
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক কিছুই ঘটছে। শেখ হাসিনাকে পছন্দ নয় এমন উলঙ্গ প্রজাতির বাংলাদেশের আভ্যান্তরীণ বিষয়ে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করাকে কি বলে আখ্যায়িত করা যায় জানিনা।
বিএনপি, জামায়াত বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল নয় এই কথা পূর্বেও বলেছি, এখনো বলছি। তারা পাকিস্তানের পেইড সংগঠন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। অত্যান্ত সুপরিকল্পিত ভাবে জিয়াউর রহমান সেই রাস্তা তৈরি করে রেখে গিয়েছে।
যে সকল বিদেশি শক্তি রাজনৈতিক ভাবে, আঞ্চলিক ক্ষমতা রক্ষায় এজেন্ট হিসাবে, ভবিষ্যতে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে, ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা, ব্যাবসার একক সুবিধা পেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে, আজো করছে তাদের মধ্যে অন্যতম মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র।
আমি এখানে একটা কথা বলেছি, বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করতো, বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর সাথে বিরোধিতা নয়, বিষয়টি হলো, বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজে বঙ্গবন্ধুকে পাশে না পাওয়া।
একিভাবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা কখনই দেশের স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু নয়, কোন দেশের সাথেই এমন চুক্তিবদ্ধ হবে না।
আমরা হয়তো প্রচারে, বিভিন্ন ভাবে দেখতে পারি যে, শেখ হাসিনা এটা দেশের বিপক্ষে করেছে, ওটা বিপক্ষে করেছে, প্রাথমিক ভাবে নানা গুজব, সত্য মিথ্যা দিয়ে সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়তো করার চেষ্টা চলেছে। কিন্তু খোজ নিয়ে দেখবেন তারা কারা, কেন তারা এমন কাজ করছে।
যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বরাবরই আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্যে পাকিস্তান খুবই পছন্দের। সেই পাকিস্তানের মিশন বাস্তবায়নে, ৭১ এ এসেছিলো ৭ম নৌবহর, এখন চলছে দেশের মধ্যে নীল নক্সা বাস্তবায়নের চক্তান্ত।
আমাদের দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সেনা, নৌ, এয়ার, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, গোয়েন্দা কিভাবে লে আউট থাকবে, কি ভাবে দায়িত্ব পালন করবে সেটা সম্পূর্ণ নিজেদের ব্যাপার। একটি স্বাধীন দেশে নগ্ন ভাবে কোন বৈদেশিক শক্তি যদি বলে, র্যাবকে রি এরেঞ্জ করতে, নতুন করে সাজাতে তখন এটা বলাই যায় আভ্যান্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের নগ্নতা বিভৎস পর্যায়ে পৌছেছে।
চক্রান্তের রূপরেখা একটু ভাল করে দেখলেই বোঝা যায় -
১। র্যাব ও পুলিশের আইজিপি'র উপর স্যাংশান (সমন্বয়ে বিএনপি)
নোটঃ কোন পরিবর্তন না দেখতে পেয়ে তারা নতুন রাস্তায় এগিয়ে চলেছে
২। র্যাবকে রি এরেঞ্জ বা ঢেলে সাজাতে হবে
এটা পরিস্কার, টার্গেট র্যাব। আমরা সনাতন ধর্মের শারদীয় পূজা উপলক্ষ্যে সন্ত্রাসী হামলার কথা শুনেছি পুলিশের পক্ষ থেকে। আমার বিশ্বাস তারা সেটা পারবে না। তার প্রধান কারণ র্যাব ও পুলিশের সমন্বিত তদারকি।
তাহলে একটু বিচার করে দেখুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লাইফ থ্রেটের কথাও বিভিন্ন ভাবে শুনতে পাচ্ছি। তার অর্থ হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিএনপি, জামায়াত সহ সকল দেশ বিরোধী শক্তির রোড ম্যাপ, লজেস্টিক সাপোর্ট, অর্থনৈতিক সাপোর্ট, মাঠকর্মি সবই রেডি, কিন্তু র্যাব হয়েছে তাদের এক্সিকিউট এর পথে চরম বাঁধা। সেই সাথে পুলিশের সমন্বিত সমন্বয় বিষয়টিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কে বিপাকে ফেলে দিয়েছে।
আমরা সাধারণ জনগন, সরকার কি করবে, কি না করবে সেটা পরের কথা। কিন্তু শেখ হাসিনার নিরাপত্তা যদি হুমকির মুখে ফেলার চেষ্টা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যকেউ, তাহলে তার দেশের মাটি ত্যাগ করার মতো কোন শক্তি থাকবে না, এটা বিশ্বাস।
তাই বাংলাদেশ প্রশ্নে মার্কিনীদের ভেবেচিন্তে কাজ করা উচিত। কোন দেশের আভ্যান্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বড্ড ছোটলোকের কাজ। পারলে নিজেদের চরকায় তেল দিন। রাশিয়া, চীন একসাথে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে।
কথা উঠেছে জাতিসংঘ বিলুপ্ত হওয়া বিষয়ে।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিস্ট
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: