
কি আমাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড় করাবেন ? করাতেই পারেন । কারণ আমি খালেদা জিয়ার সাথে তারেক রহমানের বেইমানী কথাটা বলেছি । আসুন তাহলে কেন বললাম তার ব্যাখ্যা দেই । বলে রাখা ভালো আমার ব্যাখ্যা আপনাকে মানতে কেউ বাধ্য করেনি , করবেও না ।
কি এমন পেলাম আমি এই কথাটায় ?
২০ দলীয় জোট এখন কার্যকর না। ঐক্যফ্রন্টেরও একই অবস্থা। তাই আন্দোলনের জন্য বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টা করছি এবং প্রয়োজন হলে সেটাকে নতুনভাবে রুপ দেওয়া হবে। এই কথাগুলো মির্জা ফকরুলের উক্তি । আর তাই তিনি দলের অবস্থান নড়বড়ে ঘোষনা করে জানিয়ে দিলেন - খালেদা জিয়াই থাকছেন দলের নেতা ।
আমরা জানি, খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে মারাত্মক অসুস্থ ছিলেন । অন্তত মিডিয়ায় সেটাই বলেছে । সেই সূত্র ধরে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য কি অবস্থা বিএনপি সহ অন্যান্য সমমনা দলগুলো দেশে বিদেশে বসে করেছে তার প্রায় সবতাই আমরা জানি । সেই ইস্যুতে শেখ_হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে তো বিদায় করেই দেয় আর কি । কিন্তু শেখ হাসিনা সেই বিষয়ে মোটেও চিন্তিত ছিলেন না । খালেদা জিয়ার ডাক্তারগণ যা বলেনি , মির্জা_ফকরুল, রুমিন_ফারহানা সহ বিদেশে বসে তাদের পেইড সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল কাঁদাকাটি করে অস্থির ।
সরকার বার বার বলেছে - বিদেশে যাওয়া না যাওয়া সেটা আইনি ব্যাপার। তারা চাইলে বিদেশ থেকে একাধিক ডাক্তার এনে চিকিৎসা করাতে পারে, সরকার সহযোগীতা করবে। তখন তাদের বয়ান ছিলো, দেশে বএ কি ওসব হয় ? কোথায় পাবো সেই সরঞ্জাম, কোথায় পাবো কি ।
যাইহোক এক কথায় তারা খালেদা জিয়াকে প্রায় মেরেই ফেলেছিলো কথা বার্তায় । কিন্তু দেখাগেলো তিনি মারা যাননি , বরং আগের চেয়ে আরো সবল হয়েছেন তার ঘরে বসেই। দোয়া করি তিনি সবল থাকুন ।
তাহলে কি খালেদা জিয়ার মারাত্মক অসুস্থতা বিএনপির মিথ্যাচার ছিলো ? মিস্টার জাফর উল্লাহ সাহেবতো এক কাঠি উপরে গিয়ে বলেই বসলেন - তার কোথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে । অর্থাৎ খালেদা জিয়ার অসুস্থতা যতোনা অসুস্থতা ছিলো, তার চেয়ে বেশি ছিলো #ইমোশনাল ব্লাক মেইল করা । আজ তিনি বিএনপির নেতৃত্ব দেবার মতো শক্তি রাখেন , অন্তত মির্জা ফকরুল সেটাই জানিয়ে দিলেন । তিনি মুমুর্ষ নন । এতেকরে একটা বিষয় প্রমাণিত হলো - তারেক_রহমান তার মায়ের অসুস্থাতার জন্য তিনি আর শেখ হাসিনাকে দোষী করতে পারবেন না । কারণ মির্জা ফকরুল যা বলছেন, বিশেষ করে দলের নেতৃত্বের ব্যাপারে, সেটা অবশ্যই তারেক রহমানের বক্তব্য।
এখন আসি তারেক রহমান কি ভাবে বেইমানী করলেন ।
তারেক রহমান চাইলেই তার মায়ের গ্রেপ্তার ও শাস্তিভোগ করা আটকাতে পারতেন । খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হবার আগে তারেক রহমানের সাথে দেখা করতে যায় । সেখান থেকে বৃদ্ধ মাকে ফেরত পাঠিয়ে তারক রহমান থেকে যায় নিরাপদ স্থানে । সে ভেবেছিলো, বৃদ্ধ মা, তাকে গ্রেপ্তার করলেও জনগন আন্দোলন করে ত্তাকে মুক্ত করতে পারবে । কিন্তু সেটা হয়নি । জেনে শুনে একজন বৃদ্ধ মানুষ তার মাকে দীর্ঘ সময় কারাভোগ করানো কি মায়ের প্রতি ছেলের বেইমানী নয় । আর তাইতো প্রশ্ন ওঠে, যে নিজের স্বার্থের জন্য নিজের মাকে কারভোগ করাতে পারে সে কি ভাবে জনগণের নেতা হয় ?
আজ যখন সেই বৃদ্ধ অসুস্থ মানুষকে দলের নেতৃত্বে রাখার কথা বলা হয় , তখন বুঝতে বাকি থাকেনা - নির্বাচনে জয় না পেলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে নমিনেশন বানিজ্য করার জন্য আবার তারেক রহমান ত্তার মাকেই ব্যাবহার করছে । কিন্তু মির্জা ফকরুল দল নড়বড়ে থাকার কথা বলে এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন - বিএনপি সম্পূর্ণ নেতৃত্ব শূন্য যার ফলে তারেক রহমান তার মাকেই সামনে রাখছেন, তিনি দেশে আসবেন না । যা রীতিমত মায়ের প্রতি সন্তানের একচেটিয়া বেইমানী ছাড়া আর কিছুই নয় । আল্লাহ যে মাকে সম্মান দিয়েছেন, সন্তানের দায়িত্ব তার মাকে সেবা করা, শুধু তাই নয় যতো বড়ো ঝুঁকি আসুক মায়ের প্রতি সন্তানের কঠরতা কখনই আল্লাহ মেনে নেবে না ।
আমার এই কথার পরে বাংলাদেশের আলেম সমাজ কি শিক্ষা নিয়ে সামনে আসবে জানিনা । তবে তারাও সেই তারেকের প্রতি আস্থা রেখেই এগিয়ে চলেছে ।
সার্বিক ভাবে এই কথা বলাই যায়, তারেক রহমান কি তবে তার সাথে আবারও বেইমানী করলো ? এই বেইমানীর ফলে একটা বিষয়ের সমাধান হয়েগেলো- শেখ হাসিনাকে আর কখনই তারেক বা তার অনুসারীরা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দায়ি করতে পারবে না । কারণ তারেক রহমান ফকরুল ইসলামের মাধ্যমে তার মায়ের সুস্থতা ঘোষনা করেছেন।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: