
মোবাইল ব্যাংকিং দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ করুন। রেমিট্যান্স অটোমেটিক ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবেশ করবে।
অতি ধীর গতিতে হলেও, অত্যান্ত চৌকস মেধায় বেসরকারি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি গতিকে দ্রুতকরে প্রবেশ করেছে জনগনের মনে।
অতি আধুনিক হতে গিয়ে মানুষ এখন এই ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমেই চালিয়ে যাচ্ছে আর্থিক লেনদেন। দেশে ও বিদেশে বসে এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে এমন ভাবে ব্যাবহার করছে যার আর এক নাম হতে পারে ডিজিটাল #হুন্ডি ব্যাবসা।
একটু খোজ নিলেই বোঝা যাবে এই সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর সাথে আন্তর্জাতিক ভাবে কারা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এখানে নাম উল্লেখ করতে চাইনা, বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতির সাথে জড়িত রয়েছে #ড_কামালের জামাতা #ডেভিড_বার্গম্যান। এভাবে আন্তর্জাতিক মহলে বসেই বেসরকারি মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি চালিয়ে বসে বসেই দেশের অর্থ যেমন বের করে নিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে বিদেশি রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের মেরুদণ্ড ভাঙতে এরচেয়ে প্রকাশ্যে আর কোন অপরাধ সংগঠিত হতে পারে? হয়তো বাংলাদেশ প্রশাসন হুন্ডি ব্যাবসা বিলুপ্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু পিছন দরজায় খোলা রয়েছে প্রকাশ্যে ডিজিটাল হুন্ডি পদ্ধতি।
প্রশ্ন উঠতে পারে, যারা এই কাজে নিয়োজিত দেশে বা বিদেশে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন?
উত্তরটা হলো - সরকার কতজন ধরবে? প্রত্যেকের গডফাদার বাংলাদেশ ক্যাবিনেটেই আছে, বিরোধী দলে আছে, প্রশাসনে আছে।
আমার প্রশ্নঃ
১। এই মোবাইল ব্যাংকিং কেন দেশের মধ্যে সীমিত করা হচ্ছে না? অথবা বিদেশ থেকে আসা ও দেশ থেকে প্রেরিত অর্থ যে গেটওয়ে ব্যাবহার করে দেশের মধ্যে প্রবেশ করছে বা বাহিরে যাচ্ছে সেখানে কোন ডিজিটাল পাহারাদার সন্নিবেশ করা আছে কি?
২। যদি থাকে তাহলে সেই গেটওয়ে সময় সময় কি অরক্ষিত হয়ে যায়? হলে কোন ইশারায়? যে দেশের মানুষ #বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইপকোড তুলে দিতে পারে অন্যের নিকট, সেই ক্ষেত্রে এটা কি সত্যি অসম্ভব?
৩। যদি না থাকে, তাহলে কেন আই সি টি দপ্তর সেটা করেনি, কেন সেটা অরক্ষিত রেখে দিয়েছে, এই সকল প্রশ্ন মাথায় নিয়ে জবাবদিহিতায় আসবে কি?
শুধুমাত্র আইসিটি বিভাগই বলতে পারবে এর উত্তর। তবে উত্তর হ্যা বা না যাই হোক, সেটা পর্যবেক্ষণ এর জন্য সরকারের কোন বিশেষ দল আছে কিনা জানা নেই। যে দল সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নিকট জবাবদিহি করবে।
উক্ত বিষয়গুলো থামাতে হাজার হাজার মানুষকে না খুঁজে মাত্র একটি দপ্তর খুঁজে দেখলেই এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে সব থেমে যায়।
দেশের বাহির হতে অর্থ প্রবেশ বা দেশের মধ্যে থেকে অর্থ বাহিরে যেতে অবশ্যই কোন গেটওয়ে কাজ করে। সেই গেট ওয়েতে সর্বোচ্চ কত অর্থ প্রবেশ বা বাহির হতে পারবে সেটাকে লিমিট নির্ধারণ করে দিলেই অনেকটা সমাধান হয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু সেটাও সম্ভব নয়, যদি কিনা এই ধরনের অর্থ পাচার বা প্রবেশ ক্ষেত্রে সেই গেটওয়েতে লিমিট নির্ধারণ করা কমান্ড যদি দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিশেষ বিশেষ সময়ের জন্য অফ মুডে চলে যায়।
বলা বাহুল্য এই কমান্ড খুব একটা কঠিন কিছু নয় বলেই মনে হয়। ডিজিটাল এক্সচেঞ্জের মতো শুধুমাত্র N এবং Y প্রেসের উপর দাঁড় করিয়ে রাখা সম্ভব। যদি এমন কমান্ড নির্ভর হয়ে থাকে, তাহলে এই কমান্ড বাস্তবায়নের জন্য ঠিক কতজন বিক্রি হয়ে আছে, আশাকরি খতিয়ে দেখলেই সেটা ধরা সম্ভব।
যে আধুনিক বিশ্বে ভূমিতে বসে মহাকাশযান নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেই বিশ্বে এসব বিষয় অতি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র ব্যাবস্থা। নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সে দেশের বা বিদেশের হোক, তাদের দিয়ে ভেরিফাই করালেই বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে। যা বাংলাদেশ সরকারের জন্য অতি সাধারণ বিষয়।
বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উপস্থাপন করলাম।
#ICT
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিষ্ট
প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক
দুর্জয় বাংলা সাহিত্য ও সামাজিক ফাউন্ডেশন
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: