• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপি ও জামায়াত এর বিস্ফোরক প্লান ভেস্তে গেলো !

তৈমুর মল্লিক
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৫০ এএম
বিএনপি, জামায়াত, বিস্ফোরক প্লান, পাহাড়ে সন্ত্রাসিদের ঘাটি, আওয়ামীলীগ , সেনাবাহিনী, র‍্যাব

 

কুকি বাহিনী পার্বত্য এরিয়া দখলে নিতে কতটা তৎপর সেই তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত এর কত শত বা কত হাজার জঙ্গি পার্বত্য এরিয়াতে বিস্ফোরক প্রশিক্ষণে নিয়োজিত ছিলো বা আছে সেটার হিসাব গোয়েন্দাদের নিকট রয়েছে আরো বিষদ ভাবে।  


বিএনপি ও তার মিত্ররা সরকার বিরোধী তৎপরতা, আন্তর্জাতিক ভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মার্কিনীদের পদলেহন করেছে অতি নিবিড় ভাবে। গোপন চুক্তিতে আইএসআই এর সাথে সম্পর্ক সেটা জন্মগত ভাবেই রয়েছে।  বিপুল অর্থায়নে কিনে নিয়েছে বিভিন্ন লবিষ্ট সহ নানা প্রজাতির জঙ্গি সংগঠনকে, সেই সাথে দেশের মধ্যে কিছু মিডিয়াকে।  তারা ভেবেছিলো এই সকল বিস্ফোরক স্থুল প্রকৃতির ক্ষমতা নিয়ে শেখ হাসিনার বিপক্ষে ঝাপিয়ে পড়বে। তারা যে ১০ তারিখের কথা বলেছিলো, আমার ধারণা বিষয়টা অমূলক ছিল না। 


মার্কিনরা বাংলাদেশকে নিজের আয়েত্বে নিতে বদ্ধপরিকর, তার প্রমান ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় আমরা পেয়েছি। আর তাই ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল গড়েতোলা, সেন্টমার্টিন নিজেদের করে নেয়া ইত্যাদি এজেন্ডা বাস্তবায়নে যে সরকার তাদের সহযোগিতা করবে তারা তাদের বানিজ্যক ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বন্ধু হিসাবে ব্যাবহার করবে তারা। অন্যথায় যে আমেরিকার নিজেদের মানবাধিকার নিয়ে সারা বিশ্বে প্রশ্নবিদ্ধ সেই আমেরিকা মানবাধিকার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আক্রমনে যাবে।  


বিএনপি ও তার মিত্ররা বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে যে সকল গুজব ভুল তথ্য মার্কিনিদের হাতে তুলেদিয়ে ঢোল বাজাচ্ছিল, তার সত্যতা মিলেছে জাতিসংঘের গোজামিল তথ্য দেখে। 
অন্যদিকে যতোই মার্কিন বলুক পাকিস্তান বিপদজনক দেশ, এটা তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য। মূলবক্তব্য দক্ষিন এশিয়ায় পাকিস্তান তাদের সবচেয়ে প্রিয় একটি দেশ। পাকিস্তান সারা বিশ্বে জঙ্গি সাপ্লাইয়ের ব্যাবসা করে থাকে এটা সবাই জানে। অন্যদিকে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র তাদের আয়ের অধিকাংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশথেকে পেয়ে থাকে অর্থাৎ কোন দেশকে জঙ্গিবাদের চাপে ফেলে সেখানে নিজেদের ত্রানকর্তা হিসাবে নাটক সাজিয়ে সেই দেশকে কব্জা করে হাতিয়ে নেয় দেশের অর্থনীতি। সেদিক থেকে তাদের নিকট জঙ্গি সাপ্লাই চেইনে পাকিস্তানকে রেখেছে নিজেদের মত করে। 


সেই ধারাবাহিকতায় মার্কিনরা বিএনপির কথায় মূল্য দেবে সেটাই সাভাবিক। অন্যথায় #শেখ_হাসিনা কখনই নিজের দেশকে বিক্রি করবে না এটা বোঝার পরে মার্কিনরা #শেখ_হাসিনার পক্ষে কতটা কাজ করবে বা নিরপেক্ষ থাকবে সেটা বুঝতে পন্ডিত হবার প্রয়োজন নেই। 


পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগেও ছিলো, এখনও আছে। মার্কিনীদের ইশারায়, আইএসআই এর সরাসরি নির্দেশনায় বাংলাদেশের জাতীয় বেঈমান #মোস্তাক, #জিয়ারাই বঙ্গবন্ধুকে পরিবার সহ হত্যা করে। সেই একই মন্ত্রে জঙ্গিদের দ্বারা  শেখ হাসিনাকে কতবার হত্যা চেষ্টা করেছে সেটাও আমরা জানি। ২১শে আগষ্ট তার অন্যতম উদাহরণ।  

বিএনপি ও নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াত বসে থাকবে সেটা ভাবা চরম বোকামি। বছরের পর বছর তারা রাজনীতি না করে সরাসরি  নির্বাচনে অংশ না নিয়ে রাজনীতি থেকে পিছিয়ে গেছে সহস্র বছর পিছনে। আর তাই এবার যদি তারা কোন ভাবে ক্ষমতায় যেতে না পারে তবে হয়তো এরপরে বিএনপি'র নাম নিশানা অবশিষ্ট থাকবেনা। তবে জামায়াত থাকবে। নামে বেনামে জঙ্গিবাদ জন্ম দিতে জামায়াত থাকবে এটা বলাই যায়। কারণ জামায়াত অন্যান্য দল থেকে অধিকতর অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ। যার সিংহভাগ এসেছে জঙ্গিবাদ জন্ম দেবার অর্থ থেকে। ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের অবস্থান, তাদের পদচারনা অনেক কিছুই বলে দেয়। দেশের অভ্যান্তরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা সহ) এর প্রতিষ্ঠাতাদের নজরে নিলেও অনেক প্রমাণ পাওয়া যাবে। সেখানে সরাসরি মার্কিনীদের না পাওয়া গেলেও বৃটিসকে পাওয়া যাবে, সৌদি কে পাওয়াযাবে, মালয়েশিয়াকে পাওয়া যাবে। 

আরো অনেক দেশকেই পাওয়া যাবে।  ঘুরেফিরে ০ ডিগ্রি মিলবে ৩৬০ ডিগ্রিতেই।  মার্কিন ইশারায় এদের নির্দেশক সেই আই এস আই।  এসব থেকে যা আয় হয়, তাই দিয়েই পাকদের অর্থনীতি চলে। 
দেশের মধ্যে ধর্মব্যবসা ও মনগড়া ফতোয়া সমৃদ্ধ ওয়াজ, মজমা, ইত্যাদির পুরাটাই মানুষকে ভুল পথে নিয়ে জঙ্গিহতে সহায়তা করেছে বছরের পর বছর। ৯০ শতাংশ ইসলামের নামে হাজারো দলে বিভক্ততা তার অন্যতম কারণ।  যেখানে সত্যিকার ইসলামের গন্ধই নেই। পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে আই এস আই, সি আই এ এর মতো দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা।  


আজ পাহাড়ে কুকি বাহিনী কি করবে, সন্তু লারমা বৃটিসের সহায়তায় কতটা আগ্রাসী হবে সেটা দেখাযাবে। তবে পাহাড়ের গহীন জংগলে শত হাজার দেশিয় জঙ্গি যে অবস্থান তৈরি করেছিলো, ভেবেছিলো কিছুই দেখছেনা সরকার। সরকারের চোখ ভিন্ন দিকে রাখতে নানামুখী গুজব, মিথ্যা তথ্য, নেতাদের লাগামহীন কথা বার্তা সমানে চলেছে। এবং সেই ভরসায় দিন পাত করেছে।  তারা ভেবেছিলো পাহাড় থেকে জঙ্গি বেরিয়ে আসবে নির্বাচনের আগেই। দেশের মধ্যে শুরু হবে রক্তক্ষয়ী হামলা। 


কিন্তু দেশ চালাচ্ছে শেখ হাসিনা।  ভুলেই গিয়েছিলো, শেখ হাসিনা কেন চুপ।  


আচমকা সেনা, র‍্যাব, বিজিবি হামলে পড়েছে পাহাড়ে, ধরাপড়ছে জঙ্গি একের পর এক। কিন্তু সেই ধরা পড়ার মধ্যে কুকি বাহিনী কিন্তু নেই। আমার ধারণা সবই আমাদের জেহাদি রুহানি সন্তানেরা।  


অনেকবার লিখেছি, বাংলাদেশ সেই ৭৫ এ দাঁড়িয়ে নেই। এখন ২০২২। এসব ছিচকে জঙ্গিবাদ দমন সেনাবাহিনীর জন্য অতি ছোট কাজের একটি। 


যাইহোক, পাহাড়ের গহীনে অস্ত্র প্রশিক্ষণে পাঠানো জেহাদি রুহানী সন্তানেরা বিএনপিকে, জামায়াত কে কাপড় খুলে উলঙ্গ করে ফেলেছে। শেষ আশা ভেস্তে গেছে তাদের।  

প্রশ্ন একটাই - এরপর কি?  


মোঃ তৈমুর মল্লিক 
কলামিস্ট 

 

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

সম্পাদকীয় বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ