
আওয়ামী সরকার ও উন্নয়নের রিরোধিতা করতে গিয়ে বড্ড বেশি দেশদ্রোহীতায় নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে বিএনপি ও তার অনুসারী সকল দল । শুরুটা করে দিয়েছে জিয়া, এরপর খালেদা জিয়া এবং তারপর অত্যান্ত জিঘাংসা পরায়ন তারেক । করমাগত ভাবে আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করতে করতে কখন তারা খাঁদের কিনারে চলে গেছে , সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে বের হয়ে আস্তাকুড়ে নিপতিত হয়েছে সেটা তারা লক্ষ্যই করেনি ।
তাদের ধারণা ছিলো, শুধু মাত্র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেই এই দেশ তারা দখল করবে । সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করবে । ঠিক যে ভাবে জিয়া বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো ।
তারেক আধুনিক সন্ত্রাসবাদের হাতেখড়ি সম্ভবত শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেট হামলার মধ্যে দিয়ে। কিভাবে সন্ত্রাসীদের ডন হতে হয়, কিভাবে পর্দার অন্তরালে থেকে গুপ্ত হত্যা পরিচালনা করা হয় সেই বিষয়ে যথেষ্ট প্রশিক্ষন ইন্টারন্যাশনাল ডন আউদ ইব্রাহীমের নিকট থেকে ভালই করায়ত্ব করেছে সে। বিষয়টিকে একচেটিয়া সমর্থন জানিয়ে গেছে সি আই এ , আই এস আই সহ নানা গোয়েন্দা ও জঙ্গি সংগঠন । সেটাই যদি না হবে - আন্তর্জাতিক ভাবে তাকে এতো পাহারা দিয়ে রাখার পিছনে কারণ কি ? কেনই বা কোন প্রকার বৈধ আয় ছাড়া মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ সন্ত্রাসবাদের পিছনে ব্যয় করে সে?
আপনাদের কি ধারণা - তার চলাচল, তার গতিবিধি এসব কিছুই জানেনা উক্ত গোয়েন্দা সংস্থা ? সবই জানে । তারপরেও তাকে পোষ্যপুত্র হিসাবে লালন করে এই সকল আন্তর্জাতিক মহল নিজেদের স্বার্থ বুঝে নিতে তাকে ব্যাবহার করে । যা করার করবে তারেক, দোষ তারেকের কিন্তু দুধের মাখন খাবে সেই সকল আন্তর্জাতিক মহল ।
আপনারা এটাও বলতে পারেন, তবে কেন এতো মানুষ তাকে রাজপুত্র বলে । এবং তার সংখ্যা ১৬ কোটি ।
আমি ব্বলিই কি ভাই - এই সব কথা বলার আগে আপনাকে রনকৌশল বিদ্যাটা ভালো করে জানতে হবে ।
১৬ কোটি মানুষের ১৫ কোটি মানুষই সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত নয় (আনুমানিক) । তারপরেও ১ কোটি সন্ত্রাসির জন্য ১৫ কোটি মানুষ ভয়ে থর থর করে কাঁপে । একেই বলে ভয়ের রাজত্ব । যতোদিন আপনার মনে আমার সম্পর্কে ভয় কাজ করবে, ততোদিন আপনি আমার কথা মনে আসতেই চমকে উঠবেন । যে ব্যাক্তি ভয়কে প্রতিষ্ঠিত করে তারসাথে মানুষ থাকে আক্রমণের জন্য হাতে গোনা কয়েকজন । অবশিষ্ট সকল মানুষই সেই ব্যাক্তিকে করে ঘৃণা ও ভয় । আর তাই তারেকের বাহিনী যখন কথাবলে - তখন সেখানে সংখ্যা দেখে কেউ যদি ভাবেন তারেকই এই দেশের রাজপুত্র তাহলে হবে নিতান্তই বোকামি । কারণ সাধারণ মানুষ উক্ত স্থানে থাকে চুপচাপ । আর এই নিরাবতা কখনই দুর্বলতা নয়। সেটা মাথায় রাখা উচিত ।
উদাহরন যদি নিতে চান তাহলে নিজের দেশের জনসংখ্যার তুলনায় নিয়মিত সৈন্য সংখ্যা বিচার করুণ। পারলে রাশিয়া, আমেরিকার মোট জনগোষ্টির তুলনায় সৈন্য সংখ্যা হিসাব করুণ । তাহলে উত্তর পেয়ে যাবেন ।
যাইহোক বলছিলাম বিএনপি ও তার দালাল দল সমূহ বড্ড বেশি দেশদ্রোহিতার সাথে সম্পর্ক করে ফেলেছে । এতো বেশি সন্ত্রাসীর সাথে সক্ষতা করেছে যে, তারা ভুলেই গেছে এই দুনিয়ায় একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন । তিনি যাকে বাঁচাবেন , কারো ক্ষমতা নেই তাকে সরিয়ে দেবার । শেখ হাসিনাকে ২১ বারের উপরে হামলা করা হয়েছে । পেরেছে কিছু করতে ? এতো বোঝেন আর এটা বোঝেন না, এসবই আল্লাহ চেয়েছে তাই হয়েছে । আর যারা হত্যার চেষ্টা কএছে, ৭১, ৭৫ ও ২১ আগষ্টের খুনি চক্র কি বাঁচতে পেরেছে ? তাহলে এসব কার ইশারা ? একবার ভাবুন ।
হাজার চেষ্টা করেও পদ্মা সেতুর নির্মানে বিএনপি, ইউনুছ সহ দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধীরা পেরেছে ঠেকাতে ? পারেনি । আর তাই তাই অন্তর জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি সহ স্বাধীনতা বিরোধী সকল দল, উপদল এবং তাদের ঘুষে কথা বলা আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা ।
তারা এর পূর্বে দায়িত্ব নিয়ে দেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের আবেদন করেছিলো এবং পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে লবিং করেছিলো। কারণ একটাই, সেটা নিজেকে বড় করে নয়, অন্যকে ছোট করে নিজেকে বড় দেখানোর ব্যার্থ চেষ্টা মাত্র । যার অপর নাম কাপুরুষতা ।
মজার বিষয় হলো এখনো কিছু উদীয়মান সমাজ এইসব বিষয় না ভেবে সেই পদ্মা সেতূর বিরোধিতা, তাই নিয়ে নানামুখি গুজব ও অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে চলেছে । এরা না পড়ালেখা করবে, না পারিবারিক শিক্ষা আছে, না সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে , না দেশের প্রতি কন্ট্রিবিউশান আছে ।
আবার এদের দাওয়াত খেতে নিয়ে যান - মূরগীর রান কেন পেলনা, মিষ্টি কেন কম দেওয়া হয়েছে, মাংস কম কেন হয়েছে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মারামারি করবে । এরাই রিক্সায় উঠে ২ টাকার জন্য রিক্সা ড্রাইভারকে থাপ্পড় মারবে , আবার দালালি ৫০০ টাকায় বেনসন কিনে খাবে । এক আজব বংশ ধিরে ধিরে বেড়ে উঠছে বাংলাদেশের মাটিতে । এদের দিকে তাকাবেন - দেখবেন প্যান্ট খুলে কখন নিত্মবের নীচে এসেছে বলতেই পারবে না । অর্থাৎ এমন শুকনা যে তার পরনে প্যান্ট থাকতেই চায়না ।
ঘাড়ের দিকে তাকালে মনে হবে উঠ পাখি দেখছি - নেশা করতে করতে গর্দানের কশেরুকা বের করে ফেলেছে । একটা থাপ্পড় দিলে নিজের ক্ষমতায় উঠে বলতে পারবে না - আমাকে মারলে কেন । এই হল প্রজন্মের অবস্থা। আর এদের হাতে ধরে নষ্ট করেছে পচে যাওয়া রাজনীতি । বিএনপি সহ তার দোসরগণ এদেরকে পেইড করে তাদের জীবনটাই শেষ করে দিয়েছে । তৈরি করছে এক অথর্ব প্রজন্ম ।
আর এই শক্তি নিয়ে তারা আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতুর উদ্ভোদন বন্ধের জন্য অলরেডি মাঠে নেমেছে । শরীরে শক্তি নেই বলেই তাদের শক্তি খোলা তরবারী, চাপাতি, বা বিস্ফোরক কোন কিছু ।
যাইহোক , শেখ হাসিনা সরকার খালেদা জিয়া, ইউসুস সাহেব, বিশ্বব্যাংকের প্রধানকে যদি দাওয়াত দেয়- সেটাই হবে সঠিক রাজনৈতিক শিক্ষা । ওরা ভুল করতে পারে তাইবলে শেখ হাসিনা ভুল করবে সেটা মনে হয় না । কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর সন্তান ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয়তু শেখ হাসিনা
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: