
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। আর ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট করতে হবে না, সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, সমৃদ্ধশালী জীবন পায়- সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য; সেটাই করতে চাই।
২৬ ডিসেম্বর , সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামীলীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই বার্তা দেন।
দলকে আরও শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমরা কমিটি করেছি। নিয়ম অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা আমাদের সদস্যদের নির্বাচিত করব। এই সংগঠনটাই আমাদের বড় শক্তি এটাও মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে আর মানুষের আস্থা বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারে- তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ হয় না; এটা হল বাস্তবতা। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এই দেশটা জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
ইনশাল্লাহ, আমাদের যে লক্ষ্য সেটা হলো ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ- সেটা কীভাবে করব, কী কী ক্ষেত্রে করবো সেটা আমি আগেও বলেছি।... অর্থাৎ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট জনগোষ্ঠী, সেটাই আমরা করতে চাই।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, স্যাটেলাইট যুগে পদার্পণ করেছি। আগামী ২৮ তারিখ মেট্রোরেল (উদ্বোধন), এটা কিন্তু ইলেকট্রিক ট্রেন। এটাও কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে হত না। আজকে কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পদ্মা সেতু- যেটা নিয়ে আমাদের বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ ছিল; সেই চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছিলাম এবং নিজেদের টাকায় করব সেই ঘোষণা দিয়েছিলাম। নিজেদের টাকায় আমরা করেছি। পদ্মা সেতু নির্মাণে কারও কোনও টাকা আমরা নেইনি, সে সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।
করোনাভাইরাস মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধাক্কাগুলো যদি না আসত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাহলে আজকের বাংলাদেশ আমরা আরও অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারতাম।
সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অংশ নেন।
জয়বাংলা/ জাতিয়
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: