• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ; ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  রবিবার, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ;   ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পিনাকী ভ. বাক স্বাধীনতার নামে হেটস্পিস কি আন্তর্জাতিক আদালত, জাতিসঙ্ঘ অপরাধ হিসাবে গণ্য করে না ?

তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:০৬ পিএম
পিনাকী ভ. বাক স্বাধীনতার নামে হেটস্পিস কি আন্তর্জাতিক আদালত, জাতিসঙ্ঘ  অপরাধ হিসাবে গণ্য করে না ?

 

কিছু কিছু বিষয় থাকে, যে বিষয়ের প্রতিশোধ নিতে ব্যাক্তি হয়েপড়ে জঙ্গলের পশু হতেই বিচারহীন, নির্বোধ, রক্তখেকো । আমি পিনাকী ভট্টাচার্য বিষয়ে বলছি ।

 

যে ব্যাক্তিএকজন ডাক্তার হবার পরেও তিনি কখনও ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত ছিলো কিনা সন্দেহ । যিনি পেশাগত ভাবে অবাঞ্চিত হলেও বেছে নিয়েছিলেন ঔষধ কোম্পানির চাকুরি । স্বভাবতই ঔষধ কোম্পানীতে চাকরি করলে একজন অতি লোভী মানুষের প্রয়োজন সেইভাবে মেটার কথা নয় । আর তাই পিনাকী ভট্টাচার্য নিজের জীবনের সাথে যুক্ত করলেন ভ্যাজাল ঔষধ বাজারে বাজারজাত করার মতো ক্রিমিন্যাল ওফেন্স । তারপর যা হবার তাই হলো । অবশেষে তিনি ব্লগার হিসাবে প্রতিষ্ঠাপেতে সকল শ্রম নিয়োগ করলেন । কিন্তু যে ঔষধ মানুষের জীবন রক্ষা করার সহায়ক, সেই ঔষধ বিষয়ে একজন ক্রিমিন্যাল ওফেন্স তৈরি করা ব্যাক্তি তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট কি হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয় । আর যাই হোক, অন্তত এমন চরিত্র কখনও বাস্তবমুখী কলম চালাতে পারে না । তাকে মিথ্যা, গুজব, যুক্তিহীন বার্তাকে যুক্তিযুক্ত করতে সকল পথ পাড়ি দিতে হবেই । 

 


এমন একটা প্রয়াসের একটি পর্যায়ে তিনি পড়ে গেলেন বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থার নজরে। তাকে টার্গেট করা হলো । অবশেষে তিনি স্বইচ্ছায় আত্মগোপনে থেকে পাড়ি জমালেন বিদেশে । 
সত্য এটাই শেখ হাসিনা সরকার এমন মিথ্যা রটনাকারী বা গুজব প্রচার করে যে ব্যাক্তি জনজীবন বিষাক্ত করে তোলে তাকে ছেড়ে কথা বলা লোক নয় । পিনাকী ভট্টাচার্য শেখ হাসিনা এবং তার সরকার উপর যারপরনেই বিদ্বেষ পোষণ করার মূল কারন এটাই । 

 


শেখ হাসিনা সরকার সম্পর্কে ভুল বার্তা মানুষের মাঝে প্রচারের জন্য কত ভাবে, কত ভঙিমায় অভিনয় করেছেন সেটা বলে শেষ করা যাবে না । অথচ তার কোন ভবিষ্যৎ বার্তা কখনই ফলপ্রসূ হয়নি । 
শেখ হাসিনা সরকারকে, বিপদে ফেলতে পিনাকী ভট্টাচার্য জাতীতে হিন্দু হওয়া স্বত্ত্বেও বাংলাদেশ মুসলমানদের পীরবাবা বলে খ্যাতিও পেয়েছেন। বাংলাদেশের ধর্মব্যাবসায়ী গ্রুপ তাকে পীরের আসনে বসিয়ে মারহাবা মারহাবা বলে স্লোগান তুলে ইসলাম ধর্মের প্রতি দায়বদ্ধতার নগ্নতা প্রকাশ করেছে । 

 


পীনাকি ভট্টাচার্য সরাসরি বাংলাদেশের জঙ্গি দলের সমর্থন দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক তথ্যই প্রকাশ করেছে। কারন সে জানে জঙ্গিদের পক্ষে কহা না বললে তার গর্দানই হয়তো থাকবে না । 
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য ক্ষণে ক্ষণে ভোল পালটানো ধরে রেখে শুধুমাত্র শেখ হাসিনা সরকারকে টার্গেট করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদলেহনে ব্যাস্ত । অথচ এই পিনাকী ভট্টাচার্যই বলেছিলেন - মার্কিনিদের পরাজয় হয়েছে শুধুমাত্র একজন ইমরান খানের নিকট । অর্থাৎ পাকিস্তানের আই এস আই এর পদলেহন করতে যে বার্তা তিনি দিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটা উদীয়মান টিকটকারদের মতো লাইভ ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি মস্তবড় বুদ্ধিজীবী হয়েছেন । যার প্রধান ভিউয়ারস মাথায় টুপি দেয়া জঙ্গি মদতে বিশ্বাসী সম্প্রদায় । যারা বিএনপিকে সাথে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদলেহনে ব্যাস্ত । 

 


পিনাকী ভট্টাচার্য সাম্প্রতিক সময়ে খুবই উত্তেজিত, তিনি যখন দেখলেন, তার করা ভবিষ্যৎ বাণী "ডিসেম্বর ১০ তারিখের পরে আগামী ৫০ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা হবে" পুরাটাই ভুল, মিথ্যা, গুজব বলে প্রতিয়মান হয়েছে তখন তার ফ্যান ফলোয়ার ধরে রাখতে এবং পৈশাচিক খ্যাতি অর্জনে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের উপর বেজায় ক্ষিপ্ত ।

 


তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিএনপির এক নিখোজ ব্যাক্তির বাসায় সফর নিয়ে বেশ উচ্ছসিত । পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিষয়ে, সেটাকে মিথ্যা প্রমান করতে রাস্তার নর্দমায় জিঘাংসা নিয়ে বেড়ে ওঠা জনের ভাষায় আক্রমন করেছে । অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করে, শেখ হাসিনাকে অপমান করে তুলে ধরেছে মনগড়া তথ্য । রেফারেন্স হিসাবে নিয়েছে সেই মাষ্টার মাইন্ড প্রথম আলোকে । সেখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি, তিনি মায়ের কান্না নামক সংগঠনকে তুচ্ছ করে, ৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের শতশত নির্বিচারে খুন, গুম , নির্যাতনকে জায়েজ হিসাবে স্বিকৃতি দিয়ে বলেছেন - তিনি নাকি ঘিরিংগি প্যাচ লাগিয়ে দেবে বর্তমান সেনাবাহিনীর সাথে । 

 


তিনি সরসরি মায়ের কান্নার ব্যাক্তিদের বলছে -"৭৭ সালের ঘটনার বিচার চাইতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে কেন গিয়েছে, তিনি যেতে বলেছেন বর্তমান সেনাপ্রধানের নিকত বা সেনানিবাসে । তিনি এটা বলেন নি, বিএনপির নিখোঁজ ব্যাক্তির বিচার কেন মার্কিন রাষ্ট্রদুতের নিকট "? 

 


তিনি যখন ঘিরিঙ্গি বাঁধানোর কথা বলছেন, আমরাও ঘিরিঙ্গি জানি সেটাই বলতে চাই । ৭৭ সালে সকল গুম খুন হত্যার দায় জিয়াউওর রহমানের , মায়েরকান্নার ব্যাক্তিগন সঠিক দলিল নিয়েই উপস্থিত হয়েছিলো । তাই বিচার হলে সেই খুনি জিয়ারই হবে, বা সেই সরকারের হবে। বর্তমান সেনাপ্রধান বা সেনাবাহীনি তার সাথে যুক্ত নয় । 


পিনাকী ভট্টাচার্যের বর্তমান ভিডিও অতি জঘন্য একজন ক্রিমিন্যালের অঙ্গভঙ্গি ও বাংলাদেশ বিরোধী সকল গোষ্টি, দল ও ব্যাক্তির টনিক বলাযেতে পারে । সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর প্রতি চরম বেয়াদবি ও ধৃষ্টতা প্রদর্শন। 
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থাপতি, বাঙালি জাতির জনক । তার প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন কেন বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধ হবে না  ? কেন তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করা সম্ভব নয় এটা সাধারন নাগরিক হিসাবে সরকারের নিকট আমাদের প্রশ্ন । 
জাতিসংঘ , আন্তর্জাতিক আদালত বাক স্বাধীনতার নামে হেটস্পিস কি অপরাধ হিসাবে গণ্য করে না ? 

 

মোঃ তৈমুর মল্লিক 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

খোলা-কলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ