
বিএনপির আজকের হামলা ছিলো ট্রায়াল ভার্সন। তবে ওদের মজ্জাগত ভাবনার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে যেটা বুঝতে পারছি, এক হামলায় টার্গেট ছিলো ২ টি।
হামলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিয়ে অর্থাৎ যে কোন আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাবি। সেখানে স্বার্থক হতে পারা মানেই ঢাবি কে একটি মিনি ক্যান্টনমেন্ট হিসাবে ব্যাবহার করা। এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করা। ঢাবির মতো স্থানে এমন পরিস্থিতি জন্মদেবার সাথে সাথে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দাবানলের মতো এই পরিস্থিতি ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হওয়া। এর বিপরীতে সরকার এই মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ বা ছাত্র ছাত্রীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা অনেকটাই হয়ে যেতো বুমেরাং। কারন সেই মূহুর্তে তাদের বিদেশি সাহায্যকারীরা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার মাধ্যমে আগুন জ্বালিয়ে দিতো সারা বিশ্ব সহ বাংলাদেশের মধ্যে। পরিস্থিতি হয়ে পড়তো অনিয়ন্ত্রিত।
আর যদি স্বার্থক হতে না পারে, তাহলে আচমকাই তারা চলে যাবে আন্ডারগ্রাউন্ডে। কারন লন্ডন থেকে তারেক বিদেশি বুদ্ধিদাতাদের দিয়ে অলিরেডি আক্রমনের কয়েকটি ধাপ তৈরি করে রেখেছে বলেই মনে করি।
এর যে কোন একটি ধাপ পূর্বের ধাপ হতে বেশ শক্তিশালী এবং রক্তক্ষয়ী। প্রাথমিক ধাপ স্বার্থক না হলে, আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে ২য় ধাপের রোডম্যাপ নিয়ে তারা আবার মাঠে আসার জন্য চেষ্টা করবে। এবং এই ধাপে প্রথম কাজ হবে, আওয়ামিলীগের মধ্যে অর্থাৎ ছাত্রলীগের মধ্যে নেতা পর্যায়ে বেঈমান সংগ্রহ করা। বলার অপেক্ষা রাখেনা, এই ধাপে মোটা অংকের টাকা দিয়েই বেঈমান তৈরির সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা থাকবে। সেই বেঈমান এর সংখ্যা এক বা দুই নয়, হতে পারে সেটা কোন বিশেষ চিন্তাধারার দল। যাদের কাজ হবে মিশে থাকবে আওয়ামীলীগে, কিন্তু মিছিলে থেকেও তাদের কর্ম পন্থা হবে এমন যে, আন্দোলনের একটি সঠিক মুহুর্তে তারা বিশাল একটা স্পেস তৈরি করে দেবে পিছন দিক থেকে আঘাত করার জন্য। বলতে পারেন কোন সমরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং সৈন্য সংখ্যা কম থাকলে যে উপায় অবলম্বন করে বড়ধরনের বাহিনী মাটিতে মিশিয়ে দেয়া যায়। তুলনা করতে পারেন সাদ্ধাম হোসেনের রিপাবলিকান গার্ডকে। যেখানে মার্কিন বাহিনী খুবই কম খাবার নিয়ে প্রায় অভুক্ত অবস্থায় বাগদাদের বাইরে বাঙ্কার খোদাই করে অপেক্ষা করেছিলো। যতোদিন না বাগদাদে একজন বেঈমান তৈরি করা যায়। তারা পেরেছিলো সেই রিপাবলিকান গার্ডের একজন কর্মকর্তাকে বেঈমান হিসাবে ক্রয় করে নিতে।
অবস্থা দৃষ্টে বিএনপি প্রথম ধাপে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন, বিএনপির কেউ কিন্তু বাইরে নেই। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া হতেও বিএনপি হারিয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু আদেও কি তাই?
না তারা হারায়নি। তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে আছে ২য় ধাপের জন্য তৈরি হচ্ছে। তারা এরজন্য সময় নেবে আমার যতদুর মনে হয় ১/২ সপ্তাহ। এরমধ্যে আর কোন বড় ধরনের হামলা দেখা নাও যেতে পারে। তবে দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এবং বেঈমান ক্রয়ের স্পেস তৈরি করতে তারা ছোট খাটো অস্থিতিশীল পরিবেশ জন্ম দিলেও দিতে পারে। আর তাই আওয়ামিলীগ যদি অতি উৎসাহী হয় বড় ধরনের ভুল করবে। অতি উৎসাহ তাদের মূল দরজা থেকে সরিয়ে আনতে পারে। যা হবে মারাত্মক ক্ষতিকর। সবার উচিত অতি উৎসাহী না হওয়া। স্বাবিক থাকা। এবং বেঈমানী করতে পারে তাদের তালিকা তৈরি করে নজরদারিতে রাখা। নিশ্চই তেমন কারা হতে পারে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এতদিন সোশ্যাল মিডিয়া যাদের বিভিন্ন নামে পরিচিতি দিয়েছে তারাই হবে মূল কারিগর।
অন্যদিকে নারী হতে সাবধান। হেজাবি বা হেজাব ছাড়া, এবার আক্রমনের সামনে থাকবে নারী এটা বলা যেতেই পারে। সেই আক্রমণ শুধু মাঠে দেখা যাবে এমনটা নাও হতে পারে। হয়তো তারা হয়ে উঠতে পারে আওয়ামিলীগের বড় বন্ধু। আর এই মুহুর্তে যে কোন নতুন বন্ধুত্ব অবশ্যই সন্দেহ জনক।
যাইহোক, যা কিছু বললাম সে সবই আমার ধারণা। নাও মিলতে পারে। তবে মেলার সম্ভাবনা বেশি। অতি উৎসাহিত না হয়ে, নিজের অবস্থান ধরে রাখাই হবে, যে কোন নেগেটিভ বিষয় মোকাবেলার চূড়ান্ত হাতিয়ার।
Daily J.B 24 / জয় বাংলা২৪ নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: