
“পেশীশক্তি কিন্তু আমাদের শক্তি নয়, আত্মশক্তিই কিন্তু আমাদের বড় শক্তি এবং শাশ্বত শক্তি। আমি হেফাজতকে উদ্দেশ্য করে বলবো যে, আপনারা আপনাদের সমাবেশ শেষ করুন, শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকা শহর ত্যাগ করুন। আপনাদের রক্তচক্ষুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। মুক্তিযুদ্ধে আপনাদেরকে আমরা পরাজিত করেছি। আপনারা যদি আবারো সংঘাতের পথে এগোন, আওয়ামী লীগ একাই আপনাদেরকে শায়েস্তা করতে যথেষ্ট। আমি আবারো আহবান করবো যে, আজকে সন্ধ্যার আগেই আপনারা ঢাকা শহর ত্যাগ করুন। যদি না ত্যাগ করেন সরকার তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
- সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ,৫ মে ২০১৩।
সেদিন হেফাজতের তাণ্ডব এবং এতে ভর করে বিএনপির ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন আওয়ামীলীগ এক রাতের মধ্যে ভেঙ্গে দিতে পেরেছিলো কারন, সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিলেন সৈয়দ আশরাফের মতো শক্ত মেরুদণ্ডের আদর্শিক একজন সাধারন সম্পাদক।
সামনে আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলন। একজন অযোগ্য সাধারন সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই দলটাকে কতটা দূর্বল আর আদর্শহীন করেছেন তা আমরা ওবায়দুল কাদের স্যারের আমলে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
এমপি লীগের উত্থান, তৃনমূলের নেতা কর্মী নির্যাতন ও বঞ্চিত করা, বিএনপি জামাতের লোকদের আওয়ামীলীগের পদ পদবীতে আনা, হেফাজতেকে মাথায় তোলা এসবই আমাদের ওকা স্যারের অযোগ্য নেতৃত্বের ফসল।
দলের নতুন সাধারন সম্পাদকের দৌড়ে অনেকের নাম দেখছি। অমুক নেতা কে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই, তমুক নেতাকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই এমন পোস্ট দেখছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
হেফাজতের শফি হুজুরের পা ধরে কদমবুচি করা নেতা থেকে শুরু করে নিজের একশো কর্মী নেই এমন অনেক নেতারও নাম সহ পোস্টার দেখলাম আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদের জন্য।
আমি চাই নেত্রী এবার মেরুদণ্ডহীন চাটুকারদের বিদায় দিয়ে এমন কাওকে
এই পদে আনবেন যিনি -
প্রিয় নেত্রী,
আপনি আমাদের সকলের চেয়ে দলকে বেশী ভালোবাসেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।তবে আমাদের মতো নিঃস্বার্থ কর্মীদের চাওয়া পূরনে দলের উপকার হবে এই সত্যটাও একটু স্মরনে রাখবেন।
বেঁচে থাকুক শেখ হাসিনা
বেঁচে থাকুক আওয়ামীলীগ
বেঁচে থাকুক বাংলাদেশ।
Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: