
ছোটবেলায় কুফরি কালাম বইলা একটা কথা শুনছিলাম। অনেকটা ব্ল্যাক ম্যাজিক টাইপের ব্যাপার। নামেই বুঝা যায় আল্লাহর পবিত্র কালামের কুফরি ব্যবহারই এর সার কথা। এই সিস্টেমে পবিত্র কোরআন শরীফ নাকি উল্টা কইরা পড়তে হয়, তারপর ইবলিস আইসা বান্দার যাবতীয় মনোবাঞ্ছা পূরণ করবে। অনেকটা গল্পের ডঃ ফস্টাসের মতো দ্বীন দুনিয়ার অশেষ ক্ষমতা লাভ হবে শয়তানের কাছে আত্মা বিক্রির মাধ্যমে। ধারণা করি এই কুফরি কালামের চর্চাটা জামায়াতে ইসলামী এবং তার বশংবদ ইসলামী ছাত্র শিবির বেশ ভালো মতোই করে।
কোরআন শরীফে একজন ঈমানদার মুসলমান হওয়ার যা যা নির্দেশিকা তার ঠিক উল্টাটাই করে যুদ্ধাপরাধীদের এই দলটা। তারা গীবত করে, তারা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালায়, হত্যা করে, ষড়যন্ত্র করে, সাম্প্রদায়িকতার চর্চা করে, সারাক্ষণ হিংসাদ্বেষ নিয়ে কাটায়। মোটের উপর কবিরা গুনাহ বলতে যা যা লিপিবদ্ধ, তার সবই জামায়াত অনুগতদের নিত্যকার যাপনের অঙ্গ।
অবশ্য এইটাই তো প্রত্যাশিতই। কারণ তারা তো মুসলমান না, মোনাফেক। মুসলমানের ভেকধারী। আল্লাহর এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন: শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়ায় শিকার করবে। তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে)। তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি। কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র। আমার চোখে তো এই শর্তাবলী পূরণে জামায়াত-শিবির ছাড়া আর কিছু পড়ে না।
পাকিস্তান আল্লাহর ঘর। আল্লাহ একে বার বার রক্ষা করেছেন, ভবিষ্যতেও রক্ষা করবেন। দুনিয়ার কোন শক্তিই পাকিস্তানকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না।
___ মতিউর রহমান নিজামী।
(সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম ৫ আগস্ট ১৯৭১ ইং)
নিজামীর গুরু মওলানা মওদুদী- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চলাকালীন সময়ে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেন আল্লাহর ওয়াস্তে পাকিস্তান রক্ষা করুন।
লেখকঃ Mohammad Shoel Dale
Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: