ আপনি হলেন সেই সস্তায় বেহেস্তে যাবার টিকিট বিক্রিকারিদের ধর্ম ব্যাবসার একমাত্র সংগি । তাহলে আজ কেন নাগরিক সুবিধার জন্য রাষ্ট্রের নিকটে যাচ্ছেন ????
তৈমুর মল্লিক
কলামিস্ট
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: