
নিজেকে একবার সাহসী করে তোল, সেই সাহসের উপর ভরকরে তাদের সামনে আঙুল উঁচিয়ে দাঁড়াও। তাদের জিজ্ঞাসা করো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমাদের কেন ভূল শিক্ষা দেয়া হয়! এটা ইচ্ছাকৃত নাকি অজ্ঞতা বসত! আজ তোমাদের একটা স্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে বঙ্গবন্ধু বিরোধী চক্র। যারা এই দেশটি চায়নি। আজও চায়না। তারা তোমাদের একটা স্থানে চেপে ধরে এটা শিখিয়েছে যে, বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা চায়নি। তোমরাতো বধির নও, অন্ধ নও, অজ্ঞ নও। তাদেরকে দেখিয়ে দাও ২৫শে মার্চের (২৬ এর সকালে গ্রেপ্তার হবার পূর্বে) ট্রান্সমিশন করা স্বাধীনতার ঘোষনা। তাদের দেখিয়ে দাও ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষনের ২ টি লাইন।
তোমাদের সামনে ৬ দফা দাঁড় করিয়ে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলো শায়ত্ব শাসন, স্বাধীনতা নয়। তোমরা ৬ দফা একত্রিত করো, দেখো তার সারমর্ম - দেখো সেখানে ২ টি ধাপ পাবে।
১। বাঙালি শাসন করবে পূর্বপাকিস্তান ও পশ্চিমপাকিস্তান (কারণ নির্বাচন সেই ম্যান্ডেট বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলো)
২। পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা।
হয় এটা না হয় ওটা। একটি উইন উইন সিচুয়েশনে ছিলো বঙ্গবন্ধু। তোমাদের কি মনে হয় বঙ্গবন্ধুর জন্য এই উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করা সহজ ছিলো? মোটেই নয়। আর এটাই হলো একজন নেতার কাজ। বঙ্গবন্ধু এমনি এমনি বিশ্বনেতা হয়নি। একটি জাতির জন্য ঠিক এই কারনেই একজন সঠিক নেতা দরকার হয়। যুদ্ধ করে তুমি মানুষ মারতে পারবে, দুই একটি স্থান পেশি শক্তিতে হয়তো দখলও নিতে পারো, কিন্তু কখনই একটি দেশের স্বাধীনতা আনতে পারবে না যদি তোমার নেতা না থাকে, একজন বঙ্গবন্ধু না থাকে। পৃথিবীতে একটি দেশ দেখাও যারা নেতা ছাড়া স্বাধীনতা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু পেরেছিলো উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করতে, সেই সময়ের পশ্চিম পাকিস্তান বাঙালিদের নিকট হারতে চায়নি, যারা আমাদের কালো বলে গালি দিতো। তারা এমনি এমনি মরন কামড় দেয়নি। ৬ দফা দিয়ে বঙ্গবন্ধু উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করে ওদের বিপদে ফেলে দেয়। ফলাফল আজকের বাংলাদেশ।
এই সরল হিসাব এত সহজে সরলিকরন করে হিসাব করনা। পৃথিবীরতে এমন উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করা নেতা ২য় টি দেখাতে পারবে না। অথচ তোমরা তাদের কথায় দিক্ষা নিচ্ছ যারা ভুলেও এই ব্যাখ্যা তোমাদের দেবে না। ভুলেও তোমাদের বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা আনতে দেবেনা। এটা পরিকল্পিত এবং অন্য কারো দ্বারা নির্দেশিত। তোমরা নিশ্চই মিয়ানমারের "আরসা" নেতার বক্তব্য শুনেছ, সে বলেছিলো - যুদ্ধ করছি ৩৫ বছর ধরে, কিন্তু আমাদের একজন বঙ্গবন্ধু নেই। যারফলে পরাধীনতাই সম্বল।
কি বুঝলে নবীন প্রজন্ম? যে অর্ধশিক্ষিত গোষ্ঠি একজন বঙ্গবন্ধু খুঁজে মরে, আর তোমরা শিক্ষিত জাতি হয়েও তোমার বিশ্বনেতাকে নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াও? শেখ হাসিনা তারই মেয়ে, তারপক্ষে সম্ভব নয় এই বাঙালি জাতির ক্ষতিকরা। আমাদের ক্ষতি আমরাই করি। তোমরাই না বলো, তোমাদের একজন জাস্টিন ট্রুডোর মতো নেতা নেই! কিন্তু এটা কেন বলনা যে, আমরা জাস্টিন ট্রুডোর জনগনের মতো হতে চাই! জাস্টিন ট্রুডোকে ৭ দিনের জন্য বাংলাদেশের দায়িত্ব দিয়ে দেখো তাকে মেন্টাল হসপিটালে ভর্তি করতে হবে।
তাই বলছি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রশ্ন করার আগে ১০ বার ভাবো, যারা তোমাদের শিক্ষাগুরু তাদেরকে বলো, বঙ্গবন্ধু হতে হবে না, নূন্যতম তার কাছাকাছি কিছু একটা হয়ে দেখাও। আর অবশ্যই নিজের ওজনের পরিমাপ করে তারপর প্রশ্ন করো। মনেরেখো বঙ্গবন্ধু প্রতিদিন জন্মায়না, শতাব্দিতেও আসে কিনা সন্দেহ।
ফিরে এসো, দেশের জন্য শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াও, আইনকে সম্মান করো, আইন হাতে তুলে নিওনা। নিজেকে শুধরাও দেশের অভ্যান্তরে ৭০ শতাংশ সমস্যা এমনিতেই শুধরে যাবে। নিজের উপর ভরসা রাখো।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: