• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পদ্মাসেতু নিরাপদ রাখতে আবেগকে না বলুন - অসভ্য শিক্ষা পরিহার করুন

অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৪০ পিএম
পদ্মাসেতু , নিরাপত্তা , অসভ্য শিক্ষা , সার্ভিস লেন
ফাইল ছবি

বিশিষ্ট লেখক Khaleque Gharami ভাই তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা । 

আবেগ প্রতিটি মানুষের সহজাত। তবে সঠিক পথে চলার জন্য তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।আমরা অতি আবেগী জাতি।একটুতেই আবেগে কেদে ফেলি আবার  পায়ের তলায় পিষে ফেলতে উদ্যত হই।

পদ্মাসেতু অতি বড় এবং ব্যয়বহুল প্রকল্প।গতকাল পদ্মাসেতু উদ্বোধন হয়েছে।আজ সাধারন গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।পদ্মাসেতু ও সেতুর এক্সপ্রেস ওয়েতে গাড়ি বিকল হওয়া ছাড়া গাড়ি থামানো নিষেধ। বিকল গাড়ির জন্যই এক্সপ্রেস ওয়ে সহ সেতুতে একটি সার্ভিস লেন রাখা হয়েছে।মূল সেতুতে দুইপাশে চারলেন গাড়ি চলাচলের জন্য এবং দুই লেন সার্ভিসের জন্য রাখা হয়েছে। সেখানে সচল গাড়ি পার্কিং করে বিনোদনে সময় কাটানোর জন্য নয়।
ছবিটি দেখুন পদ্মাসেতুর নদীর উপরের অংশে সার্ভিস লেনে মোটর সাইকেল,কার পার্কিং করে ফটোসেশানের ধুম পড়েছে।পারলে চটপটি ফুসকা খেয়ে আরও কিছুটা সময় পার করে দেয়❗

অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।পদ্মাসেতুর নিরাপত্তার জন্য সেখানে ক্যান্টনমেন্ট করা হয়েছে। কোস্টগার্ডের পেট্রল বোট আছে।সাথে নৌ পুলিশ। আর ভূমির অংশের জন্য সাধারন পুলিশ।

এত এত নিরাপত্তার পরও আবেগ প্রশ্রয় দিলে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে সময় নিবে না।কারন পদ্মাসেতুর যেমন শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে তেমনি খাম্বা চোরা ও ঘসেটি বেগমের মত শত্রুও রয়েছে।

আমার বক্তব্য - 
পদ্মাসেতু একটি যুগান্তকারী এবং বাঙালী সক্ষমতার প্রতীক এতে সন্দেহ নেই । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতবড় ঝুকি নিয়েছিলেন সেটা বলা বাহুল্য । 

স্বাধিনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা অধিকতর বড় চ্যালেঞ্জ এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে , তাহলে যে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাঙালীকে অপ্রতিরোধ হিসাবে তুলে ধরলো তাকে রক্ষাও তেমন একটি চ্যালেঞ্জ । 

বাংলাদেশের অভ্যান্তরে রয়েছে - হিংস্র পরমূখাপেক্ষি সম্প্রদায় । যারা পদ্মা সেতুর জন্য খুশি হতে পারেনি , বিগত দিনে তারা বাংলাদেশের জন্মেও খুশি ছিলো না । 

তাই যদি হয় - পদ্মা সেতূর সার্ভিস লেন বিপদের বন্ধু । চলাচল নির্বিগ্ন করতে সার্ভিস লেন অপরিহার্য । কিন্তু আমরা কি দেখছি সেখানে ? উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা সার্ভিস লেনে মটর বাইক পার্ক করে জমজমাট আসর বসিয়েছে যা মোটেও কাম্য নয় । শুরুতেই যদি এই সকল বিষয়ে পদক্ষেপ কঠিন ভাবে নেয়া না হয়, তাহলে আগামীতে আরো বেশি সমাস্যা হবে সন্দেহ নেই । তাছাড়া নৈতিক শিক্ষায়, সভ্যতার সভ্য শিক্ষায় আমরা অনেক পিছিয়ে তার প্রমান এই বয়সের ছেলেমেয়েদের সার্ভিস লেনে আড্ডা জমানো । নিজের থেকেই তাদের এই ধরনের কুশিক্ষা থেকে দূরে থাকা উচিত, কিন্তু সেটা যখন হলোই না, সেখানে সরকারকেই কঠোর হতে হবে , এতে কে কি মনে করলো কিছুই যায় আসে না তাতে । বুঝিয়ে দিতে হবে , ইচ্ছা করলেই সব কিছু করা ঠিক নয় । 
আর এটা যদি না হয়, তাহলে আগামীতে এলাকার পাতিনেতাদের ব্যাবসা কেন্দ্র হবে , ফুসকা ওয়ালা বসবে , হবে বিনোদন এলাকা । 

সবচেয়ে বড় কথা - যারা পদ্মা সেতুকে মেনেই নেয়নি - যে কোন সময় তাদের জন্য নাশকতা ঘটানো কোন ব্যাপার নয় । 

 

জেবি/সোশ্যাল মিডিয়া 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

সোসাল মিডিয়া বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ