
প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা , অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক নাজেহাল , কেন ডলারের দাম ঘোড় দৌড় দৌড়াচ্ছে ।
৭১ টেলিভিশন এর সূত্র মতে - লাইসেন্স বিহীন অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ সংখ্যা ৬০০’র বেশি।
যেখানে অবৈধতা , যেখানে কোন জবাদিহিতা নেই, যেখানে রয়েছে আইনকে বৃদ্ধ আঙুল দেখাবার হিম্মত , তারা ডলার বেচা কেন করবে আইনের মধ্যে থেকে, হবে চরম নিতিবান একথা ভাবাওতো অন্যায় । তারা তাদের ইচ্ছাকেই আইনে রূপ দিয়ে ব্যবসা চালাবে সেটাই স্বাভাবিক। যার ফলে তাদের ব্যবসায়ী হিসাবে সাধু বললাম, নাকি অসাধু বললাম কি যায় আসে তাতে!
কথা হলো, অর্থ থাকলেই কি এমন ব্যাবসা করা যায় ? মনে হয় না । নিশ্চিত ভাবে কোন না কোন ব্যাংক তাদের মাথার উপরে ছায়া হয়ে আছে, হয়ে আছে বটবৃক্ষ । যাদের ছত্রছায়া ছাড়া এমন ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়া আদেও সম্ভব নয় ।
তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক কাদের খুঁজে চলেছে? ব্যাক্তি নাকি প্রতিষ্ঠান ? যে অর্থ দিয়ে ব্যবসা করছে তাকে নাকি যে বা যারা ছায়া দিয়ে কমিশন নিচ্ছে তাদের ?
জানিনা , সেটা জানে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক ।
৭১ টিভি বলছে - রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার শপিং মলের নিচ তলায় তিনটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজকে বৈদেশিক মুদ্রা বেচা-কেনা করতে দেখা গেছে। কিন্তু বছরের পর বছর ব্যবসা করা এই তিন প্রতিষ্ঠানের কোনো লাইসেন্স নেই। এমনকি তারা বাংলাদেশ ব্যাংকেরও নথিভুক্ত নয়।
কিভাবে সম্ভব? এওমন বক্তব্য শুনলে মনে হয় না যে, আমরা আইন , নিয়ম, এসব কিছুই চিনিনা , জানিনা, কি হ এসব দিয়ে সে বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতাই আমাদের নেই । আর তাইতো বছরের পর বছর এমন ব্যাবসা চলতে পারে ।
৭১ টিভি আরো জানাচ্ছে - এদিকে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১২ টাকা পর্যন্ত উঠলে তার কারণ খুঁজতে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অভিযান থেকে বাঁচতে আগে ভাগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দোকান তিনটি। কিন্তু খোলা জায়গায় ঠিকই চলছে ডলার বেচা-কেনা।
মানি এক্সচেঞ্জের বৈধ ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীতে লাইসেন্স এমন বিহীন ভুয়া মানি এক্সচেঞ্জের সংখ্যা ৬০০’র বেশি। যেখানে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান মাত্র ২৩৫টি । এর মধ্যে ৬৮টি ঢাকার বাইরে। নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণেও অস্থির হচ্ছে মুদ্রার বাজার।
মানি চেঞ্জার্স অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট একেএম ইসমাইল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কিছু ব্যাংকও জড়িত। তাই এদের শাস্তির আওতায় আনা না গেলে ডলারের বাজার সহনীয় হবে না। একই সঙ্গে আন্ত:ব্যাংক লেনদেন ব্যবস্থাকেও সচল করতে হবে।
কিছুই বলার নেই এই ক্ষেত্রে । আমরা নষ্ট হয়েগেছি এটা বলতে পারি । এছাড়া অন্য কিছু বলার সুযোগ নেই । শেখ হাসিনা কি এই লুটেরাদের জন্য এতো কষ্ট করছে ?
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: