
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘরে ঘরে জ্বর সর্দিকাশির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই একজন দুজন জ্বর সর্দিকাশিতে আক্রান্ত। অন্যদিকে দেশজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। আরেকদিকে করোনা টেস্টের আগ্রহ নেই অধিকাংশ মানুষের। ফলে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে মোরেলগঞ্জ উপজেলায়।
অভিজ্ঞ সম্মানিত নাগরিক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সাথে Joybangla24.live এর জেলা প্রতিনিধি এ ব্যাপারে আলাপকালে জানতে পারেন এরকম অরক্ষিত ভাবে চলতে থাকলে অচিরেই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে গোটা উপজেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ।
আমাদের জেলা প্রতিনিধি মোরেলগঞ্জ বাজার বারইখালি, খাউলিয়া, পল্লীমঙল,সন্ন্যাসী, আমতলি জিউধারা বহরবুনিয়া পঞ্চকরণ হোগলাপাশার বেশ কয়েকটি ফার্মেসিতে কথা বলে জানতে পারেন,গত কয়েকদিনে লোকজন কোন চিকিৎসা পরামর্শ ব্যতিরেকেই জ্বর ঠান্ডা সর্দিকাশি রোগের জন্য নাপা এইচ প্যারাসিটামল এন্টিবায়েটিক ঔষধ কিনে খাচ্ছে। এমনকি হাসপাতালের বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখিয়ে আসছে। কিন্তু তাদের ভিতরে কেউই করোনা টেস্টে আগ্রহী নন।
এদিকে দেশব্যাপী করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার নতুন করে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহী করে টিভিতে প্রচার প্রচারণা চালালেও সাধারন মানুষের মধ্যে মাস্ক পরিধানের বিন্দু মাত্র আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।
মাস্ক যারা ব্যবহার করে তার মধ্য তরুণী যুবতী ও মাঝ বয়সী নারীদের সংখ্যাধিক্য বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরা একমাত্র সাজসজ্জার কারনে ফ্যাশনেবল শাড়ি সালোয়ার কামিজের সাথে ম্যাচ করা মাস্ক পরিধানে আগ্রহী বলে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারে এই প্রতিনিধি।
অন্যদিকে সরকারি বেসরকারি অফিস হাটবাজারে কোথাও মাস্ক পরিধানের নেই কোন আধিক্য। ফলে করোনা সংক্রমণের মাত্রাতিরিক্ত আশঙ্কার কথা জানান স্বাস্থ্য সচেতন জনসাধারণগণ।
ডাক্তারদের সাথে আলাপকালে জানা যায় যে, প্রচন্ড গরমের কারনে এখন ঘরে ঘরে মৌসুমি জ্বর সর্দিকাশির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনে এরকম রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।একই সাথে করোনার সংক্রমণও বেড়েছে, এটাই সমস্যা।
জ্বর সর্দিকাশিকে অবহেলা না করে সময়মতো চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: