একটা কথা না বললেই নয় - মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি কোন দিন এভাবে বলেছেন কি না অন্তত আমার জানা নেই । বললেও আমি শুনিনি বা দেখিনি । সম্ভবত তিনি এবার নিজেই সরাসরি বলেছেন - "পদ্মাসেতু যাতে উদ্বোধন করতে না পারি, সেই কারণে ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গেছে"।
দেশি বিদেশি গোয়েন্দা রিপোর্ট, দেশের মধ্যেকার পরিবেশ পরিস্থিতি সার্বিক পর্যালোচনা না করে তিনি একথা বলেন নি - সেটা বলাই যায় । এটা বিশ্বাস করি সেই সকল নাশকতার সকল রাস্তা বন্ধ করতে এবং সমূলে ধ্বংস করতে তিনি সকল দিকেই সচেতন থাকবেন ।দেশ ওদশের জান মালের নিরাপত্তা বিধানে তিনি সার্বিক ভাবে সচেষ্ট থাকবেন।
তাহলে আমরা কি করতে পারি ? আমাদের কি দায়িত্ব সাইবার জগতে ?
আমাদের দায়িত্ব নেই সেটা বলা বোকামি । অবশ্যই যার যার স্থান হতে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্ত করে নাশকতাকে ধ্বংস করে দিতে সচেষ্ট থাকতে পারি ।
কয়েকটি ক্লু-
১। এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে, পদ্মাসেতু এরিয়াতেই নাশকতা হবে বা হতে পারে। কারণ যারা নাশকতা করবে তারা খুব ভালো করে জানে পদাসেতুর উদ্বোধন এলাকা কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তার চাঁদরে আবৃত থাকবে ।
২। এই সুযোগটাতে কাজে লাগিয়ে নাশকতা যারা করবে তারা মাঠ জরিপ করে অপেক্ষাকৃত অনেক দুর্বল নিরাপত্তা এলাকা বেছে নেবে বা নিতে পারে।
৩। পদ্মাসেতুতে যখন গোয়েন্দা চোখ শতভাগ নিবন্ধিত থাকবে - তখন তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে অন্যান্য কোন স্পর্শকাতর স্থান গোয়েন্দা নজরদারির বাইরে রয়ে গেছে, তাদের টার্গেট সেদিকেই যাবে বলে মনে করি ।
৪। ডিফেন্স পাওয়ারকে তারা অবশ্যই ক্যালকুলেশন করবে , তাই সেই ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ডিফেন্স পাওয়ার কোথায় কতটা লে আউট আছে বা থাকবে সেই তথ্য বের করে নেবার চেষ্টা করবে শতভাগ । আর তাই ডিফেন্স পাওয়ার বিষয়ে কোন তথ্য সংশ্লিষ্টদের মধ্যে থেকে পাচার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে শতভাগ ।
৫। গোয়েন্দা লে আউট এবং ডিফেন্স লে আউটের মধ্যে কোন গুপ্তচর অতি ভক্তি সহকারে বসে আছে কি না সেই বিষয়ে তথ্য উতঘাটন অতি জরুরি । কারণ এই তথ্য পাচারই একটি ভয়ংকর নাশকতার স্থান নির্ধারনে হয়ে উঠতে পারে সহায়ক ।
৬। আমরা বার বার বলেছি কেন্দ্রের মধ্যেই প্রবেশ করেছে শেখ হাসিনা বিরোধী শক্তি , যাদের হয়তো সনাক্ত করা হয়েছে বা হয়নি তারা সামরিক কায়দায় নয় -সম্পূর্ণ বেসামরিক ভঙ্গিমায় নাশকতাকারীদের জন্য হয়ে উঠতে পারে সবচেয়ে ভয়ংকর সহায়ক।
৭। আমার মতে ২৫জুন গার্মেন্টস, সকল কোম্পানী (যেখানে জনসমাগম বেশি) সেই সকল এরিয়া বা স্থাপনা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে দেয়া উচিৎ । উক্ত সকল এলাকা মানুষ চলাচলে নিষিদ্ধ করা উচিৎ ।
৮। অভিজাত এলাকায় সকল বার, এবং বিনোদন এলাকা ২০জুনের পরথেকে ২৫জুন পর্যন্ত রাত ৮ টার পরে বন্ধ ঘোষণা করা উচিৎ , এবং ২৫ জুন উক্ত সকল স্থাপনা/এরিয়া সার্বিক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা উচিৎ ।
৯। বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়, স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ জুন হতে ২৫ জুন সার্চবিক ভাবে বন্ধ ঘোষনা/চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ করা উচিৎ ।
১০। দেশের সকল আবাসিক হোটেল/মোটেল এর প্রতিবেদন প্রতি ঘন্টায় স্থানীয় থানাকে জানানোর নির্দেশ প্রদান করা উচিৎ ।
১১। এখন থেকে ঢাকার সকল আবাসিক ভবনে বসবাসকারি ব্যাক্তিদের ব্যাক্তিগত তথ্য আবাসিক ভবনের মালিকের মাধ্যমে ২ দিনের মধ্যে স্থানীয় থানায় জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা উচিৎ । বাসায় অতিরিক্ত কেউ থাকতে পারবে না এমন নির্দেশনা দেয়া জরুরি। (চিকিৎসার জন্য ব্যাতিত)
১২। বিমান বন্দর, নৌ বন্দর, রেল স্টেষন, বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি রাখা অত্যান্ত জরুরি ।
১৩। রাজধানিতে মেট্রপলিটন সহ সকল প্রাইভেট কোম্পানীর সিসি ক্যামেরা অর্থাৎ সকল প্রকার সিসি ক্যামেরা সচল থাকবে বা থাকতে হবে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া উচিৎ ।
সবচেয়ে মারত্মক ক্ষতিকর হবে - যদি গোয়েন্দা তথ্য ও ডিফেন্স পাওয়ার লে আউট সংক্রান্ত তথ্যাবলি কোন ভাবে পাচার হয় বা লিকেজ হয় ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ে কোন প্রকার শিথিলতা নয়, সে না চাইলেও তাকে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই রাখতে হবে । কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা । সাহসের অভাব নেই । তাই তাকে এতো সাহস দেখানোর কোন সুযোগ না দিয়ে তার নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করুণ । এটাই আমাদের চাওয়া ।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিস্ট
প্রতিষ্ঠতা ও সাধারণ সম্পাদক
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন
আপনার মতামত লিখুন: