• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

ঢাকা  শুক্রবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ;   ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপি, জামায়াত ও খয়রাতি পরিষদের মতো ঔদ্ধত্য আচরণ দেখাতে গিয়েও ফিরে এসেছে রনি।

আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল
Daily J.B 24 ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৩৩ পিএম
বিএনপি, জামায়াত, খয়রাতি পরিষদ, পলেটিক্স, রেলওয়ে, আন্দোলন

 

একটা ব্যাপার ভালো লেগেছে; মহিউদ্দিন রনি তার উগ্র বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। গত চার বছরে একটি প্রজন্মকে নষ্ট করে দিয়েছে কোটা আন্দোলন।

 

আগে উগ্র বক্তব্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক মোল্লাদের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল। কোটা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে উগ্র, অমার্জিত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেয়াকে রেওয়াজে পরিণত করার চেষ্টা চলেছে। শক্তি থাক বা না থাক হুমকি ধামকি দেয়াই যেন আন্দোলন! বিএনপি-জামাতও কখনো খয়রাত পরিষদের নুরু, রাশেদ, ফারুক বা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন তারেকদের ভাষায় কথা বলে নি।

রাজনীতিতে সৌজন্য, শিষ্টাচার ও মার্জিত আচরণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ শিক্ষাগুলো মানুষ পরিবার থেকে পেয়ে থাকে। অনেকে হয়তো দ্বিমত পোষণ করবেন বা ক্ষুব্ধ হবেন। তবে বাস্তবতা এটাই যে, পারিবারিক প্রভাব ব্যক্তির ওপর পড়ে। খয়রাত পরিষদের নেতাদের কারো বাবা রিকশা বা ভ্যান চালায়, কেউ রাজমিস্ত্রী বা এ জাতীয় কাজ করে। আমি কাজকে ছোট করে দেখছি না। কিন্তু তাদের আচরণ, বিশেষত শিক্ষকদের প্রতি তাদের মনোভাব এটাই প্রমাণ করে যে, হঠাৎ ঢাবিতে ভর্তি হয়ে তারা বাবা-মা'কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে। কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকলে তাদের এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ হতো। কিন্তু রাজনৈতিক শূন্যতা, জনগণের অনুভূতি ও ভাইরাল প্রবণতা - এগুলোর সামগ্রিক প্রভাবে টেস্টটিউব লিডার তৈরি হয়েছে। 

বেয়াদবি টেস্টটিউব লিডারদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তবে ক্ষতিকর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কাণ্ডজ্ঞান ও দায়িত্বশীলতার অভাব। ইতিহাস ও রাজনীতি সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান এদের নেই। যাচাই ছাড়াই যেকোনো গুজব বা মিথ্যাচার কেন্দ্রিক বক্তব্য দিতে দ্বিধা করে না। ভুল বক্তব্যের জন্য সংশোধনীর নজির এ যাবত তারা স্থাপন করতে পারে নি। আমি ভেবেছিলাম অন্তত পাঠ্যসূচি নিয়ে গুজব প্রচারের জন্য তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে। এছাড়া কেউ সরকার বিরোধী হলে নির্দোষ, নিষ্পাপ আর সরকারের পক্ষে বললে দালাল ট্যাগ দেয়ার প্রবণতা, সাম্প্রদায়িক ইস্যু খোঁজা সহ সকল জামাতি বৈশিষ্ট্য তাদের মাঝে বিদ্যমান। 

খয়রাত পরিষদের নেতারা নিজেরাই স্বীকার করেন তারা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। শিক্ষা সহায়তা, চিকিৎসা বা ত্রাণ ইত্যাদি খাতে তারা চাঁদা সংগ্রহ করে। তাদের সংসারও চলে এই অনুদানের টাকাতেই। মূলত এটি একটি বেকারদের সংগঠন। এই রাজনীতিকে কওমী রাজনীতি বললে বোধহয় ভুল হবে না।

সবমিলিয়ে কথিত নতুন প্রজন্মের রাজনীতি প্রকৃতপক্ষে বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে যা দায়িত্বহীন ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বেয়াদব তৈরি করছে। রাজনীতি বা জনসেবা, বাহানা যা-ই হোক কেন, একদল তরুণ কিভাবে ক্যারিয়ার হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেয় তার হিসাব মেলাতে পারি না! রনি বা কোনো তরুণ যেন নুরুদের মতো অভিশপ্ত জীবন বেছে না নেয় - এই কামনা করি।

 

 

Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক

খোলা-কলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ