
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ছোটপরি গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী হাফিজা আক্তার (৯) এর লাশ পুলিশ উদ্ধারের সংশ্লিষ্টতায় অপমৃত্যু মামলার একদিন পরে গত সোমবার থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ মৃতার মায়ের হত্যা মামলা রুজুর পরে আসামি নিহত হাফিজার ফুফু আফজাল ফকিরের স্ত্রী ১) রাশিদা বেগম (৪৫) ও ফুফাতো ভাই ২) আমিন ফকিরকে (১৯) গ্রেফতার করে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে পুলিশী প্রহরায় প্রেরণ করেছে।
গত শনিবার বেলা ২টার দিকে রাশিদা বেগমের ঘরে পাওয়া যায় হাফিজার মরদেহ। পিতা-মাতার বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় হাফিজা তার ফুফুর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো বলে প্রতিবেশীদের কাছে জানা যায়।
ঘটনার দিন হাফিজাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে ফুফু রাশিদা ও ফুফাতো ভাই আমিন।
সেই খবর অনুযায়ী পুলিশ হাফিজার মাকে দিয়ে রবিবার লিখিত নিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে লাশের পোস্টমর্টেমের জন্যে বাগেরহাটের মর্গে পাঠায়। এর মধ্যেই আবার পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় হাফিজার মাকে দিয়ে হত্যা মামলার অভিযোগ নিয়ে রাশিদা ও আমিনকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে থানার ওসি মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হলেও পরে হত্যা মামলা হয়েছে পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিবেচনায়।
উক্ত শিশু হত্যা নিয়ে এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের প্রতিবেদক নিগুঢ় পর্যবেক্ষণ করছে।আপডেট খবরের সাথে সাথে তা প্রকাশ করা হবে।
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: