• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ; ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  রবিবার, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ;   ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

সেলফি তুলে পোস্ট দিলে ভোটে পাশ করা যায় না, বিএনপি , জামায়াতকে লীগ বানাতে পারবেন না

গোলাম হাসান আফিন্দী তাপস ভাইয়ের ওয়াল থেকে
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৫৩ পিএম
আওয়ামী লীগ সভাপতি,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , বি এনপি, রাজনীতি, বাংলাদেশ

ভোটের আর বেশী দেরি নেই- সামনে হাজারো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলে ভোটে পাশ করা যায় না। 'ভাই-সহমতেও মুক্তি নাই। জা'মাত, বিএনপি'কে ট্রল কইরা সাময়িক তৃপ্তি মিলবে কিন্তু ওদের একজনকেও নিরপেক্ষ বানানো সহজ না।


বাস্তবতা ভিন্ন। সলিড নৌকা বিরোধী ভোট। বিগত বারো বছরে একটাও নৌকা বিরোধী ভোট কমে নাই। জামাত ছাড়া বিএনপি সর্বোচ্চ ১২০। ওদের নিলে ক্ষমতায়ও চইল্যা যাইতে পারে। তাই জা'মাতীদের এরা ছাড়বে না। জা'মাত ছাড়া কইরা জা'মাতী ভোট ব্যাংককে বাড়ীতে বসাইয়া রাখতে পারলে জয় নিশ্চিত। প্রশ্ন হলো জা'মাত একা কেন ক্ষমতায় যাইতে পারে না? তাদের ভোট ব্যাংক ডিসাইসিভ। নিরঙ্কুশ নয়। এই জায়গাইটাই ভোটের হিসাব-কিতাব। জা'মাতী আওয়ামী লীগে ঢুকলেও কিন্তু এই নৌকা বিরোধী ভোট ব্যাংক নৌকার হয় না। এই জায়গায় লীগ ধরা খাইতে পারে। তাই ট্রল-সেলফি-ভাই-সহমত বাদ দিয়া এলাকায় গিয়া ভোটের কামে নামেন। নিজে হিসাব-কিতাব করেন। অন্যের ফুলানো-ফাঁপানো জরিপে ধরা খাইয়া পরে গাল ফুলাইয়া কোন লাভ হবে না।


তারেক ভোটে যাইতে দিবে না। আবার জ্বালাও-পোড়াও করাবে। সেই দিকও বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে ভোটের প্রস্তুতির বিকল্প নাই। প্রাক্তন শি'বিরকে সাথে নিয়া নির্বাচনী কামে নামলে নগদে ধরা। একবার যে শি'বির, সে মরার পরেও শি'বির। এই কথা শিরধার্য্য। আর হে, টুপি-দাড়ি ছাড়াও এমন কি উপরে উপরে না'স্তিকও শি'বির আছে। বিগত তেরো বছরে পর্বে পর্বে এদের পরিচয় বাহির হইছে। নির্বাচনের শেষে আরেক ঘাপটি মারা গ্রুপের পরিচয় বাহির হইবে। তখন আর ডেমজ কন্ট্রোল করা যাবে না।


ভিন দেশের হিসাবে শেখ হাসিনার যে জনপ্রিয়তা তাতে ভোটে জয়লাভ সহজতর। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা ভিন্ন। নিজ ভোট ব্যাংকের সঠিক হিসাব-চিহ্নিতকরন, নির্বাচনের দিন শান্ত পরিবেশ এবং নিজস্ব ভোট ব্যাংকের সকলকে কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভোট প্রদানে সহায়তার বিকল্প নাই। স্থানীয়ভাবে লীগের প্রতিনিধির ধৈর্য্য-নিরাবেগ-আচার-আচরণ-স্বভাব-চরিত্র মূল চালিকা শক্তি। বংশ পরম্পরায় লীগের হলেও শুধু বিগত তেরো বছরের ক্ষমতাকালীন সময়েই যাদের দৃশ্যপটে সংযুক্ত হতে দেখা গেছে তাদের কার্য্যকারিতা নিয়েও আমি সন্দিহান। এদের কারও কারও মধ্যেও জা'মাতী সখ্যতা দৃশ্যমান সহপাঠি-আত্মীয়তা-বন্ধুত্বতার সূত্র ধরে।


হেজাবি'রা কিন্তু এই সামাজিকতা দেখাচ্ছে লীগ ক্ষমতায় আছে বিধায়। ২০০১-এর নির্বাচন পরবর্তী এদের দানবীয় আচরণ কিংবা ২১শে অগাস্ট থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করলে শুধু বিচার করে জেল-ফাঁস দিলেই বাকীদের চরিত্র পাল্টে যাবে না। নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁরা তাঁদের আদিরূপেই আবির্ভূত হবে।


(আ,লীগে যত হাইব্রীড ডুকান না কেন, ওদের একটা ভোটও নৌকায় যাবেনা! এটা বরাবরই পরিক্ষিত!


ছাগল দিয়ে নয়, যেটা দিয়ে চাষ হয় সেটাই কাজে লাগান)


- Mohammed Sharif.

 

গোলাম হাসান আফিন্দী তাপস ভাইয়ের ওয়াল থেকে 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

খোলা-কলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ