
আমরা জানি , বিভিন্ন মিডিয়াতে সাম্প্রতিক সাম্প্রতিক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা দল #বিডিপি বিএনপি ও জামাতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত একটি স্ক্রিপ্ট । স্বাধীনতার পরের প্রজন্ম নিয়ে দল গঠনের কথা বলে , অনেকটাই অপরিচিত মুখের সমন্বয়ে গঠিত এই বিডিপি ।
বিভিন্ন মিডিয়া বলছে - ২০১৬ সালের পর থেকে জামাত ঠিক এই নামে নতুন দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলো । কিন্তু সেই সময়ে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে হেফাজতের সাথে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক অনেকটাই ভালো হবার কারনে জামাত নতুন দল #বিডিপি ঘোষনা থেকে বেশ পিছনে চলে যায় ।
পরের রাজনীতি আমাদের সকলের জানা । জামাত একটি ক্যাডার ভিত্তিক দল । তবে তাদের সারাদেশে প্রচারনা, সমন্বয়, কমান্ড ইত্যাদি ৪ টি স্তরে পরিচ্ছন্ন ভাবে সাজানো । অন্যদিকে তাদের অর্থের কোন অভাব নেই । সেই জামাতের কয়েকজনের সক্রিয় তত্বাবধানে বিশাল বহরের দলীল সহ বিডিপি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে । চালাকি সরূপ তারা তাদের সিনিয়র সকল নেতাকে বাইরে রেখে নতুন , অপরিচিত মুখের মিশ্রণে দলটি সামনে ঠেলে দিয়েছে ।
মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিডিপি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হয়ে গেলে , বিডিপি বলে- তাদের সাথে জামাতের কোন সম্পর্ক নেই । যা ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াড গল্প । দল নিবন্ধন পেলেই সিনিয়র নেতাদের সামনে আসতে দেখা যাবে আস্তে আস্তে । পর্দার অন্তরালে বসে তারা বিডিপি পরিচালনা করবেই ।
নিরবাচন কমিশনার পূর্বে বলেছিলো , জামাতের সাথে সম্পর্ক আছে এমন কোন দলকে নিবন্ধন দেয়া হবেনা । কিন্তু পরে তারাই বলেছে- কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায় না থাকলে নিবন্ধন না পাবার কোন কারন নেই । আর তাই জামাত বলছে - তাদের সাথে বিডিপি"র কোন সম্পর্ক নেই । তারা জামাত নামেই ফিরে আসবে । দিন একদিন আসবে, সুযোগ আসবে তখন তারা আগের নামেই দল গঠন করবে এবং নিবন্ধিত হবে ।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় - বাংলাদেশে জামাত নিবন্ধন হারালেও বিভিন্ন নামে জামাতের ৮টি দল রয়েছে, যারা নিবন্ধিত । এখন যোগ হবে বিডিপি । এরপরে সুযোগ যেদিন আসবে (তাদের ভাষায় ) তখন জামাত নামে আরো একটি দল পূর্নাংগ ভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করবে ।
বিষয়টি হলো, তারা নামে বেনামে নিবন্ধন নিয়ে অনেক দলের সমন্বয় ঘটাতে চায় । এতে লাভ দুই দিক থেকে ।
১। তাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে Pakiস্তানের প্রতিশোধ বাংলাদেশের উপর আবারও নেবার চেষ্টা করবে ।
২। কোন দল সন্ত্রাসী বা অন্যকোন অপরাধে নিবন্ধন হারালেও বিকল্প হিসাবে থাকবে একের অধিক দল ।
৩। বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বাড়াতে গিয়ে কোন দল আন্তর্জাতিক চাপে পড়লেও অন্য নামের দলে আশ্রয় নেবে ।
৪। যতো দল, ততো বিদেশি সাহায্য সহযোগিতা, বিনিয়োগ , অর্থপ্রাপ্তি । বিশেষ করে জঙ্গিবাদ ছড়াতে অর্থের কোন কমতি পড়বে না ।
৫। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনকে ফাঁকি দিতে কষ্ট হবে না ।
মূলত জামাত বিডিপি"র সাথে কোন সম্পর্ক নেই কথাটা বলে - সবচেয়ে সম্পর্কের ইশারা মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে ।
বাংলাদেশ সরকার যদি এটা বুঝে থাকে তাহলেইমঙ্গল । কিন্তু অমঙ্গলের জন্য সরকারের মধ্যেই বসে রয়েছে জামাতের সবচেয়ে বড়দল। চ্যালেঞ্জ সেখানেই ।।
মোঃ তৈমুর মল্লিক
কলামিস্ট
Daily J.B 24 / নিউজ ডেস্ক
আপনার মতামত লিখুন: