
পদ্মা সেতু অবশ্যই বাঙালিদের সক্ষমতার প্রতীক । সেই সক্ষমতা অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা ।
এই পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধী পক্ষের অনেক নেতিবাচক কর্মকান্ড আছে, চক্রান্ত আছে , আছে স্বপ্ন ভঙ্গের অনেক কথামালা ও কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতি । সবকিছু উপেক্ষা করে আজ পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে বিজয়ের গান গাইছে ।
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে এই পদ্মা সেতু এখন অবধি সবচেয়ে বড় প্রকল্প । যা দেখার জন্য, স্মৃতিতে ধরে রাখতে আগ্রহী থাকবে । আর সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু নিরাপত্তার প্রশ্নে কোন আপোষ নয় এটাও মাথায় রাখা অত্যান্ত জরুরি , আমার ধারণা পদ্মা সেতু উদ্ভোদনের পরপরই বেশ কয়েকটি ঘটনা আমাদেরকে বিশ্বের সামনে হাসির খোরাক তৈরি করেছে । এবং নিরাপতা প্রশ্নে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে , যে কোন সময় ঘটতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা । আর তাই তড়িৎ গতিতে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হয়েছে ।
#বাঙালি সেটা মেনেও নিয়েছে কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে অতিঘনিষ্ট জনকে দেখেছি #বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কারিগর হিসাবে । আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের রক্তাক্ত দেহ মাটিতে লুটিয়ে থাকতে , আর আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি আক্ষেপ করে বলতে কোথায় ছিলো তখন সেই সময়ে অতি আপনজনেরা ? শেখ হাসিনাকে ২১ বারের মতো লাইফ লাইন পেতে । দেখেছি বাংলাদেশ বিরোধীদের সারাদেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেবার নানা ঘটনা।
আজ যখন পদ্মা সেতু দাঁড়িয়ে গেছে , #শেখ_হাসিনা তার সক্ষমতার বার্তা সারা বিশ্বে পৌঁছে দিয়েছেন, সেখানে আন্তর্জাতিক শত্রু বাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই । যাদের সাথে হাত মেলাবে সেই সব অকৃতজ্ঞ, দেশবিরোধী চক্র ।
সব দিক বিচার করে পদ্মা সেতু ব্যাবহারের যে আইনগত দিক তৈরি হয়েছে সেখানে সেই আইন দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য সমান ভাবে পালনীয় এতে কারো কোন সন্দেহ থাকার কথা নয় (শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও তাদের নিয়ন্ত্রিত সরকার ব্যাবস্থার সাথে যুক্ত এমন ব্যাক্তিবর্গ ব্যাতিত) ।
তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে উচিৎ আইন সবার জন্য সমান ভাবে এপ্লাই করা । এতেকরে সরকারের ভাবমূর্তী বাড়বে ছাড়া কমার কোন প্রশ্নই ওঠে না ।
সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ায় এসেছে , ছাত্রলীগের #আল_নাহিয়ান_খান_জয় তার কিছু অনুসারী নিয়ে পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে প্রচার করেছে। হতে পারে সে পদ্মা সেতু ব্যাবহার করে কোথাও যাচ্ছিলো, বা আসছিলো । কিন্তু তার দলের বহর দেখে এটা অনুমেয় যে , তাদের পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলা ছিলো ছিলো পূর্ব পরিকল্পিত । সেটার প্রমাণ মেলে যখন সেই মিডিয়া বলছে অনুমতি স্বাপেক্ষে তারা এই কাজটি করেছে ।
অবশ্যই ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগের একটি শক্তি । অবশ্যই ছাত্রলীগ বাংলাদেশকে বাংলাদেশ হিসাবে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার অন্যতম কর্মিবাহীনি । কিন্তু তারা কোন অবস্থাতেই সরকারের কোন অংশ নয় , নির্বাহী কোন পদ হোল্ড করেনা । বিচার বা আইনতো নয়ই । আর তাই জয়ের নিজের থেকেই এমন কর্ম থেকে বিরত থাকা উচিৎ ছিলো । নিজের দেশের স্বার্থে, প্রহানমন্ত্রীকে মানুষ প্রশ্ন করে এমন কাজ থেকে নিজেকে দুরে রাখা ছিলো তার জন্য অপরিহার্য । এটুকু ত্যাগ তার স্বীকার করা তাদের জন্য ছিলো বঙ্গবন্ধুর নিকট থেকে ত্যাগ নামক শিক্ষা নেয়ার উদাহরণ । বঙ্গবন্ধু তার জীবনের স্বর্নালী যৌবন ত্যাগ করেছেন এই বাংলাদেশের জন্য । তাহলে যে ছাত্রলীগ আগামী বাংলাদেশের পরিচালক তাদের শিক্ষা এবং শিক্ষক বঙ্গবন্ধু এতেতো কোন সনদেহ থাকার কথা নয়। আর তাই জয়েরই উচিৎ হয়নি দলবল সহ পদ্মা সেতুতে সেলফি তোলার জন্য অনুমতি চাওয়া ।
প্রশ্ন হলো - যখন তারা অনুমতি চেয়েই ফেলেছে তাদের কোন আইনে সেই অনুমোদন দেয়া হলো সেটা জানা । কেনই বা অনুমোদন দিলো ? তারা এমন অনুমোদন দেবার আগে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে কি কোন অনুমতি নিয়েছে ? কারণ আওয়ামীলীগ সভাপতি #মাননীয়_প্রধানমন্ত্রী ।
নাকি এই অনুমতি দেয়া হলো - দেশের সামনে আর একটি প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেবার জন্য ? আগামীতে জাতীয় নির্বাচন , এই ছোট ছোট বিষয়গুলো যে, বৃহৎ প্রশ্ন সামনে আনার জন্য বিরোধী পক্ষকে সামনে নিয়ে আসবে সেই কথাগুলো কি ভাবা উচিৎ নয় ?
যাইহোক - কে প্রশ্ন তুললো আর কে তুললো না, সেটা বড় কথা নয় । বড় কথা হলো, আইন সকলের জন্য সমান না হলে -সেটা হয়েযায় বুমেরাং । প্রমাণ চাইলে একবার ভাবুন - বিরোধী পক্ষ যদি এমন অনুমতির জন্য আবেদন করে তাহলে কি অনুমোদন দেবেন ?
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: